ওবামার সফর ও আমাদের নেতৃত্বের অদক্ষতা

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ
Published : 17 July 2015, 05:00 AM
Updated : 20 Nov 2012, 04:34 AM

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মিয়ানমার সফর করছেন। তাঁর সফরের গুরুত্ব নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা চলছে। এ সফরে তিনি রোহিঙ্গা-প্রসঙ্গ তুলবেন কিনা এ নিয়ে কথাবার্তা হয়েছিল। মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, সফরে রোহিঙ্গা-প্রসঙ্গ আলোচনায় আসবে। যেহেতু সেখানে কিছু সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়েছে, তাই এ বিষয়ে মার্কিন সরকার আলোচনা করবে এটাই স্বাভাবিক। দেখা গেছে সেটাই হযেছে। এর আগে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট জিং শিং জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা রোহিঙ্গা-সমস্যা নিয়ে ভাবছেন। এতেও বোঝা যায় যে, এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনের একটি উদ্বেগ রয়েছে।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সুচির বক্তব্য নিয়ে আমাদের দেশে অনেক আলোচনা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গারা দু'দেশেই রয়েছে। বাংলোদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সুচি কেন এ কথা বললেন এ নিয়ে আমাদের দেশের কেউ-কেউ স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছেন। আমার কথা হল, বুঝতে হবে যে, অং সান সুচি কোনো মানবাধিকার কর্মী নন- রাজনীতিবিদ। মিয়ানমারে অতি-সম্প্রতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরুর যে হাওয়া বইছে সেখানে তিনিই প্রধান ব্যক্তি। সামনে নির্বাচন হবে সে দেশে। সুচি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গণতান্ত্রিক রাজনীতির একটি বড় শর্ত হল, সংখাগুরুর মতামতেকে গুরুত্ব দেওয়া। তিনি স্বাভাবিকভাবেই মিয়ানমারের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে ক্ষুব্ধ করতে চাইবেন না। বরং চাইবেন সে অংশকে খুশি রেখে ক্ষমতায় যেতে। তাঁর বক্তব্য একজন সাধারণ রাজনৈতিক নেতৃত্বের বক্তব্য। সুচি বরং চাচ্ছেন রোহিঙ্গা-সমস্যার সমাধান এ সরকারের আমলেই হয়ে যাক যাতে তাঁকে এ বিষয়ে আর কোনো ঝামেলায় পড়তে না হয়।

মানতে হবে যে, গোটা বিশ্বের সব দেশে সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীর একটি দাপট থাকে। তাদের ভাবনা-চিন্তাকে প্রাধান্য দেন রাজনৈতিক নেতারা। বিশেষ করে ক্ষমতার যাওয়ার রাজনীতিতে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশেও আমরা সংখ্যাগুরু বাঙালি জনগোষ্ঠী নানা সময়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর নানাভাবে কর্তৃত্ব করেছি, করে যাচ্ছি। এমনকী এখন তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকার পর্যন্ত করছি না। একইভাবে মিয়ানমারের সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠীগুলো সে দেশের শাসনক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নানাভাবে দখল রাখবে এটাই স্বাভাবিক। ওই জনগোষ্ঠী যেহেতু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করছে না তাহলে অং সান সুচিও চাইবেন তাদের সন্তুষ্ট করে বক্তব্য বা এজেন্ডা দিতে।

এ দিক থেকে আমি তাঁর কথায় কোনো দোষ দেখি না। আমি যেটা মনে করি তা হল, আমাদের পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এত কাছে থেকে প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘুরে যাচ্ছেন- তাঁকে আমরা এ দেশে আনতে পারলাম না। ওবামা শুধু মিয়ানমার নয়, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফর করছেন। আমরা কি পারতাম না তাকে এ দেশে আনতে? আমি তাই মনে করি, নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে আমাদের কথা বলা উচিত। তা না করে অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করে তো লাভ নেই। এমন নয় যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মিত্র নয়। গত চার বছরে আমরা তাদের সঙ্গে নানাভাবে বৈরিতা তৈরি করছি। সেটা বাদ দিলে যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র।

আমাদের এ সত্যকে মানতে হবে যে, বিশ শতকের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চিন্তা-চেতনায় এখন আর বিশ্ব চলছে না। চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র সবাই সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে চায়। এটাই বিশ্বায়নের প্রভাব। মার্কিন ব্যবসায়ীরাই তো চীনে পণ্য তৈরি করছেন। আবার চীনের পণ্যের বড় বাজার কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রই। মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়লে চীনে ব্যবসারত মার্কিন ব্যবসায়ীরাই এখানে এসে ব্যবসা করবেন। এরা এখন সম্পর্কগুলোকে এভাবেই দেখে।

