‘গণফোরাম’ একটি কনস্পিরেসির নাম

স্বদেশ রায়
Published : 7 July 2017, 05:04 AM
Updated : 7 July 2017, 05:04 AM

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে আসার পর থেকেই বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে যাতে তিনি ক্ষমতায় যেতে না পারেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন নানান স্থান থেকে প্রায়ই ষড়যন্ত্র হয়– কীভাবে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায়। কোনো নির্বাচন সামনে এলেই তার আগে থেকে ষড়যন্ত্র করা হয়– কীভাবে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকানো যায়।

যেমন: জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল মূলত জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যে নয়, সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যে। জনগণের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতাচ্যুত করে শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় যেতে না পারেন এ জন্যে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তাঁর একটি আরোপিত ইমেজ তৈরি করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে।

তারপরে জিয়ার উত্তরাধিকার এরশাদ ক্ষমতা নিয়ে জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। জিয়াকে যদি ওই সময় হত্যা করা না হত তাহলে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল তাতে খুব দ্রুতই জিয়া একজন পতিত সামরিক শাসক হতেন। বাংলাদেশের সামরিক শাসনের দৈর্ঘ্য কম হত। জিয়া যাতে পতিত সামরিক শাসক না হয়, বরং তাঁর একটি আরোপিত জনপ্রিয়তা তৈরি করা যায় এ জন্যে তাঁকে তাঁর ও সামরিক শাসনের স্রষ্টারা শেখ হাসিনা ফেরার পরপরই দ্রুতই হত্যা করে। দুই পরাশক্তির বিশ্বে গণতন্ত্র ঠেকাতে এমন খেলা তখন আমেরিকা নিয়মিতই খেলত।

জিয়াকে হত্যা করার পরে কিছুদিন জিয়ার ইমেজ তৈরির সুযোগ দেন এরশাদ ও তাঁর মদদদাতারা। তারপর জিয়ারই ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যে এরশাদ ক্ষমতায় আসেন।

এরশাদ ক্ষমতায় এসে, বিএনপিকে রাজপথের নেতৃত্ব নেওয়ার সুযোগ দিয়ে, নিজের ছাত্র সংগঠন বন্ধ করে দিয়ে, ছাত্রদলকে বেড়ে ওঠার সুবিধা দিয়েও তাঁর বা বাংলাদেশের সামরিক শাসন ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না।

১৯৮৩ সালের শেষভাগে বিশেষ করে সচিবালয় ঘেরাও আন্দোলনের ভেতর দিয়ে শেখ হাসিনা আন্দোলন যে পর্যায়ে নিয়ে এসেছিলেন তাতে দ্রুতই এরশাদের পতন হত। অন্যদিকে তখন অবধি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নামক দলটির ওই অর্থে কোনো অস্তিত্ব ছিল না। একজন রিপোর্টার হিসেবে তখন খালেদার নেতৃত্বাধীন সাত দলের বহু সমাবেশ ও মিছিল কভার করেছি, হাতেগোনা কিছু লোক থাকত ওইসব জনসভা ও মিছিলে। এর চেয়ে তখন এককভাবে বাসদের মিছিলও বড় হত। এ কারণে ওই সময়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৫ দলের নেতৃত্বে এরশাদের পতন অনেকটা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

বাংলাদেশের ইতিহাসের ওই সময়ে আরেকটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটানো হয়; যার মাধ্যমে এরশাদের শাসন ক্ষমতা দীর্ঘ হয় ও খালেদা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় পান। আওয়ামী লীগের এককভাবে পরিচিত নেতা আব্দুর রাজ্জাকই ছিলেন এই ঘটনার নায়ক। ১৯৮৪ সালে আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ ভেঙে 'বাকশাল' তৈরি করেন। আব্দুর রাজ্জাকের এই বাকশাল স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের অন্যতম বড় কনস্পিরেসিগুলোর একটি। এই কনস্পিরেসির চরিত্রের সঙ্গে চরিত্র মেলে ১৯৭২ সালে সিরাজুল আলম খানের 'জাসদ' তৈরির কনস্পিরেসি।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগে দুটি নতুন প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল, অর্থাৎ শেখ ফজলুল হক মনির যুবলীগ থেকে আসা আওয়ামী লীগের তরুণ নতুন নেতৃত্ব ও পঁচাত্তরের দুর্দিনে গড়ে ওঠা ছাত্র নেতৃত্ব।

