একটি বিরোধী দলের সন্ধানে

রণেশ মৈত্র
Published : 13 Nov 2011, 12:26 PM
Updated : 25 July 2017, 06:12 AM

রক্তস্রোতের উজান ঠেলে লাখো প্রাণ, সমুদ্রসমান রক্তে স্নান করে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করেছিল আজ থেকে ৪৬ বছর আগে। সে রক্তের দাগ আত্মপ্রকাশের প্রায় অর্ধ শতাব্দী পরও মুছে যায়নি। রক্তের ধারা, রক্তস্নান কমবেশি চলছেই অবিরাম। এ এক নিদারুণ অভিশাপ যেন।

কিন্তু একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরকে প্রত্যক্ষভাবে আমরা যারা দেখেছি, দেখেছি একটি প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত দেশ, তারা তো এক বাক্যে সবাই বলব যে, ধারাবাহিক গণ-আন্দোলন ও ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান এবং সবশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধ, তার ঘোষিত প্রতিশ্রুতি ও লক্ষ্য ছিল বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িক তথা ধর্মনিরপেক্ষ ও শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশ গঠনের। এ নিয়ে সামান্যতম বিতর্কের অবকাশ নেই।

বাংলাদেশের জনগণের কাছে ঘোষিত ও প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি বাহাত্তরের মূল সংবিধানে প্রথিত হল এবং এভাবে তার সাংবিধানিক স্বীকৃতির মিলল।

বাঙালির জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন কমবেশি ঐ মৌলনীতিগুলি যেমন গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের লক্ষাভিসারী অভিযাত্রা মোটামুটি বজায় থাকলেও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে অতর্কিতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে নিধনের পর থেকে শুরু হয়ে যায় নীতিমালার বিপরীতমুখী অভিযাত্রা; রাজনৈতিক অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত পালাবদল রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিগুলিকে বিদীর্ণ করে। পবিত্র সংবিধানের গৌরবমথিত মৌলনীতিগুলির পরিবর্তনের বাস্তবায়ন দৃশ্যও সচক্ষে অবলোকন করতে বাধ্য হয়েছি আমরা।

তখন কিন্তু চিন্তাচেতনার দিক থেকে আমরা আওয়ামী লীগের ইতিবাচক দিকগুলির প্রতি এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম যে তাদের নীতি-আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডকেও যথেষ্ট পরিমাণে উপেক্ষা করে চলেছি। তদুপরি স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বামপন্থি দুটি রাজনৈতিক দল (ব্যাপকভাবে মধ্যবিত্ত সমর্থিত যদিও) ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি যথেষ্ট শক্তিশালী আওয়ামী লীগ সরকারের বিপরীতে দাঁড়ায়। ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধোত্তর প্রথম সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাপ্তভোট যথেষ্ট পরিমাণে কমে যায়।

কিন্তু জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল বিরোধীদলের আকাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালন না করায় তাদের (ন্যাপ ও সিপিবি) জনপ্রিয়তায় ঢল নামে অনেক দ্রুততার সঙ্গে। ১৫ আগস্টের পর তাদের সাংগঠনিক পরিস্থিতির কথা যাঁরা আজও মনে রাখতে পারছেন তাঁরাও নিশ্চয় স্বীকার করবেন কুণ্ঠহীনভাবে যে, জনগণ তখন ন্যাপ ও সিপিবিকে বিরোধী দল বলে মনে না করে সরকার বা আওয়ামী লীগপন্থি বলেই বেশি মনে করত। ন্যাপ-সিপিবির সাধারণ কর্মীরাও নেতৃবৃন্দের অনুসৃত নীতির সঙ্গে একমত হতে না পেরে অনেকেই ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছিলেন।

আর এই পরিস্থিতির সুযোগটা নিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে নবগঠিত রাজনৈতিক দলটি। এরা সমগ্র রাজনীতির অনুসারী হয়ে ওই পথেই সরকার উৎখাতের রাজনীতিতে নেমেছিল কণ্ঠে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের উগ্র স্লোগান ধারণ করে। যেহেতু দলটি তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর সরকারের সার্বিক বিরোধিতায় নেমেছিল, তাই বিরুদ্ধ জনমত (ও জামায়াত অনুসারীরাও) দিব্যি তাদের পক্ষভুক্ত হয়ে পড়ে এবং এতে আপাতদৃষ্টিতে তারা শক্তিশালী বিরোধী দলেও পরিণত হয়।

এ ধরনের নেতিবাচক উগ্র রাজনীতি অবশ্য দেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। জাসদ ও সশস্ত্র প্রতিরোধের রাজনীতিতে লিপ্ত তাদের বহুসংখ্যক কর্মীকে হারাতে থাকে এবং নিজেরাও ব্যাপক সাংগঠনিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অপরদিকে লাভবান হতে থাকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামিসহ ধর্মীয় গোষ্ঠীসমূহ। ফলে ধীরে ধীরে বিরোধী দলীয় রাজনীতিতে শূন্যতার সৃষ্টি হতে থাকে এবং আজ তা এক ভয়াবহ রূপে আবির্ভূত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে মৌলিক রাষ্ট্রীয় নীতিমালায় কুঠারঘাত করতে শুরু করেন। সংসদবহির্ভূত সামরিক আইনের খাড়া দিয়ে পঞ্চম সংশোধনী মারফত সংযোজন করলেন 'বিসমিল্লাহ', প্রত্যাহার করলেন ধর্মরিপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামিসহ সব তথকথিক ইসলামপন্থি দলকে রাজনীতির সুযোগ দিলেন। একইসঙ্গে পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আযমকে ভিসা ইস্যু করে দেশে এসে থাকার সুযোগও করে দিলেন।

অহমিকার সঙ্গে ঘোষণা করলেন 'রাজনীতিকদের জন্য রাজনীতি করা কঠিন' করে তুলবেন তিনি এবং তাই তাঁর ঘোষিত ঐ নীতি মোতাবেক সুবিধাবাদী ও দলচ্যুত রাজনীতিক, আমলা, ব্যবসায়ীদের নিয়ে গড়ে তুললেন 'বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল' (বিএনপি)। দলটি তাঁর মৃত্যুর পরও ১৯৯১-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত দুই টার্ম বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচিত হয়ে দেশশাসন করেছে। শুধু তা-ই নয়, আজ এই নীতিহীন দলটি বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত ও সক্রিয়।

কিন্তু অনেক বেশি পুরাতন ও পরিচিতি, ঐতিহ্যবাহী দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আজ অত্যন্ত দুর্বল এবং জনগণের মনে তাদের তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই। দফায় দফায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাঙনের কবলে পড়ে দল দুটি আজ অত্যন্ত ক্ষীণকায়।

জনগণের বিবেচনায় সেই 'অতিবিপ্লবী' জাসদেরও তেমন একটা স্থান নেই। 'মশাল'-এর আলোয় নয়, 'নৌকা'য় আরোহী হয়ে সংসদে কয়েকাটি আসন ও একটি মন্ত্রিত্ব নিয়ে দলের নামটা কোনোমতে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে মাত্র। প্রকৃত পরিস্থিতি নৌকা ছাড়ার পর স্পষ্ট হবে।

একইভাবে আরও দু-তিনটি বামপন্থি দল নৌকায় চড়ে গত নির্বাচনে অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি কয়েকটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। গণতন্ত্রী পার্টি ও ন্যাপ তাও না পেয়ে বস্তুত অস্তিত্বের হুমকিতে পড়েছে। এদের নৌকারোহনের সিদ্ধান্ত ভুল নাকি নির্ভুল, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তারা নিজেরাই বিষয়টা পর্যালোচনা করে আগামীতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে বিশ্বাস করি।

বাসদ ও সিপিবি জোট বেঁধে এতদিন বৃহত্তর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল। বছরের পর এই দ্বিদলীয় জোট কাজ করে অবশেষে সাত দলীয় গণতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে সংবাদপত্রে দেখলাম। কিন্তু এটা কতটা গণ-আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে জানি না। যাঁরা এই ঐক্য করলেন তাঁরাও এতে বৃহত্তর গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল ঐক্য গঠিত হল বলে মনে করেন কি না, জানি না। তবে হয়তো এতে ঐক্যের পথে একধাপ অগ্রগতি সূচিত হবে।

যাহোক, বিরোধী দলের ক্ষেত্রে বিরাজিত শূন্যতা যে কত ব্যাপক, তা উপরের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বিএনপিকে বিরোধী দল ভাবলে তা হবে ভুল। এবং সেই ভুল বারংবার ঘটে চলেছে, কিন্তু তাতে দেশের ও জনগণের সমস্যা তো মেটেইনি বরং তা দিনে দিনে প্রকট থেকে প্রকটতর হয়েছে। একটি দলে বেশকিছু লোক থাকলে এবং তার কিছু জনসমর্থন থাকলেই সেটিকে আকাঙ্ক্ষিত বিরোধী দলের মর্যাদার পূর্ণ আসনে বসানো যাবে না সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নের এই বাংলাদেশে।

আওয়ামী লীগ সরকারে অধিষ্ঠিত। তারা আজ ক্রমান্বয়ে সাম্প্রদয়িক ধর্মান্ধ শক্তির কাছে আত্মসমর্পন করে চলেছে, রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা সাংবিধনিকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে 'কুখ্যাত' পঞ্চদশ সংশোধনীর দ্বারা। সংযোজন করেছে জিয়াউর রহমানের 'বিসমিল্লাহ'। বৈধতা দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামিকে ও অন্যান্য ধর্মাশ্রয়ী দলকে। এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকেও সাদরে স্থান দিয়েছে সংবিধানের ওই সংশোধনী মারফত। এসবই গণতন্ত্রবিরোধী এবং ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে মারাত্মকভাবে সাংঘর্ষিক। এগুলি জেনে-বুঝে সচেতনভাবেই হালের আওয়ামী লীগ আত্মহননের নিশ্চিত পথে যাত্রা শুরু করেছে; দেশ, দেশের কোটি কোটি মানুষকে ফেলেছে তারা চরম বিপর্যয়ের মুখে।

এর সঙ্গে জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণার দাবি এবং দাবির অনুকূলে তাদের দফায় দফায় ঘোষণা সত্ত্বেও তারা তা সচেতনভাবেই বাস্তবায়ন করল না। উল্টো হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে দিব্যি আওয়ামী লীগে সাড়ম্বরে যোগদান করিয়ে তাদের বেমালুম হজম করে ফেলেছে। এ প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত, তবে তা প্রকাশ্যে নয়, গোপনে।

সবশেষ 'আত্মসমর্পন' অধিকতর ঢাকঢোল পিটিয়ে মাত্র কিছুদিন আগে করল হেফাজতে ইসলামের কাছে। তাদের দাবি মোতাবেক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলতে চায় তারা গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দল; মানুষকে তারা বোকা ঠাউরাচ্ছে।

এতসব কিছু দেখেও তথাকথিত প্রধান বিরোধী দল কি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করেছে? করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না। তারাও তলে তলে ঐ নীতিগুলির সমর্থক; তারাও চলতে চায় জামায়াত-হেফাজত উগ্র ধর্মান্ধ দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বিরোধিতা বিএনপি করেনি। বাহাত্তরের মূল সংবিধানের সমর্থন দেয়নি কোনোদিন। 'ধর্মনিরপেক্ষতা' শব্দটিও কখনও উচ্চারণ করেনি তারা। গণতন্ত্র বলতে তারা জনগণের অধিকার বা জনগণের স্বার্থে নিয়োজিত কোনো ব্যবস্থা প্রবর্তন বলে মনে করে না আদৌ। গণতন্ত্র বলতে তারা শুধু নির্বাচনকে বোঝে। আবার তা হবে এমন নির্বাচন যাতে তাদের বিজয় নিশ্চিত হয়। সে কারণেই তারা 'নির্বাচন', 'নির্বাচন' করে চিৎকার করে।

কিন্তু দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঘুষ-দুর্নীতি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নারী অপহরণ, ধর্ষণ– এগুলি নিয়ে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত-হেফাজতিদের আদৌ কোনো মাথাব্যথা নেই।

এহেন পরিস্থিতিতে স্পষ্টতই বোঝা যায় তারা বিরোধী দল নয়, বরং সরকারি দল হালের আওয়ামী লীগ অনুসৃত নীতি-আদর্শের তারাও পূজারী। তবু তাদের মধ্যে চলে কোন্দল। এ কোন্দল আদৌ জনস্বার্থে নয়, এগুলি পুরোদস্তর ক্ষমতার কোন্দল যার মধ্যে জনগণের স্বার্থ কোনোভাবেই সংশ্লিষ্ট নয়।

তাই একটি প্রকৃত বিরোধী দল দ্রুতই গড়তে হবে। কেমন হবে সে দলটি?

সেটিকে গড়ে উঠতে হবে জনগণের মধ্য থেকে। ছোট ছোট প্রগতিশীল দলগুলিকে যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে সংগঠিত করে বাহাত্তরের সংবিধানকে অবিকৃতভাবে পুনঃস্থাপনের দাবিতে এক বৃহৎ জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত করে গণতন্ত্রিক পদ্ধতিতে তা গড়ে তুলতে হবে। ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি করার লক্ষ নিয়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় অনুরূপ কনভেনশন-সমাবেশের আয়োজন করতে হবে।

এই প্রস্তাবিত দলটি রুখে দাঁড়াবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জামায়াত-হেফাজতসহ সব ধর্মাশ্রয়ী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে, অশিক্ষা-কুশিক্ষার বিরুদ্ধে, নারীর পূর্ণ ক্ষমতায়ন ও নির্যাতনমুক্ত জীবনের নিশ্চয়তার দাবিতে, দরিদ্র-বেকারত্ব দূর করার দাবিতে, ব্যাপক শিল্পায়ন, কৃষির আধুনিকায়ন, সড়ক, রেল, নদীপথসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের দাবিতে।

দ্রুত আধুনিকায়নসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে, ব্যবসা-বাণিজ্যের গতানুগতিকতা, স্থবিরতা দূর করার দাবিতে, আয়করের পরিধির ব্যাপক বিস্তার ঘটিয়ে করব্যবস্থার হার হ্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতেও তারা সমান সোচ্চার হবে।

সংসদ ও সব নির্বাচিত সৎ প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার অনুকূল বিধিব্যবস্থা তৈরি এবং তা বাস্তবায়নের দাবিতে, অসমাপ্ত সব কাজ সাধনে সার্বিক উদ্যোগ নেওয়ার পথে তারা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে যাবে।

এভাবেই গড়ে উঠুক বাংলাদেশের প্রকৃত বিরোধী দল যা প্রচলিত দলগুলির থেকে হবে আলাদা, মৌলিকভাবে আলাদা।