ইসলামে সুফি দর্শন ও এর প্রাসঙ্গিকতা

আনোয়ার কবির
Published : 14 Sept 2017, 07:39 AM
Updated : 14 Sept 2017, 07:39 AM

সারাবিশ্বে অনুসারীদের দিক থেকে ইসলাম অন্যতম বড় ধর্ম। বিশ্বের সকল প্রান্তে এই ধর্মের অনুসারীগণ রয়েছেন। জাতি-গোষ্ঠী-নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যের প্রায় সকল মানবগোষ্ঠীর মধ্যে এই ধর্মের অনুসারীদের দেখতে পাওয়া যায়। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কায় হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জন্মগ্রহণ করেন। এই ধর্মের বিশ্বাসীদের মতে, আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে ঐশী প্রেরণায় তিনি মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করেন এবং সর্বশেষ নবী ও রাসুল রূপে ইহজগত ত্যাগ করেন। ৫৭০ থেকে ৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে তিনি বেঁচেছিলেন। মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ছিল তাঁর। ৪০ বছর বয়সে তিনি আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হয়ে ঐশী প্রেরণায় নবুয়ত লাভ করেন এবং সৃষ্টিকর্তার নির্দেশে তাঁর ধর্মের প্রচার শুরু করেন। ধর্মশিক্ষার শুরু থেকে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্য দিয়ে ধর্ম প্রচার করেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচারকাজ চালাতে হয় তাঁকে। আর এক পর্যায়ে অনুসারীদের নিয়ে বাধ্য হন মদিনায় হিজরত করতে। ঐতিহাসিকদের মতে, ১০ সহস্রাধিক অনুসারী নিয়ে ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ধর্মীয় প্রচারণার সর্বোচ্চ সাফল্য লাভ করেন।

মাত্র ২৩ বছর ছিল তাঁর ঐশী প্রেরণায় নবুয়তি জীবন। এর মধ্যে অনুসারীদের জন্য তিনি একটি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, ধর্মীয় জীবন তৈরি করেন। পৃথিবীর প্রায় সকল ঐতিহাসিক এবং গবেষকগণ এই বিষয়ে একমত যে, পুরো মানবজাতির ইতিহাসে এত অল্প সময়ের জীবনে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র এক কথায় সকল পর্যায়ে অনুসারীদের প্রভাবিত করার দ্বিতীয় নজির পাওয়া যায় না।

মরুময় আরব অঞ্চলকে তিনি সভ্যতার আলোয় আলোকিত করেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় যাযাবর আরব গোষ্ঠী একটি সভ্য জাতিতে পরিণত হয়। মানবসভ্যতার বিকাশে এত বড় অঞ্চল ও এত অনুসারী আর কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হয় না। মাত্র ৬৩ বছরের জীবনে মানবসভ্যতার জন্য তিনি এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

তাঁর প্রদর্শিত পথ ধরেই পরবর্তীতে তাঁর ৪ জন অনুসারী– যাঁরা ইসলামে ৪ খলিফা হিসেবে পরিচিত– হজরত আবু বকর সিদ্দিক, হজরত উমর বিন খাত্তাব, হজরত উসমান ও হজরত আলী ইবনে তালিব প্রায় ৩০ বছর ধর্মীয় শিক্ষা প্রদান করেন। নানারকম মতবিরোধ থাকলেও অধিকাংশ মুসলমানের কাছে তাঁর এই ৪ খলিফা অশেষ শ্রদ্ধা ও সন্মানের পাত্র এবং তাঁদের দেওয়া ধর্মীয় পথনির্দেশও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) জীবিত থাকার সময় তাঁর নির্দেশে অনুসারীদের অনেকে ধর্ম প্রচারের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই সারাবিশ্বের একটি বড় অংশ মুসলমানদের শাসনক্ষমতা বা রাজত্বের মধ্যে চলে আসে। পুরো আরব অঞ্চল, আফ্রিকা ও স্পেনের একটি বিশাল অংশ মুসলমানরা শাসন করেন। ভারতবর্ষেও মুসলমানগণ দীর্ঘদিন শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করেন। এক কথায়, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মাত্র ৬৩ বছরের জীবন ও ২৩ বছরের ঐশীবাণীর প্রেরণায় যে শিক্ষা মুসলমানরা পেয়েছেন, তাঁর প্রভাব সারাবিশ্বে আজও সমভাবে বিরাজমান।

এর কারণ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মৃত্যুর পর তাঁর শিক্ষাদীক্ষায় অনুপ্রাণিত হয়ে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী হয়েছিল মুসলমানেরা। এক পর্যায়ে এই সাম্রাজ্যের শাসকবর্গের মাঝে ভোগ-বিলাসিতাসহ নানাবিধও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা সংযুক্ত হয়। তাঁর মূল নৈতিক ধর্মীয় শিক্ষা– সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন থেকে বিচ্যুতি ঘটে শাসকগোষ্ঠীর। ফলে এর প্রতিবাদ হিসেবে ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদ্ভব হয় বলে অনেকে মনে করেন।

আবার ইসলামি তাত্ত্বিকদের একাংশের মতে, রাসুলের (সা:) জীবদ্দশাতেই তাঁর প্রতিষ্ঠিত মদিনার মসজিদে একদল সংসারবিবাগী সাহাবী ছিলেন যাঁরা ইসলামে সুফি মতাদর্শের উদগাতা। এই সাহাবীগণ মদিনার মসজিদে হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা:) কর্তৃক জ্ঞানলাভ করতেন ও ধর্মীয় উপদেশ গ্রহণ করতেন। তাঁরা সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবন যাপন করতেন। তাদেরকে 'আহলে আস-সুফফা' বলে সম্বোধন করা হত।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) শিক্ষায় বৈরাগ্য বা সংসারবিমুখতার কোনো স্থান নেই। এ নিয়ে তাঁর অসংখ্য হাদিসও– যেগুলো আসলে তাঁর বক্তব্য ও উপদেশ– পাওয়া যায়। আর তাই ইসলামের সুফি দর্শনে আধ্যাত্মিকতা মূল হিসেবে কাজ করে। বৈরাগ্য সেখানে গৌণ বিষয়। নবী নিজে কখনও আদর্শ হিসেবে বৈরাগ্য গ্রহণ করেননি বা ঘোষণাও দেননি। সাংসারিক জীবনের মাঝে স্রষ্টার ইবাদত অর্থাৎ আদেশ-নির্দেশ পালনে তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন।

ইসলামী তাত্ত্বিকদের একটি বড় অংশের মতে, ইসলামে সুফি দর্শন এ ধর্মের মরমী শাখা। বলা হয়ে থাকে, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) দর্শন অনুযায়ী জ্ঞান দুপ্রকারের– জাহেরি ও বাতেনি। জাহেরি জ্ঞান সাধারণ মানুষের চর্চার বিষয়। বাতেনি জ্ঞান গুপ্ত বিষয়। স্রষ্টার নৈকট্য লাভের জন্য বিশেষভাবে ত্যাগ স্বীকার করা মানুষই বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। বাতেনি জ্ঞানের চর্চার আরেক নাম মারেফতি শিক্ষা। সুফিরা মূলত বাতেনি জ্ঞানের চর্চা করে থাকেন। আর তাই সুফি সম্প্রদায় সবচেয়ে প্রাগ্রসর সম্প্রদায় হিসেবে ইসলামিক বিশ্বে মূল্যায়িত হয়ে থাকেন।

হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মূল শিক্ষা ধারণ করে বাতেনি বা গুপ্ত জ্ঞানের চর্চার মধ্য দিয়ে সুফিরা মহান সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা চালান। আধ্যাত্মিক সাধনার মধ্য দিয়ে তাঁরা ব্যক্তিজীবন, আত্মিক জীবন ও ধর্মীয় জীবনের উন্নতি সাধন করেন এবং সেই শিক্ষা অনুসারীদের সাহায্যে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ইসলামে সুফি দর্শনের মূল বিষয় হল, আধ্যাত্মিক সাধনার সাহায্যে আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে ইহজাগতিক ও পরজাগতিক কল্যাণ সাধন এবং লব্ধ জ্ঞান মানবজাতির কল্যাণে ব্যয়। এর মধ্য দিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক হিংসা-দ্বেষমুক্ত সমাজ তৈরি করা।

ইসলামের সুফি সাধকেরা সারা পৃথিবীতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে স্রষ্টার একত্ববাদ, হজরত মুহাম্মদ মুস্তাফার (সা:) মানবতাবাদ ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বাণী প্রচার করে থাকেন। নানাবিধ পদ্ধতিতে তাঁরা আধ্যাত্মিক সাধনা চালিয়ে যান। একজন সুফি সাধকের সঙ্গে আরেকজনের আধ্যাত্মিক সাধনার ভিন্নতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। মূলত সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যলাভের চেষ্টা ও নিজের মানসিক আত্মিক উন্নতির জন্যই তাঁরা নিজস্ব উদ্ভাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন এবং অনুসারীদের মধ্য দিয়ে পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগ চালিয়ে যান।

ইসলামে সুফি দর্শনের তাত্ত্বিক বিষয়গুলো আস্তে আস্তে তৈরি ও বিকশিত হয়েছে। এ নিয়ে ইসলামি পণ্ডিতদের মধ্যে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা রয়েছে, রয়েছে বিতর্কও। অনেক গবেষক মনে করেন, হজরত আলী ইবনে তালিব (রা:), সাহাবী আবু জর গিফারি, সাহাবী সালমান ফার্সিসহ আরও কয়েকজন সাহাবী হলেন প্রথম সুফি সাধক। এঁদের মধ্যে হজরত আলী (রা:) অগ্রগণ্য। পাণ্ডিত্য, জ্ঞানের চর্চায় তিনি শীর্ষস্থানীয়। তাঁর বিভিন্ন বক্তব্য, উপদেশ সকল সুফি সাধক শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন ও ব্যবহার করেন। মূলত হজরত আলীকেই (রা:) তাত্ত্বিকতায় প্রথম সুফি সাধক হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ে হজরত রাবেয়া বসরী, হাসান বসরী, ইবরাহিম ইবনে আদম, মনসুর হাল্লাজ, জুনায়েদ বাগদাদী, বায়েজিদ বোস্তামী, মহিউদ্দিন ইবনুল আরাবীকে মূল্যায়ন করা হয়।

অনেক গবেষক মনে করেন, স্পেনের মার্সিয়ায় ১১৬৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণকারী ইবনুল আরাবি প্রথম ইসলামে সুফি দর্শনকে 'ওয়াহদাতুল উযুদ' বা 'তাওহিদ-ই-উযুদ' তত্বের মধ্য দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। ইবনুল আরাবির এই তত্ত্ব সর্বেশ্বরবাদী তত্ত্ব হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। বিভিন্ন যুগে তাঁকে নিয়ে গবেষক ও দার্শনিকদের মধ্যে যে বিষয় কাজ করেছে সেটি হল, তিনি তাঁর রচনায় দার্শনিক তত্ত্ব, উপাত্ত, এর বিষয়বস্তু ও সেগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ব্যবহার করেছেন। ইবনুল আরাবি বর্ণনা করেন:

"স্বর্গীয় গুণাবলী মানুষের জ্ঞানের বাইরে। সমগ্র বিশ্বব্রক্ষাণ্ড হল ঐশ্বরিক নির্যাসের বহিপ্রকাশ। তদুপরি এ সকল গুণাবলী কেবল স্রষ্টার সৃষ্টির মহত্ত্ব প্রকাশ করে অর্থাৎ একের মধ্য দিয়ে বহুর প্রকাশ ঘটে।"

আরাবির মূল আধ্যাত্মিক উপলব্ধি হল:

"বিশ্বজগতে বহুর মাঝে একক অস্তিত্বের প্রকাশ ঘটে চলেছে। আর এটি হল 'ফানা'র প্রকাশ যার মাধ্যমে ব্যক্তির নিজস্বতার বিলোপ সাধন বুঝায় এবং সে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট ঐক্য তথা 'বাকা'র দিকে ধাবিত হয়। ফলশ্রুতিতে একজন এ বিশ্বকে একক বা বহু– দুভাবেই দেখে, একইসঙ্গে আল্লাহকে স্রষ্টা এবং নিজেকে তাঁর সৃষ্টিরূপে দেখতে পায়।"

তৃতীয় পর্যায়ে, আবদুল কাদের জিলানী, মুহাম্মদ বাহাউদ্দিন নকশবন্দ, শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়ার্দী, মঈনুদ্দীন চিশতি, শেখ আহমদ ইবনে মুহাম্মদ তিজানি, ইমাম গাজ্জালি, জালালুদ্দিন রুমী, আবদুল করিম ইবরাহিম আল জীলী প্রমুখ সুফি সাধকের উল্লেখ করা হয়।

ভারতবর্ষে ১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণকারী সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দকে মুসলিম সাধকদের মধ্যে সুফি দর্শনের জন্য গবেষকগণ উচ্চ মর্যাদা প্রদান করেন। তাঁর অবস্থান ছিল মোঘল সম্রাট আকবর ও জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে। ইসলামের সুফি দর্শনের ক্ষেত্রে সিরহিন্দের উল্লেখযোগ্য অবদান হল ইবনুল আরাবির সর্বেশ্বরবাদী 'ওয়াহিদুল উযুদ' তত্ত্বের বাইরে 'ওয়াহাদাতুশ শুহুদ' তত্ত্ব প্রদান। সৈয়দ আহমদ সিরহিন্দ তাঁর তত্ত্বের মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেছেন, আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যে ঐক্য সেটি সম্পূর্ণ আত্মগত বা সুনির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রিক। এটি শুধুমাত্র বিশ্বাসীর অন্তরে অনুভূত হয়, যার বস্তুগত উপস্থিতি নেই। বিশ্বাসী যখন ফানা-ফিল্লাহর স্তরে উপনীত হয় তখন সে এটি অনুভব করতে পারে।

আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে স্রষ্টার নৈকট্যলাভ এবং একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামে সুফি দর্শনের তত্ত্বসমূহ তৈরি হয়েছে। প্রায়োগিকভাবেও মুসলিম সুফি সাধকেরা পৃথিবীর সকল প্রান্তে তাদের অনুসারীদের হজরত মুহাম্মদ মুস্তফার (সা:) অসাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা, সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপনের নির্দেশ দান করেছেন। আর তাই সকল স্থানে মৌলবাদী কট্টর সাম্প্রদায়িক জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণ ও হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। অন্যান্য সকল ধর্মের সুফিদের মতোই মৌলবাদীদের হাতে যুগে যুগে শহীদ হয়েছেন অসংখ্য মুসলিম সুফি সাধক ও তাদের অনুসারীরা। আমরা কিছুদিন আগেই ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশে সুফি সাধকদের মাজারে জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের সংবাদ দেখেছি। প্রতিনিয়ত দেখছি মুসলিম মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর সহিংস আক্রমণে হাজার হাজার নিরীহ সাধারণ জনগণের মৃত্যুর সংবাদ।

আজ সারাবিশ্বে ইসলাস ধর্মের অপব্যখ্যা প্রদান করে যে জঙ্গিগোষ্ঠীর জন্ম দেওয়া হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে পারে ইসলাম ধর্মের সুফি দর্শন। এই দর্শনের মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের নৈতিকতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও অসহিষ্ণুতার প্রায়োগিক প্রয়োগ ঘটতে পারে।