সিরাজুল আলম খানের মতো আব্দুর রাজ্জাকও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের '৭৫-পরবর্তী গড়ে ওঠা তরুণ নেতৃত্বের মেধাবী অংশ নিয়ে যান সমাজতন্ত্রের স্লোগান দিয়ে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সেদিন কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টিও আব্দুর রাজ্জাককে এই আওয়ামী লীগ ভাঙতে সাহায্য করেছিল। তাঁরা এর ভেতরও সমাজতন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলেন।

সেদিন মূলত কোনো কোনো বিদেশি শক্তির এই দেশীয় এজেন্ট আব্দুর রাজ্জাককে দল ভাঙতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এমন কেউ কেউ কেন করে তা-ও এক রহস্য। তবে ওপরে তারা সমাজতন্ত্রের পক্ষের বা গণতন্ত্রের পক্ষের লোক হলেও বাস্তবে তারা ছিলেন সামরিক সরকারের পক্ষের লোক। এরা এখনও আছেন।

এরা কীভাবে কাজ করেন তার একটা উদাহরণ দিই। বঙ্গবন্ধু ছয় দফা দিলে তখন একের পর এক গ্রেপ্তার করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের। শেষ অবধি মাত্র কয়েকজন অবশিষ্ট ছিলেন। তারা প্রতিদিন একটি কেরোসিনচালিত হ্যারিকেন বাতি নিয়ে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ অফিসে বসতেন। তাদেরই একজনের সঙ্গে আশির দশকের প্রথমের দিকে গল্প করছি। এ সময় কথা প্রসঙ্গে বলি: "আপানাদের ভেতর অমুক তো কখনও গ্রেপ্তার হননি।"

তিনি হেসে বললেন: "ও কেন গ্রেপ্তার হবে। ও তো ছিল পুলিশের ইনফরমার।"

যাহোক, আব্দুর রাজ্জাকের এই দলভাঙার ভেতর দিয়ে এরশাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা বা বাংলাদেশে সামরিক শাসন দীর্ঘায়িত হয়। অর্থাৎ এরশাদের দ্রুত পতন ও শেখ হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি '৯১ সালের নির্বাচনেও বাকশাল শেখ হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে যথেষ্ট কাজ করেছিল সামরিক শাসকের পৃষ্ঠপোষকরা যখন বুঝতে পারে আর সরাসরি সামরিক শাসক রাখা যাবে না। অন্যদিকে খালেদার শরীরে একটি নেতৃত্বের মোড়ক মোটামুটি দেওয়া হয়ে গেছে, তখন এরশাদের পতন ঘটে।

এরশাদের এই পতনের ভেতর দিয়ে যাতে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না আসে সেজন্যও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ভেতর থেকে শুরু করে দেশে ও বিদেশে সর্বত্র ষড়যন্ত্র হয়। যা বিস্তারিত কখনও কোনো কলামে লেখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দরমহল নিয়ে যদি বই লেখার সময় সুযোগ হয় তখন হয়তো লেখা যাবে।

যাহোক, শুরু থেকে শেখ হাসিনা এই ষড়যন্ত্র বুঝতেন বলে তিনি কখনও তিন জোটের রাজনীতির পক্ষে ছিলেন না। তিনি সব সময়েই সর্বোচ্চ ১৫ দলের পক্ষে ছিলেন। সেদিন ১৫ দলের সঙ্গিদের চাপে, তাঁর দলের চাচা ও কিছু ভাইয়ের চাপে তাঁকে তিন জোটের রাজনীতি করতে হয়েছিল শেষ পর্যন্ত।

তিন জোটের রাজনীতি ছিল মূলত খালেদাকে প্রতিষ্ঠিত করার রাজনীতি ও জামায়াতকে একধরনের বৈধতা দেওয়া। এর তাত্ত্বিক দ্বায়িত্ব নেন সেসময়ে আওয়ামী লীগের ভেতর ড. কামাল হোসেন। শেখ হাসিনা আগের থেকেই তাঁর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানতেন। আর ততদিনে ভালো করে চিনে গেছেন। তারপরও তাদের কনস্পিরেসির বাইরে তিনি যেতে পারেননি। দেশি-বিদেশি এই ষড়যন্ত্রকারীদের বাংলাদেশি মুখগুলো শেষ অবধি সফল হয়। তারা এরশাদের পতনের পর সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতা বেসামরিক মোড়কে বাঁচিয়ে রাখতে সমর্থ হয় একটি নির্বাচনের ভেতর দিয়ে খালেদাকে ক্ষমতায় এনে।

এই কলামে বিস্তারিত লেখা সম্ভব নয় বলে অনেকেই নানা কূটতর্ক করার সুযোগ পাবেন। তবে ইতিহাসের প্রকৃত সত্য হল বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বের সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে '৯১ সালে খালেদাকে ক্ষমতায় আনা হয় বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারা বজায় রাখার জন্যে। আজকের এই বাংলাদেশের সামাজিক ও মানসিক ডেমোগ্রাফি প্রকাশ্যে বদলে যাওয়ার শুরুও ওই '৯১ থেকে।

'৯১-এর পরাজয়ের পরে শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন, আর যা-ই হোক ড. কামাল হোসেনকে দলের ভেতর রেখে কখনও আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারবে না। ঘরের ভেতর বিভীষণ রাখলে মেঘনাদের মতো মৃত্যু বা পরাজয় ছাড়া অন্য কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বিভীষণ বারবারই লক্ষ্মণকে যজ্ঞাগারে নিয়ে আসবে। তাই শেখ হাসিনা দল থেকে ড. কামালকে বের করার একটি উদ্যোগ নেন।

শেখ হাসিনার উদ্যোগের আগেই ড. কামাল গং ও ১৫ দলের ভেতরের তিন জোটের পক্ষ অবলম্বনকারীরা, অর্থাৎ খালেদাকে প্রতিষ্ঠিতকারীরা ততদিনে এক হয়েছে। এবার তারা মনে করে '৯১-এ শেখ হাসিনার এই পরাজয়ের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মনের ভেতর যে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিতে পারলে আওয়ামী লীগের পরিণতি মুসলিম লীগের মতো হয়ে যাবে। অন্যদিকে বাংলাদেশে সামরিক শাসনপপন্থি রাজনীতি চিরস্থায়ী হবে।

তাই '৯১-এর নির্বাচনে পরাজয়ের পরে ড. কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকী দুটি আড়োলন সৃষ্টিকারী চিঠি লিখে, দ্রুত একটি পত্রিকা বের করে, সে পত্রিকায় ওই চিঠি ছেপে শেখ হাসিনাকে কর্মীদের কাছে অপ্রয়োজনীয় করে তোলার চেষ্টা করেন। তাদের ওই হিসাবে সেদিন ভুল ছিল। তারা বুঝতে পারেননি, শেখ মুজিবুর রহমান একটি কর্মীদের দল তৈরি রেখে গেছেন। শেখ হাসিনাও ততদিনে কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল হতে শিখে গেছেন। তিনিও বুঝে গেছেন আওয়ামী লীগের এই বড় বড় নেতারা আসলে কিছু নন, আওয়ামী লীগের প্রাণ তার কর্মীরা।

যাহোক, কামাল হোসেন গং তারপরও বেশ কিছুদিন শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব থেকে সরানোর চেষ্টা করে যখন ব্যর্থ হন, তখন তারা ভিন্ন পথ নেন। তারা মনে করেন কামাল হোসেনের নেতৃত্বে যদি আওয়ামী লীগে আবার একটি ভাঙন সৃষ্টি করা হয় তা হলে খালেদার শাসন দীর্ঘ হবে। আর সেই কনস্পিরেসি থেকেই আওয়ামী লীগ ভেঙে সেদিন 'গণফোরাম' তৈরি করতে যান কামাল হোসেন।

ততদিনে শেখ হাসিনা ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ হয়ে যাওয়াতে কামাল হোসেন নেতা-কর্মীদের নিয়ে যেতে পারেন না আব্দুর রাজ্জাকের মতো। তিনি ১৫ দলের ভেতর থাকা খালেদা সমর্থক কমিউনিস্ট নেতা সাইফুদ্দিন মানিক ও অপর ন্যাপ নেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্য আর ড. ইউনূসসহ বেশকিছু আমেরিকান ও পাকিস্তানপন্থি এনজিও নেতা ও বুদ্ধিজীবী নিয়ে তৈরি করেন 'গণফোরাম'।

কর্মী হিসেবে সেখানে ছাত্র ইউনিয়ন ও যুব ইউনিয়ন থেকেই বেশির ভাগ আসে। আওয়ামী লীগ থেকে আসে বাদল হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোস্তফা মহসিন মন্টু।

সে সময়ের 'ইত্তেফাক' পত্রিকার তুখোড় রিপোর্টার বর্তমানের প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক শফিকুর রহমান সেদিন খুব চমৎকারভাবে ড. কামালকে প্রশ্ন করেছিলেন:

"হারিয়ে যাওয়া কিছু আওয়ামী লীগ, ঝরে পড়া কিছু কমিউনিস্ট আর বহিষ্কৃত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আপনি যে দল গড়েছেন, সে দলের ভবিষ্যৎ কী?"

কামাল হোসেন সেদিন বামপন্থিদের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, আমেরিকা সংসদীয় ক্যু করার মধ্য দিয়ে তাঁকে ক্ষমতায় বসাবে। অন্যদিকে যেদিন গণফোরাম হয় ওইদিন সাংবাদিক ও রাজনীতিক শফিকুল আজিজ মুকুল প্রেসক্লাবে বসে বলেছিলেন:

"কামাল হোসেন তো রাজনীতি করার জন্যে এ দল করেননি। তিনি মূলত এই দোকান খুলে অপেক্ষা করবেন প্রতি মুহূর্তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিপাকে ফেলার জন্যে। শেখ হাসিনাকে বিপাকে ফেলে দেশ থেকে বের করতে পারলে, নেতৃত্ব থেকে সরাতে পারলে এমনকি শেখ হাসিনাকে যদি কোনো শক্তি হত্যা করে তখন তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করবেন। আর এ লক্ষ্যে যা যা করার সেগুলো তিনি সব সময়ই করতে থাকবেন।"

শেখ হাসিনাকে নেতৃত্ব থেকে সরানো, দেশত্যাগে বাধ্য করার চেষ্টা, হত্যাচেষ্টা সবগুলোই হয়েছে। এগুলো মোকাবিলা করেই শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।

আর '৯১ থেকে এ অবধি গণতন্ত্রের মহান প্রবক্তা ড. কামাল তাঁর দলের কোনো কাউন্সিলও করেননি। তিনিই প্রেসিডেন্ট বিনা কাউন্সিলে। এখন সাইনবোর্ড আর তিনি আছেন। তারপরেও নিজের প্রণীত '৭২-এর সংবিধানের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়ালেন ষোড়শ সংশোধনীর মামলায় মূলত শেখ হাসিনার ক্ষতি করার জন্যে। অর্থাৎ এ ষড়যন্ত্রেরও সঙ্গি হলেন তিনি।

তাই 'গণফোরাম' মূলত একটি কনস্পিরেসির নাম।