আগুনমুখার মেয়ের কথা

দিল মনোয়ারা মনু
Published : 8 March 2017, 07:06 AM
Updated : 8 March 2017, 07:06 AM

বরিশালের নদীর ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে অনেক দ্বীপপুঞ্জ। রয়েছে সেখানে 'আগুনমুখা' নামের একটি ভয়ঙ্কর নদীও। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা পটুয়াখালীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আগুনমুখার সঙ্গে এসে মিলেছে আরও ছয়টি নদী। এ নদীর গতিপ্রকৃতি হচ্ছে শীতে সভ্য-শান্ত, বর্ষায় ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়া। বর্ষায় দুকূল ছাপিয়ে এ নদী টেনে নিয়ে যায় ঘরবাড়ি, ফসল, এমনকি মানুষও; মুহূর্তে বিধ্বস্ত করে বিশাল জনপদ।

এই নদীর পাড়ে নানা প্রতিকূলতা, অসমতা, অন্যায্যতা ও বিরুদ্ধ পরিবেশের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেড়ে উঠেছেন সময়ের সাহসী ও প্রতিবাদী, আজকের আপসহীন মেয়ে নূরজাহান বোস। লড়াকু সমৃদ্ধ জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখলেন আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক অনবদ্য জীবনকথা 'আগুনমুখার মেয়ে', যার পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস সমাজ নির্মাণ ও বির্বতনের এক সার্থক চালচিত্র। একে দেশ-কাল-সময়ের এক অনবদ্য দলিলও বলা যায়। এই আত্মজীবনীমূলক বইটি এ বছর পেল 'বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার'। এর কয়েক বছর আগে পেয়েছিল 'অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার'।

এক প্রবন্ধে মার্কিন জননন্দিত প্রাবন্ধিক দার্শনিক জর্জ সান্তায়ানা বলেছিলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে অনেক নাটকোচিত ঘটনা থাকে। লেখার মাধ্যমে সেই সময়ের সেই ঘটনা, সংগ্রাম, সংকট, সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে জননন্দিত হয়েছেন অনেকে।

আগুনমুখা নদীর তীরের আগুনমুখার মতো প্রবল শক্তিতে বলিয়ান, সাহসী-সংগ্রামী নারী নূরজাহান বোস অনায়াসে অকপটে আটপৌরে ভাষায় তা লিখে গেছেন। বিশাল ক্যানভাসে ধরে রাখা সেইসব স্মৃতি যা আগুনমুখা নদীর তীর থেকে সুদূর ওয়াশিংটনের পটোমাক নদীর পার পর্যন্ত বিস্তৃত। এ যেন ভাঙাগড়ার দোলাচলের এক 'শিকল ভাঙ্গার গান'।

মায়ের আদলে জীবনটা গড়ে নিতে চেয়েছিলেন নূরজাহান। তাই মায়ের কথা দিয়েই তাঁর আত্মজীবনীর শুরু। প্রতিদিনের দিনযাপনের ঘটনার মধ্য দিয়ে তাঁর ঘাত-প্রতিঘাতময় জীবন সংগ্রামের নিখুঁত বর্ণনায় অসম্ভব জীবন্ত হয়ে উঠেছে ধীর-স্থির, সাহসী, মুক্তচিন্তার মায়ের চরিত্র। তিনি শুধু সেখানে নূরজাহানের মা হয়ে থাকেননি, শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠেছেন আমাদের গ্রাম-বাংলার প্রত্যেক খেটে-খাওয়া, সংগ্রামী মায়ের এক নির্ভেজাল প্রতিমূর্তি।

বনেদী রক্ষণশীল পরিবারের মেয়ে নূরজাহনের মা। অর্থ, প্রতিপত্তি, ক্ষমতাশালী স্বামীর বাড়িতে বউ হয়ে এসে তিনি মানসিক স্বস্তি ও শান্তি কখনও পাননি। শত অত্যাচার, বৈষম্য ও নির্যাতনের মধ্যে স্বভাবজাত নিজ গুণে নিজ মর্যাদায়, স্বাধীন চিন্তা নিয়ে বাঁচতে চেয়েছেন। লেখাপড়া না জানা সত্ত্বেও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে মেয়েদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চেয়েছেন। নিজের জীবনের ছায়া ওদের জীবনে পড়ুক– এটা তিনি কখনও চাননি। সন্তানদের শিখিয়েছেন ভালো করে কথা বলতে, সুন্দরভাবে খেতে, ভদ্র আচরণ করতে। রান্না করতে করতে পাশে বসিয়ে সন্তানদের পড়াতেন।

