মমতার সততা

সুখরঞ্জন দাশগুপ্তসুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
Published : 21 April 2017, 01:51 PM
Updated : 21 April 2017, 01:51 PM

কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে নতুন দল গঠন এবং ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত সারা পশ্চিমবঙ্গে হোর্ডিংয়ে হোর্ডিংয়ে সয়লাব ছিল 'সততার প্রতীক'। সঙ্গে ছিল মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি। আর ছয় বছরের মাথায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে দুর্নীতির এভারেস্টে।

শুধু তাঁর দলের এমপি-বিধাকরা নয়, তাঁকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এতদিন ধরে তিনি যে সততার ভান করে এসেছেন, তা ছিল মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ক্ষমতায় আসার জন্য তিনি বহু কোটি টাকা খরচ করে নিজস্ব মিডিয়া ক্লাব তৈরি করেছিলেন। এখন সেগুলো ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। তিনি জোর গলায় এখনও বলছেন:

"আমি এবং আমার দল কোনো অন্যায় করিনি। আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আমি সব কিছু করতে পারি এবং করব।"

তিনি ভুলে গেছেন যে তিনি আইনের ‍ঊর্ধ্বে নন। এই ভারতেই নজির আছে ১৯৯৯ সালে বিজেপি যখন ক্ষমতায়, তাদের দলের সভাপতি বঙ্গারু লক্ষ্মণ এই তহেলকার হাত থেকেই লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সে ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। তার চার বছরের জেল হয়েছিল।

তখন বঙ্গারু লক্ষ্মণকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে। এখন বিজেপি, বামফ্রন্ট, কংগ্রেস সকলেই প্রশ্ন তুলেছে, সদ্য সামনে আসা তৃণমূল নেতাদের কি জেল ছাড়া অন্য পথ আছে? সততার প্রতীক কোথায় গেলেন? ঐ হোর্ডিংগুলোই বা কোথায় গেল? আগামী কয়েক সপ্তাহে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে মানুষের সামনে।

সেই সূত্রেই বিধায়ক ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, সুলতান আহমেদ, আইপিএস অফিসার মির্জা, শোভন চট্টোপাধ্য়ায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, সাংসদ মুকুল রায়, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা, পোদ্দার, প্রসূন বন্দোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়– পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এই রত্নদের জেলে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

নারদ কাণ্ড (টিভির পর্দায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের ঘুষ খাওয়ার দৃশ্য সম্প্রচার) নিয়ে একেবারে দলের মাথা ধরে টান মারার দিকে এগোচ্ছে সিবিআই। আগে অভিযুক্তদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর প্রাপ্ত তথ্যের সূত্রে আসল জায়গায় হাত বাড়াবে তারা।

তৃণমূল কংগ্রেসের একেবারে শীর্ষ নেতৃত্ব বাদ দিয়ে যে এই ঘুষকাণ্ডের তদন্ত সম্পূর্ণ হতে পারে না, সেটা ইতিমধ্যেই সবাই বুঝে গিয়েছেন। তাই বিভিন্ন মহল থেকে জোরদার দাবি উঠেছে, সিবিআই যদি সত্যিই নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চায়, তাহলে মমতাকেও জেরা করা উচিত। শুধু তাই নয়, যেসব নেতা-মন্ত্রীর নামে সিবিআই ইতিমধ্যে মামলা রুজু করেছে তাদের নিজস্ব হেফাজতে নিয়ে অর্থাৎ গ্রেপ্তার করে পরবর্তী তদন্ত শুরু করার দাবি উঠতে শুরু করেছে।

সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লাইনেই তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে তারা। অভিযুক্তদের ভালো করে জেরা করে একেবারে মাথা ধরে টান দিতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। ইতিমধ্যেই সিবিআই অভিযুক্ত প্রত্যেককে তলব করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দিন সাতেকের মধ্যেই তাদের তলব করা শুরু হবে।

একসঙ্গে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে নাকি আগে প্রত্যেককে আলাদা করে জিজ্ঞাসা করা হবে সেটাই এখন দেখার। সিবিআইয়ের একটি মহল চেয়েছিল প্রত্যেককে আগে গ্রেপ্তার করে তারপর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে। কিন্তু একসঙ্গে এত প্রভাবশালী ব্যক্তিকে একসঙ্গে কোথায় রাখা হবে সেটাই সমস্যার। সেই কারণে আলাদাভাবে এগোতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, 'দুর্নীতি দমন আইন, ১৯৮৮'এর ৭ নম্বর ধারা এবং ১৩(২), ১৩(১) এ ও ডি ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও আইপিসির ১২০ (বি) ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, লালুপ্রসাদ যাদব থেকে জয়ললিতা, কানিমোঝিদের বিরুদ্ধে এই ধারাতেই সিবিআই এফআইআর রুজু করেছিল। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে আসলে কোন লাইনে এগোতে চাইছে তারা। যেসব ধারায় কদিন আগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে সেগুলির সবকটিই জামিন অযোগ্য। অর্থাৎ এই ধারায় অভিযুক্তদের হয় নিজস্ব হেফাজতে নয়তো জেল হেফাজতে রেখে তদন্ত চালানোর কথা।