এখন এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের ধরন পাল্টে গেছে। আগে যেমন ছিল হয় সাদা নয়তো কালো। 'তুমি আমার বিপক্ষে গিয়েছো তো তুমি আমার শত্রু।' এখন কোনো রাষ্ট্র বিপক্ষে থাকলেও সেটির সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়নের ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ যুগে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মনে করে, যেখানে আমি কম খরচে পণ্য উৎপাদন করে বিশ্ববাজারে বিক্রি করে বেশি লাভ করতে পারব সেখানেই যাব। ফলে বিশ্বে এক ধরনের স্থিতিশীলতা আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ বাস্তবতার নিরিখেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখন থাইল্যান্ড, মিযানমার ও কম্বেডিয়া সফর করছেন।

কিন্তু আমরা কী করছি? চারদিকে তাকালে তো এখন আমাদের মিত্র পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকী কিছু বিশেষ ইস্যু নিযে আমরা একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পর্যন্ত সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি করছি। আমাদের এই রাষ্ট্র তো কোনো কমিউনিস্ট রাষ্ট্র নয় যে আমরা আদর্শগত কারণে মার্কিন বিরোধিতা করব। আমরা পুঁজিবাদী অর্থনীতি অনুসরণ করছি। তাই না? তাছাড়া আমরা এখন আর সেই স্নায়ৃযুদ্ধের বাস্তবতায় নেই যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না থাকলে সোভিয়েতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলব। আমাদের এমন কোনো প্রাকৃতিক সম্পদও নেই যে তার জোরে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করার মতো জোর দেখাতে পারব। সোজা ভাষায়, আমরা নিজেদের ভেনিজুয়েলা মনে করলে তো চলবে না।

একসময় যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামে গণহত্যা চালিয়েছিল। সত্তর সতকের সেই 'ভিয়েতনাম যুদ্ধ' নিযে বিশ্বজুড়ে কী তোলপাড়। গোটা বিশ্ব এ ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। ওদিকে কম্বোডিয়ায় কার্পেট বম্বিং করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সব দিন পেরিয়ে এসে এখন এ দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়ন করছে। মনে রাখতে হবে, ভারতের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হলে ওরাও আমাদের পক্ষে থাকবে না। তাছাড়া এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভারতেরই প্রভাব বেশি। কারণ দেশটি এখন আঞ্চলিক পরাশক্তি হয়ে ওঠার সব শর্ত পূরণ করেছে।

আমাদের সমস্যা হল, আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিই না।

প্রেসিডেন্ট ওবামা একভাবে বলা যায় আমাদের মাধথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছেন কিন্তু আমাদের দেশে আসার কথা ভাবেননি। এটা আমাদের সরকারের ব্যর্থতা। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু অমীমাংসিত ইস্যু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখানে এলে এ ইস্যুগুলো নিযে আলোচনার সুযোগ তৈরি হতে পারত।

গত কয়েক বছর ধরে আমরা কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করেছি। মার্কিন প্রশাসন আমাদের নানাভাবে বোঝাতে চেষ্টা করেছে। আমরা বুঝতে চাইনি। গ্রামীণ ব্যাংক, টিকফা যুক্তি, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে সমস্যা হয়েছে। সরকার মনে করে, তারা যা করছে তাই ঠিক। ব্যক্তিকেন্দ্রিক হয়ে গেছে আমাদের রাজনীতি। সরকার যদি কোনো ব্যক্তিগত এজেন্ডাকে দেশের স্বার্থের চেয়ে বড় করে দেখে তাহলে তো সমস্যা হবেই।

প্রফেসর ইউনূস ক্লিনটনের ব্যক্তিগত বন্ধু। তার অনুরোধেই আওয়ামী লীগের আগের টার্মে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমার মনে হয়, এবারও আমরা কোনো মার্কিন পেসিডেন্টকে এ দেশে আনতে পারতাম যদি আমাদের অদক্ষতা না থাকত। ইউরোপীয় ইউনয়ন আমাদের পণ্যের বড় বাজার। তবে একক রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড়। এ দেশের সঙ্গে আমাদের ৩ বিলিয়ন ডলারের উদ্বৃত্ত রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যোগাযোগ। আমাদের অনেক মানুষ ওখানে অভিবাসী হয়েছেন। আবার অনেকে ওখানে কাজ করেন। সে বিষয়গুলো আমাদের মাথায় কেন থাকে না বোঝা মুশকিল।

ইদানিং জামায়াতে ইসলামী দলটির সদস্যরা প্রকাশ্য সন্ত্রাসী কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। অনেকে বুঝতে পারছে না কারা এ সব সন্ত্রাস করছে, কেন করছে। বলা হচ্ছে, গলি থেকে ছুটে এসে ছেলেরা নাকি পুলিশের ওপর আক্রমণ করছে। তাহলে ইন্টেলিজেন্স কী করছে? খবরগুলো কেন আগেই জানতে পারছে না কেন তারা? এ পরিস্থিতিতে মার্কিন সরকার যখন এর উদ্বেগের কথা জানিয়ে সংলাপে বসতে বলছে- তখন একসময় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সরকারের একাধিক নেতা সংসদে রীতিমতো তুলোধুনা করেছেন মার্কিন সরকারকে। কথাটা তো দু'পক্ষকেই বলেছে তারা, তবে এক পক্ষ কেন এতটা স্পর্শকাতর হযে উঠবে? আমাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হলে বাইরের বিশ্বের উদ্বেগ তো থাকবেই। সে ক্ষেত্রে দায় সরকারকে নিতে হবে, স্পর্শকাতরতা দেখালে চলবে না।

আমাদের এ সবের দায়িত্বে যারা আছেন তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। একাধিকবার তাদের অদক্ষতা ধরা পড়েছে। তারা এত বেশি ইডোলজিক্যাল যে এভাবে কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক-উন্নয়ন হবে না। এ সব জায়গায় ব্যর্থ হয়ে আমরা বেলারুশের প্রধানমন্ত্রীকে এ দেশে নিয়ে এসেছি!

সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অদক্ষতা ধরা পড়েছে সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খাঁরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবির মধ্যেও। ধরা যাক, কেউ একটা বিয়ের দাওয়াত নিয়ে আমার কাছে এল। তা-ও অন্যের বিয়ের। তার কাছে তখন এভাবে দাবি তোলাটা কি ঠিক? সঙ্গত কারণেই হিনা বলেছেন, নওয়াজ শরীফ ও পারভেজ মোশাররফ এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। পারভেজ আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধে পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তাছাড়া হিনা 'অতীত ভুলে থাকতে' পর্যন্ত বলেছেন! এ কথাগুলো আমাদের শুনতে হত না যদি না আমরা এতটা অপরিপক্কভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতাম।

হিনা রাব্বানির এ বক্তব্য নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের ক্ষমাপ্রার্থনার বিষয়টা একটা এজেন্ডা হিসেবে নিতে হবে। তারপর ওই পক্ষকে সেভাবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার জন্য ডাকতে হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার কথা বলতে হবে। এভাবে বললে হবে না। তাতে সরকারের অদক্ষতার প্রমাণ বাড়তে থাকবে।

আরও লক্ষ্য করার বিষয় হল, হিনা রাব্বানি বাংলাদেশে এসেছিলেন ২২ নভেম্বর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য উন্নয়নশীল আট দেশের জোট ডি-এইটের সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে। পরে জানানো হল, এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যেতে পারবেন না। যুক্তি হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তারা খেয়াল করেননি যে ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর অন্য কর্মসূচি আগেই ঠিক করা ছিল। এটা দায়িত্বপ্রাপ্তদের চরম অদক্ষতার আরেকটি প্রমাণ। একজন সরকারপ্রধান কখন কোন কর্মসুচিতে যাবেন তার তো সিডিউল অনেক আগেই ঠিক করা থাকে। এটা যদি কর্মকর্তাদের মাথায় না থাকে তবে অবশ্যই তারা ব্যর্থ।

প্রধানমন্ত্রী না গেলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যাচ্ছেন এটা প্রথমে বলা হয়েছিল। পরে জানানো হল যে, তিনিও যাবেন না। ওই বৈঠক হচ্ছে পাকিস্তানে। কিন্তু সেটা পাকিস্তানে না হযে অন্য দেশেও হতে পারত। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এ বৈঠকে থাকবে। ওই দেশগুলোর সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মেলনে থাকবেন। বাংলাদেশ ডি-এইটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাও বটে। এখন এ সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী। সমস্যা হল, আমাদের আচরণে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো অপমানিত বোধ করতে পারে এটা আমাদের ভাবা উচিত ছিল।

আমি মনে করি, এ সব কাজকর্মের মাধ্যমে প্রধানমন্তীকে বিপদে ফেলা হয়। একটা সরকার তো এভাবে চলতে পারে না। আমাদের আরও মনে রাখতে হবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধু বাড়ানোই বড় কথা। তা না করতে পারলের জনগণের স্বার্থ আদায় করা সম্ভব হবে না।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক।