সুন্দরবনপ্রেমের জোয়ার কোথায় হারালো?

ফিরোজ আহমেদ
Published : 12 March 2016, 01:30 PM
Updated : 27 Dec 2012, 08:33 AM

চকরিয়া-সুন্দরবন এখন ইতিহাস, কিন্তু চকরিয়া-সুন্দরবন নামে এদেশে একদা সত্যি সত্যিই একটা অরণ্য ছিলো, সরকারি খাতাপত্রে এখনো হয়তো আছে। কিন্তু আস্ত জঙ্গলটাই নাই বহুদিন হলো। সর্বশেষ যে ২১ হাজার একর জঙ্গল টিকে ছিলো, তার বড় অংশটাই সত্তুর এবং আশির দশকে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী, সরকার আর স্থানীয় ক্ষমতাশালী এই তিনের খাদক-চক্র মিলে মহমূল্যবান এই অরণ্যটিকে দেখতে দেখতে খেয়ে ফেললো, আজ সেখানে গোটাকয় গরানজাতীয় উদ্ভিদ দাঁড়িয়ে আছে। দেশে এই নিয়ে খুব কি উচ্চবাচ্য হয়েছে? বিনয় মজুমদারের ভাষায়, 'অস্থানে বেদনা ঝরে গেছে', এক একটা মহাকায় অরণ্য নীরবে অন্তর্হিত হয়েছে। ঢাকার আশেপাশের বনভূমিও খুব পরিচিত দৃষ্টান্ত, সমৃদ্ধ এই অরণ্যের পুরোটাই এখন শিল্পএলাকা, কৃষিজমি।

সুন্দরবন নিয়ে তো দেশপ্রেমের বন্যা কর্পরেট মহল কয়েক বছর জুড়ে বইয়ে দিলো এই অরণ্যটিকে প্রাকৃতিক আশ্চর্য-বস্তুগুলোর একটা হিসেবে গণ্য করার ভোটের লাইন দাঁড় করিয়ে দিয়ে। সুন্দরবন-প্রেমের এক মহামারী আমরা দেখলাম যেন, রীতিমত সরকারী পয়সা খরচ করে নিউ সেভেন ওয়ান্ডার্স ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতারক গোষ্ঠীর পয়সা বানানোর ফিকিরের কামলা খাটানো হলো গোটা জাতিকে। কেউ কেউ সান্তনা পেয়ে ভেবেছিলেন অন্তত সুন্দরবন নিয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা আর গৌরবের বোধ এতে তৈরি হবে, এটুকু তো লাভ হলো!

লাভ যে কিছুই হয়নি যেটা বোঝা যায় আজ যখন সুন্দরবন নিজেই এক মহাবিপর্যয়ের মাঝে পড়ার মত প্রকল্প বাংলাদেশ এবং ভারত এই দুই দেশের কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছেন, তখন এই বিষয়ে সুন্দরবনপ্রেমের কর্পরেট ব্যবসায়ীরা সঙ্গতকারণেই অদৃশ্য থাকলেও তাদের সাথে সাথেই অদৃশ্য হয়েছে ভাবাবেগের জোয়ারও। সর্বশেষ সুন্দরবনই একটা দৃষ্টান্ত যেখানে বোঝা যাবে গণমাধ্যম এবং কর্পরেট স্বার্থ কত দ্রুত যে কোন একটা কিছুর জোয়ার তুলতে পারে, এবং কত দ্রুত এমনকি তার ফেনামাত্রও অবশিষ্ট থাকে না।

চকরিয়া-সুন্দরবনের চেয়ে বহুগুণ বেশি বিপর্যয় সৃষ্টি হবে খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত সুন্দরবনের অস্তিত্ব কোন কারণে হুমকির মুখোমুখি হলে। এমনিতেই ফারাক্কায় পানিপ্রবাহ কমে আসার ফলস্বরুপ লবনাক্ততা বৃদ্ধি সুন্দরবনকে অনেকটাই বিপর্যস্ত করেছে, এর বাইরেও বনের জমি ধ্বংস করে আবাদী জমি, ঘের এবং আর সব কর্মকাণ্ডও সুন্দরবনের পরিসর কমিয়ে এনেছে; সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে মালবাহী জাহাজ চলাচলকেও যেখানে বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেখানে সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর এখন বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলবে দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেয়া রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদুৎ প্রকল্প।

প্রকল্পটি নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা বাংলাভাষায় হয়েছে। এত বিশাল আকৃতির একটা উন্নয়ন প্রকল্প নেয়ার আগে মানুষের মতামত গ্রহণ এবং এর বিভিন্ন দিক মানুষকে জানানোর যে দায়িত্ব সরকারের কাজের মধ্যে পড়ে, সেটা ন্যূনতম মাত্রায়ও পালন করা হয়নি। ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত কয়লাখনি স্থাপনের যে চক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে গত বিএনপি আমল থেকে এইবারের লীগ আমল পর্যন্ত সাধারণ মানুষ প্রতিহত করে আসছেন, সেই প্রকল্পের সাথে এই প্রকল্পেরও এই একটা আশ্চর্য মিল: সারা দেশকে প্রভাবিত করবে এমন একটা কর্মকাণ্ডের সবটাই ঘটতে যাচ্ছে জনগণের প্রায় অগোচরে। উন্নয়নের নামে এই সব ধ্বংসযজ্ঞের পরিকল্পনার একটা অনিবার্য অনুসঙ্গ হলো তথ্যগোপন করা, একটা প্রকল্পের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি জনগণকে না জানানো, এবং লাভের একটা কাল্পনিক হিসাব মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। এতে করে একদিকে যেমন জনসাধারণকে অজ্ঞ রাখার ফলে প্রতিবাদ হবার সম্ভাবনাটা কমে আসে, আরেকদিকে 'উন্নতির' আশায় প্রতিবাদকারীদের কখনো কখনো সাধারণ মানুষেরই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।

পুরো অগোচরে অবশ্য ঘটনাটা ঘটতে পারছে না, তার কারণ জাতীয় স্বার্থ নিয়ে দিবারাত্র কাজ করেন, ভাবেন এমন কিছু মানুষের সক্রিয় উদ্যোগ। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ীর আন্দোলনের মতই রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্প বিরোধী আন্দোলনকে ভাষা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদ, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি একদিকে যেমন এই প্রকল্পের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির দিকগুলো চিহ্নিত করে দেখিয়ে দিয়েছে এতে ক. পরিবেশগত সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি বাংলাদেশের হলেও, খ. স্থাপনাটি বাংলাদেশে অবস্থিত হলেও, গ. নগদ বিনিয়োগ বাংলাদেশ ভারত উভয় সরকার ১৫ ভাগ করে বিনিয়োগ করলেও (বাকিটা খুব সম্ভবত ভারতীয় আর্থিক সংস্থা থেকে চড়া সুদে নেয়া হবে) মুনাফার ভাগ হবে ৫০:৫০! এতে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম নিয়েও আছে মহা লুণ্ঠন, সেটা পিডিবি উৎপাদিত বিদ্যুতের চেয়ে বহুগুন বেশি। কিন্তু জাতীয় কমিটির বক্তব্য অনুসারে, সামান্য বিনিয়োগে মুনাফার অর্ধাংশ নয়, ভারতের আসল লাভ হবে প্রকল্পের সুদে টাকা খাটিয়ে, চড়া দামে যন্ত্রাংশ ক্রয় করিয়ে এবং আরও নানান উপায়ে প্রকল্পব্যায়ের মাঝে বিপুল পরিমান মুনাফার বন্দোবস্ত করে।

জাতীয় কমিটি শুধু জনগণের নগদ টাকার লুটপাট না, প্রকল্পটিকে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচে বড় পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনার উদ্যোগ হিসেবেও। রামপালের বিদুৎ কেন্দ্রটি ১৩২০ মেগাওয়াটের, জাতীয় কমিটি দেখিয়েছে একটি ৫০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্প গড়ে ১০ হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড নির্গমন ঘটায়। সালফার ডাই অক্সাইড যে অম্লবৃষ্টি ঘটাবে তাই সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। পারদ আর একটি পদার্থ যা প্রাণীদেহের স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতির এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাণ ঘটায়; যে বিপুল পরিমান পারদ নির্গমন ঘটবে সেটা সুন্দরবনের গোটা প্রাণীকূলকে অচিরেই বিনষ্ট করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে সুন্দরবনের মত স্পর্শকাতর অরণ্যে কোন একটি উপাদানের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিই সমগ্র বনটির অস্তিত্ব বিপন্ন করবে। পশুর নদীর পানি লবনাক্ত বলে প্রকল্পের জন্য খুব সম্ভবত ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানি উত্তোলন করে ব্যবহার করা হবে, বিদ্যুৎকেন্দ্রকে শীতল রাখার জন্য যে পরিমান পানি টেনে তুলতে হবে, তা গোটা এলাকায় ভূগর্ভে পানিশূন্যতা তৈরি করবে। এর চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপজাত হিসেবে আসা তরল কয়লা বর্জ্য এবং ছাই; এতে আর্সেনিক, পারদ, ক্রোমিয়াম, এমনকি তেজষ্ক্রিয় ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামও থাকে। ৫০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পে ১ লক্ষ ২০ হাজার টন ছাই এবং ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টন তরল কয়লা বর্জ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে। এই বিপুল পরিমান বর্জ্য শোধন একটা ব্যয়বহুল এবং গুরুতর ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।
বলা হচ্ছে ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থাকবে, কিন্তু এই ধরনের প্রকল্প দুর্ঘটনা একটি স্বাভাবিক ঘটনা, ছাই বাতাসে উড়ে গেলে, পানি চুইয়ে কিংবা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেলেই বিপর্যয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। সুন্দরবন শুধু প্রতিবেশগত অর্থেই স্পর্শকাতর না, খেয়াল রাখতে হবে যে এই এলাকাটি দুর্যোগপ্রবণও বটে। সিডর- আইলা মত এক একটি ঘুর্নিঝড় কি সমূহ বিপর্যয় ডেকে আনবে,তা বলাই বাহুল্য।

আরও কয়েকটি দিক দিয়েও এই রকম একটি প্রকল্পকে দেখা যেতে পারে। ভারতে ২০১০ সালে দ্য হিন্দু পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্প বাদ দেয়া হয়েছে এই এই যুক্তিতে ১। দোফসলি জমি বিনষ্ট হবে, ২। নর্মদা নদী থেকে ৩২ কিউসেক পানি টেনে নেয়াটা বিবেচক হবে না। জাতীয় কমিটি প্রচারিত এ বিষয়ক একটি প্রকাশনায় জানা গেলো ভারতীয় ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী বিদ্যুকেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের ভেতরে কোন স্পর্শকাতর অরণ্য, অভয়াশ্রম বা উদ্যান থাকা চলবে না।
অথচ সুন্দরবন থেকে এই প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি মাত্র ৯ কিমি দূরে!

এ জাতীয় প্রকল্পের মোসাহেবরা সর্বদাই বলেন যে যারা প্রকল্পের সমালোচনা করছে, তারা প্রকৃত তথ্য জানেন না। প্রকৃত তথ্য কি, সেটা জানাবার দায়িত্ব কাদের, সেটা অবশ্য তারা কখনো বলেন না। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরাখবরই তাই প্রায়ই সংবাদের উৎস হয়ে দাঁড়ায়। বহুক্ষেত্রে দেখা যায়, যে দেশে প্রকল্প হতে যাচ্ছে সে দেশের সংবাদপত্রে কিছুই প্রায় আসে না, কিন্তু বাইরের পত্রিকাতে আসল খবর কিছুটা আঁচ করা যায়। মার্কেজ যেমন বলেছিলেন ল্যাতিনে কি ঘটছে, তা বোঝার জন্য তারা য়ুরোপের পত্রিকা পড়তেন। কিন্তু অভিজ্ঞতা আমাদের একটা জিনিষ শিখিয়েছে, এই ধরনের প্রকল্পের ক্ষয়ক্ষতি যা আশঙ্কা করা হয়, তারও বহু বহু গুন বেশি ক্ষতি বাস্তবে ঘটে। ফলে আরও জোর দিয়ে প্রকল্পের পর্যালোচনা, গবেষণা এবং সম্পর্কিত সকল তথ্য জনসাধারণের মাঝে বন্টনের দাবি করার পাশাপাশি যা আপাতত পাওয়া যাচ্ছে, সেটাও জনগণের মাঝে প্রচার করার দায়িত্বও আন্দোলনরতদেরকেই নিতে হয়। কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন, জাতীয় কমিটির কিছু কাগজপত্র ছাড়াও আমরা হাতে পেয়েছি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরীর একটি গবেষণা, সেখানেও এই প্রকল্পের প্রতিবেশগত বিপর্যয়কর দিকটি উঠে এসেছে। কিন্তু খুব দরকার এই গবেষণাগুলোকে বাংলাভাষায় অনুবাদ করা এবং এই আলোচনাকে দেশবাসীর আলাপের বিষয়ে পরিণত করা।

আমরা আতঙ্কিত নানান কারণেই। এদেশের শীর্ষস্থানীয় তারকাদের আমরা দেখি ফুলবাড়ীতে ধিকৃত কয়লাখনির প্রস্তাবকদের জনসংযোগের দায়িত্ব নিতে, তাদেরই আবার কখনো কখনো বহুজাতিকের পয়সায় দেখি জাগরণের গানের ফুলঝুড়ি ছোটাতে, তারাই আবার হাজির হন প্রগতিশীল এবং ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠনের মঞ্চে। 'নিয়ন্ত্রিত দেশপ্রেমের আবহে' আমরা এখন আছি, আর আমাদের সম্মোহিত করে আমাদের গায়ের কাপড়চোপড়ই খুলে নিচ্ছে লুটেরারা। বছর দশেক আগে শীর্ষ এক তারকার স্মৃতিচারণ পড়ছিলাম এই সুন্দরবন নিয়েই, স্মৃতি থেকেই উদ্ধার করি, হয়তো কিছুটা অতিরঞ্জন হবে (কিংবা পাঠক ধরে নিন আমি গল্পই বলছি,কিন্তু ঘটনাগুলোও তো এমনই ঘটে ):
"ছোটবেলায় যেতুম সুন্দরবন, সরু সব খাল, দুই পাড়ে ঘন সুন্দরী গাছ। কিচিরমিচির পাখি, বানরের লাফালাফি, হুঙ্কার ছাড়তো বাঘ, গা ছমছমে পরিবেশ! ফ্রিজে থাকতো এতো এতো হরিনের মাংস যে পচে যেতো, সেই পচা মাংস ফেলে দেয়া হতো নদীতে, পচা মাংসের গন্ধে রোদ পোহানো থামিয়ে সড়সড় করে নদীতে নামত কুমির, কি রোমহর্ষক দৃশ্য, আমরা তাকিয়ে দেখতাম… এখন কোই গেলো সেই কুমির, কোই গেলো সেই বাঘ আর কোই গেলো সেই হরিন!"

মুশকিল হয় যে আমরা মন্ত্রমুদ্ধ হয়ে এদের আভিজাত্যের গল্প শুনি, মুখের ওপর বলে দিতে পারি না: তুই খেয়েছিস আস্ত সুন্দরবনটাকে। আস্ত দেশটাকেও গিলে খাচ্ছিস।

মিনতি কিংবা আহ্‌বান যাই বলা হোক, আমাদের কথা একটাই। এই দেশটায় জাতি একটা না, দুটো। একদল নগদে এই ভূমি যা কিছু মধু তৈরি করে, তা চেটে নিয়ে বিদেশে বাড়িগাড়ি বানাতে চায়, দেশে তারা থাকে স্রেফ পয়সা বানানোটা চালু রাখার স্বার্থে। আরেকদল এই দেশেই তার ভবিষ্যত দেখতে পায়। সুন্দরবন শুধু আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সম্পদ না, ভবিষ্যতে যারা আসবেন, তারাও এর মালিক। মাত্র গোটাকয় দেশী-বিদেশী লুটেরার স্বার্থে এটাকে নিলামে তোলার চেষ্টা যারা করছে, তারা তাদের স্বভাবের ধর্ম পালন করে যাক। এই ডাকাতিকে রুখে দিয়ে, প্রতিহত করে জাতির আসল অংশটিও তার স্বভাবের ধর্মই পালন করবেন, ডাকাতের সম্মোহন থেকে বেড়িয়ে আসবেন এই হলো কামনা।

ফিরোজ আহমেদ: সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, গণসংহতি আন্দোলন।