ফৌজদারি কার্যবিধিতে বলা আছে, মারাত্মক রকম অপরাধের ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের হয় পুলিশি হেফাজতে নয়তো জেল হেফাজতে রেখে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে হবে। ফলে এক্ষেত্রেও অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের নিশ্চিত সিবিআই হেফাজতই চাওয়া হবে। নেতা বা মন্ত্রী বলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। সুদীপ বন্দ্যোপাধায় বা মদন মিত্রের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল, নানাভাবে তাঁরা নিজেদের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করলেও হেফাজতে নিয়েই তদন্ত প্রক্রিয়া চালিয়েছে সিবিআই। লোকসভার দলনেতা বা রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে তাঁরা বাড়তি একচুলও সুবিধা পাননি। তাঁরা আগাম জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন বটে, কিন্তু সে আবেদন ব্যর্থ হলে জেলে যাওয়া আরও সুনিশ্চিত হয়ে যাবে।

জানা গেছে, সিবিআই নিজস্ব সূত্রে পাওয়া তথ্য এবং বিভিন্ন লোককে জেরা করে প্রাপ্ত তথ্য অভিযুক্তদের জেরার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেবেন। সেখানে কোনোরকম অসঙ্গতি দেখতে পেলে তাঁকে চেপে ধরা হবে। জেরার মূল উদ্দেশ্য থাকবে এই কাণ্ডে আর কারা কারা জড়িত তাদের টেনে বের করা। ইতোমধ্যেই নারদ কাণ্ডের অডিও সূত্রে আরও ১৫ জন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীর নাম পেয়েছে সিবিআই। জেরার মাধ্যমে তাদের কীর্তির ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার চেষ্টা করবে তারা। ১৩ জনের থেমে থাকাটাই তাদের উদ্দেশ্য হবে না।

আসলে সিবিআই চাইছে প্রত্যেককে জেরা করে একেবারে গোড়ায় গিয়ে পৌঁছুতে। অর্থাৎ রাজ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে এই কাণ্ডের কী রকম যোগ আছে তার প্রমাণ জোগাড় করা। যোগ থাকাটা যে অনিবার্য সেটা বেশ ভালো বুঝতে পেরেছেন সিবিআই কর্তারা। ইতোমধ্যে নারদ কাণ্ডের ভিডিও-অডিও টেপ যাচাই করে সিবিআই বেশকিছু সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে যাতে পরবর্তী পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করা যায় সেদিকেই 'পাখির চোখ' তাদের।

ইতোমধ্যে ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করে আদালত জানতে পেরেছে নারদ কাণ্ডের প্রতিটি ফুটেজ নির্ভেজাল। কোথাও কোনোরকম বিকৃতি করা হয়নি। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের ১২ জন নেতা এবং আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তারা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। গত মাসে হাই কোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিমীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বেঞ্চ বলেছিল, সিবিআই যদি মনে করে অভিযোগের সারবত্তা আছে তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়ে এফআইআর করতে হবে। ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সেই সময়সীমা বাড়িয়ে এক মাস করে। তার মধ্যেই মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তনমন্ত্রী মদন মিত্র, সাংসদ মুকুল রায়, সুলতান আহমেদ, কাকলী ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, প্রসূন বন্ধ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এবং বিধায়ক ইকবাল আহমেদ ও আইপিএস অফিসার মির্জার বিরুদ্ধে নিজেদের দুর্নীতি দমন শাখায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআিই।

সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে অভিযুক্ত ১৩ জনকে প্রথমে ডেকে জেরা করা হবে, পরে তাদের গ্রেপ্তার করবে সিবিআই। পরবর্তী স্তরে জেরা ও গ্রেপ্তার করা হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যে দাবি নিয়ে রাস্তায় নামছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।

নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত ১৩ জনের পাশাপাশি আরও ১৭ জন প্রভাবশালীকে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। খুব শিগগিরই তাদেরও জেরা শুরু করতে চায় তারা। শুধু তাই নয়, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেইসব অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। নারদ ভিডিওর অসম্পাদিত অংশ ভালো করে বিশ্লেষণ করে ঐ ১৭ জনের হদিশ মিলেছে। কখনও অডিও সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে ১৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারুর হয়তোবা নাম অডিওতে শোনা যায়নি, কিন্তু পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে মূল লোকটিকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন সিবিআই অফিসাররা।

এদের মধ্যে এ রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা যেমন আছেন, রয়েছেন ভিন রাজ্যের প্রভাবশালীরাও। বর্তমান ১৩ জন অভিযুক্তর সঙ্গে এই ১৭ জনের যোগাযোগের প্রয়োজন পাওয়া গেছে। সিবিআই সূত্রে খবর অসম্পাদিত ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এরাও দুর্নীতিতে জড়িত। জানা গেছে, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাকি ১৭ জনকে জেরা করা শুরু হবে। আর অভিযুক্ত ১৩ জনের জেরা পর্ব শুরু হবে সাত দিনের মধ্যেই।

অভিযুক্ত ১৩ জনকে এবং এই ১৭ জনকে ম্যাথু স্যামুয়েলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করারও পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ম্যাথু স্যামুয়েলের বক্তব্য সূত্রে এদের বক্তব্যের অসঙ্গতি চিহ্নিত করাই হবে লক্ষ্য। ম্যাথু ম্যামুয়েল গত মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ভিডিও ফুটেজটি তোলা হয়েছিল বটে, কিন্তু ইতোমধ্যে ৫০ বার তৎকালীন কর্তৃপক্ষকে সেটা প্রকাশ করতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু মালিকপক্ষ রাজি হয়নি।

বলাবাহুল্য ম্যাথু সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কেডি সিংয়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন। কারণ কেডিই তখন 'তহেলকা ডটকম'এর মালিক ছিলেন। পরে ম্যাথু বেরিয়ে এসে 'নারদ ডটকম' খোলেন। ম্যাথুর বক্তব্য: চেয়েছিলাম লোকে যেন এই দুর্নীতির খবর তাড়াতাড়ি জানতে পারে। কিন্তু তার কোনো উপায় ছিল না। নিজস্ব এজেন্সি খোলার পর তিনি স্টিং অপারেশনটি দেখানোর সুযোগ পান। বাকি সব তথ্য তিনি সিবিআই ও আদালতকে জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।

এদিকে তৃণমূলের প্রথম পাঁচ বছরে রাজ্যে কমপক্ষে ১৬ হাজার হাওলা কোম্পানির জন্ম হয়েছিল। তার মধ্যে প্রায় ১২ হাজার হাওলা সংস্থাকে নোটিশ পাঠাল কেন্দ্র। ভুয়া এইসব হাওলা কোম্পানির মধ্যে চিটফান্ডসহ বিপুল পরিমাণে কালো টাকা পাচার করা হয়েছে।

রাজ্যে হাওলা কোম্পানি কত তার সঠিক তথ্য সন্ধানে এখনও হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। চিটফান্ড কাণ্ড ও নোট বাতিলের ঘটনার পর এই হাওলা কোম্পানিগুলি গোয়েন্দাদের নজরে আসে। সারা দেশের মধ্যে এরাজ্যে হাওলার কারবার খুবই রমরমা। টাকা পাচারের ঘটনা আয়কর দপ্তরের নজরে আসাতেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। সম্প্রতি রেজিস্টার অব কোম্পানি (আরওসি) রাজ্যের এধরনের ১১ হাজার ৯৫৫টি হাওলা কোম্পানিকে নোটিশ পাঠিয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে তাদের নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আরওসি সূত্রে বলা হয়েছে, এই কোম্পানিগুলির লেনদেন নিয়ে নানা ধরনের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি লেনদেনই করেনি। কিংবা লেনদেন করলেও সে বিষয়ে কোনো রিপোর্ট নেই আরওসির কাছে। নোটিসে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোম্পানিগুলি যদি কোনো কাজই না করে তবে তার রেজিস্ট্রেশন কেন বাতিল করা হবে না?

হাওলার মাধ্যমে কালো টাকা পাচারের বিষয়ে আয়কর দপ্তর আরওসির সাহায্য চায়। আয়কর দপ্তর সেসব কোম্পানির বিষয়ে তথ্য চায় আরওসির কাছে। ঐ চিঠির পরিপ্রেক্ষিত্রেই সংস্থাগুলির কাছে নোটিশ পাঠানো হয়। এদিকে নোটিশ পাঠাতে গিয়ে বেশকিছু হাওলা কোম্পানিরই হদিশ মেলেনি। আরওসির এক কর্তা জানান, ভুয়া ঠিকানায় সেসব কোম্পানি করা হয়েছে। অস্তিত্বহীন এইগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।