এই বইয়ে নূরজাহান গ্রামের চারপাশের মানুষের জীবন, নিজের আত্মীয়-স্বজন অনেকের কথাই বলেছেন, কিন্তু সেখানে বিশিষ্ট হয়ে আছেন তাঁর শক্তিময় দৃঢ়প্রত্যয়ী মা। বোঝা যায়, মা-ই তাঁর একমাত্র শিক্ষাগুরু, পথপ্রদর্শক; এক কথায় জীবনগড়ার কারিগর।

এই বই পাঠে আমরা যত অগ্রসর হই ততই চোখের সামনে উন্মোচিত হয় নূরজাহান বোসের কঠিন জীবন-সংগ্রামের চমকপ্রদ অধ্যায়। যেখানে রয়েছে জীবনের নানা বাঁকের সংগ্রাম এবং ওৎ পেতে থাকা বিরুদ্ধ প্রতিবেশ এবং নানা চমকপ্রদ বৈষম্যের ঘটনা। অজ চর এলাকার চরবাইশদিয়া গ্রাম সেই সময় ছিল জোতদার এবং লাঠিয়ালদের অধীনস্থ এক প্রবল সামন্ত রাজত্ব। ১০-১২ বছর বয়সেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত। জোতদারদের থাকত চার-পাঁচজন বৈধ স্ত্রী, অনেক দাস-দাসী এবং উপপত্নী। পুরোপুরি সমাজপ্রগতির বিরুদ্ধ, দমবন্ধ, এক দুঃসহ পরিবেশে ১৯৩৮ সালের ১৪ মার্চ নূরজাহানের জন্ম হয়। সেখানকার অসংখ্য গ্রাম্যবালিকার মতো হারিয়ে না যেয়ে, অবমাননাকর পরিস্থিতির কাছে মাথা নত না করে, সেই মধ্যযুগীয় কারাগার ভেঙে আলোর পথে এলেন তিনি এবং সারাজীবন সেই অন্ধ সমাজব্যবস্থা এবং বিরুদ্ধ পরিবেশের গোড়ায় আলো ছড়ালেন।

দেশে ও দেশের বাইরে তাঁর উত্থান-পতন, সম্ভাবনা, ঘাত-প্রতিঘাতে চূর্ণ-বিচূর্ণ অসংখ্য বাস্তব ঘটনায় ভরপুর 'আগুনমুখার মেয়ে' নামক বইটি। এ সংগ্রাম প্রকৃতির সঙ্গে, পুরুষতন্ত্রের সঙ্গে। এর সঙ্গে যুগপৎ মিশেছে সেই সময়ের রাজনীতি। উপকূলবর্তী মানুষের জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাত নিয়ে লেখা এমন অনবদ্য জীবনচিত্র আগে কখনও উঠে এসেছে বলে আমার জানা নেই।

বামপন্থী যুবনেতা ইমাদুল্লাহর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে এবং আট মাসের মাথায় তাঁর অকালমৃত্যু এবং সেই মৃত্যুর জন্য শুধুমাত্র নারী বলে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী নূরজাহানকে দায়ী করা, এমনকি স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীকে তাঁর মুখ দেখতে না দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনায় পাঠকমাত্র বিচলিত হন।

এই অবমাননাকর ঘটনার মর্মযাতনা নিয়ে আগামীর পথচলার জন্য যে দীর্ঘতর সংগ্রাম চলে তা উল্লেখ করার মতো। সন্তানের জন্য বেঁচে থাকার আকুলতা এবং আপসহীনতা তাঁকে নতুন করে জাগিয়ে তুলল। বরিশালে এসে ছোটখাট একটা চাকরি নিলেন। পড়াশোনাও শুরু করলেন। অতঃপর আইএ এবং বিএ পাস করেন। সদ্য জেলফেরত প্রয়াত স্বামীর বন্ধু স্বদেশ বোসকে বিয়ে করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেন তিনি এই সময়ে। যদিও এই বিয়ে বহু ঘটনা, নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছিল– হিন্দু-মুসলমানের এই বিয়ে শুধু আত্মীয়-স্বজন ও কটরপন্থী মুসলমানরাই নয়, তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরাও সহজভাবে নিতে পারেননি। সাহসের সঙ্গে সব বাধা অতিক্রম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাঁরা। বিয়ের পরবর্তী সময়ে তাদের নিজেদের এবং সন্তানদের জীবন হুমকির মধ্যে আতঙ্কিত সময় কাটাতে হয়েছে, কিন্তু সাহস হারাননি কখনও।

এ ধরনের সাহসী প্রতিবাদী নির্ভীক ঘটনা ছড়ানো এই বইয়ের পরতে পরতে। বইটিতে শুধু তাঁর শৈশব-কৈশোর ও কর্মজীবনের কথাই রয়েছে তা নয়, এর পাশাপাশি রয়েছে সময়ের রাজনীতি, সমাজনীতি ও অসংখ্য সুযোগবঞ্চিত নিপীড়িত নারীর কঠিন জীবনসংগ্রামের কথা। রয়েছে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে অনেক নিকটজনকে হারানোর বেদনার কথা। গতিশীল সাবলীল বর্ণনায় বইটিতে যেন আগুনমুখা নদীর মতোই এক সাহসের প্রতিফলন ঘটেছে।

মাত্র দশ বছর বয়সে লেখাপড়া শেখার জন্য গ্রাম ছেড়ে বরিশাল যান নূরজাহান। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে কমিউনিস্ট আদর্শে দীক্ষা নেন। সেখান থেকেই পর্যায়ক্রমে ঢাকা, করাচি, ক্যামব্রিজ, ওয়াশিংটন অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দশ বছরের সেই মেয়েটি আজ সত্তরের সাহসী সংবেদনশীল এক লড়াকু মানবাধিকার কর্মী। যিনি আমাদের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

এখানে উল্লেখ করতে হয়, তিনি তাঁর বাবার রহস্যময় আমুদে চরিত্র চিত্রনে প্রচণ্ড রসবোধের পরিচয় দিয়েছেন। বাবা তাঁর স্ত্রীকে সমমর্যাদা দেননি, কিন্তু একটি দিনও স্ত্রীকে ছাড়া থাকতে পারেননি, এমনকি জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত স্ত্রীর শয্যা পর্যন্ত। গ্রামে প্রায়ই সার্কাস, মেলা, যাত্রা ইত্যাদি আয়োজন করতেন তিনি। আবার মাঝেমধ্যে পরিবার-পরিজন ছেড়ে উধাও হয়ে যেতেন। এই আমুদে পরোপকারী মানুষটি একসময় আফিমে আসক্ত হয়ে পড়লে পরিবারে সাময়িক বিপর্যয় নেমে আসে। পরে অবশ্য এই আসক্তি থেকে মুক্ত হন তিনি।

তাঁর জীবনের দুই শক্তিশালী প্রতিভাবান পুরুষ কমরেড ইমাদুল্লাহ ও স্বদেশ বোসের দুটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন তিনি, যা শুধু বিস্মিত নয়, ভারাক্রান্তও করেছিল তাঁকে। বসন্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ইমাদুল্লাহ চিকিৎসা গ্রহণ না করে সরল বিশ্বাসে মায়ের কথায় শরীরে মাদুলি ধারণ করেন। এর ফলেই ইমাদুল্লাহর অকালমৃত্যু ঘটে এবং সন্তানসম্ভবা তরুণী নূরজাহানের জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে উচ্চশিক্ষিত আধুনিক সাম্যবাদী স্বামী ড. স্বদেশ বোসের বেলায়। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নূরজাহানকে তিনি এতটুকু উৎসাহ দেননি। বরং বলেছিলেন– "পড়তে চাইলে নিজে অর্থ যোগাড় করে পড়।"

আত্মজীবনী লিখতে গিয়ে নূরজাহান সবই লিখেছেন অকপটে। নিগৃহীত নারীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য যে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলছে সেই সাহস ও সংগ্রামের কাহিনী শুধু নয়, এখানে প্রাত্যহিক জীবন ও টানাপড়েনের কথাও রয়েছে। রয়েছে গৃহশিক্ষক খালেক স্যারের কথা। যিনি পড়ার ফাঁকে ফাঁকে মার্কসবাদ লেলিনবাদের দীক্ষা দিয়েছেন তাঁকে। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন প্রগতিশীল আন্তর্জাতিক ক্লাসিক সাহিত্যের সঙ্গে। রয়েছে '৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলি চালানোর প্রতিবাদে পটুয়াখালীর স্কুল থেকে ছাত্রীদের নিয়ে তাঁর প্রতিবাদ মিছিল বের করার কথা। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অর্থসংগ্রহের কথাও।

বরিশালের বিখ্যাত মনোরমা বসু মাসিমার সঙ্গে নূরজাহানের ছিল সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে গভীর যোগাযোগ। মাসীমার বাড়িটি ছিল যেন একটি 'কমিউন'। সেখানে জেলখাটা এবং আত্মগোপনের ফাঁকে ফাঁকে বহু কমিউনিস্ট কর্মী আশ্রয় নিতেন। ১৯৩৩-৩৪ সালে তিনি মাতৃমন্দিরে সমাজ পরিত্যক্ত আবাস কেন্দ্র খোলেন এবং এদের পড়াশোনার জন্য সেখানে খোলেন স্কুল। দেশ ও জাতির প্রতিটি দুর্যোগে রাজনৈতিক-প্রাকৃতিক সংকটে এবং মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসীম সাহস নিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করেছেন।

স্বাধীনতার পর স্বামীর সঙ্গে ওয়াশিংটনে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন। স্বামী ড. বোস তখন বিশ্ব ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। নূরজাহান বোস 'সংহতি' নামে জনকল্যাণমূলক একটি সংগঠন গড়ে তুলে শুধু সেখানে নয়, নিজ দেশের অসহায় সুযোগবঞ্চিত নির্যাতিত নারীদের কল্যাণের জন্য কাজ করে চলেছেন। 'সংহতি' ছাড়াও অন্য বেশ কয়েকটি দেশে নির্যাতিত নারীদের মানসিক ও আইনগত সহায়তা দেওয়ার জন্য সাপোর্ট গ্রুপ হিসেবে 'আশা' নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। এখনও দেশের দূর্গত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মাঝে সংগৃহীত ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ছুটে যান তিনি। নিজ এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য 'শেলটার' ও 'স্বাস্থ্য ক্লিনিক' গড়ে তুলেছেন। পাশাপাশি নারীদের অধিকার ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য কর্মসূচি চালাচ্ছেন। রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার দুটি গ্রামেও এ ধরনের কর্মসূচি চালাচ্ছেন।

আত্মজৈবনিক ৩০৭ পৃষ্ঠার বইটি শেষ করেছেন তিনি যে কথা বলে এখানে তা উল্লেখ না করে পারছি না:

"সারা পৃথিবী ঘুরে ক্লান্ত হয়ে জীবনসায়াহ্নে আজ আমি আমার আগুনমুখার পাড়েই ফিরে এলাম। অনেকটা স্যামন সাহের মতোই মৃত্যুর পূর্বে যেন নিজের মাটিতে প্রত্যাবর্তন। আমরা শুধু তার দুর্গম পথরেখাটি মনে রাখতে চাই, যে পথ শেষ পর্যন্ত বহু দেশ ঘুরে নিজের দেশেই ফিরে এসেছে।"

যারা সামাজিক, মানবিক কর্মযজ্ঞে নিবেদিত হতে চান তাদের জন্য বইটি পড়া অপরিহার্য। এতে যেমন বিষাদ আছে, আনন্দ-বিরক্তি আছে তেমনি ভালোবাসা আছে এবং তা নিখাঁদ সত্য। অক্লান্ত এই জীবনযোদ্ধার আত্মজীবনী আজও চলমান জীবন্ত এবং উত্তপ্ত এই চলমানতা অব্যাহত থাকুক এই কামনা করি।

লেখিকাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন।