হত্যার সারিতে প্রফেসর রেজাউল এরপর কে

রাহমান নাসির উদ্দিন
Published : 25 April 2016, 04:46 AM
Updated : 25 April 2016, 04:46 AM

একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছে মহাশক্তিশালী(!) 'দুস্কৃতিকারীরা' বা 'অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা'; আর আমরা মৌসুমী 'হা-হুতাশ' নিয়ে সাময়িক উত্তেজনায় 'মানববন্ধন' এবং 'মৌনমিছিল' করেই চলেছি। উত্তেজনায় কয়েক দিন মৌন মিছিল করি; তারপর সবাই আবার মৌন হয়ে যাই। হত্যার ঘটনা তখন গৌণ হয়ে যায়। অজ্ঞাতনামা সন্ত্রসীরা অজ্ঞাতেই থেকে যায়; তারা আর জ্ঞাত হয় না।

এদিকে হত্যার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর আমাদের করিৎকর্মা বাহিনীর লোকজন 'হত্যা পদ্ধতি'র সাদৃশ্য কিংবা বৈসাদৃশ্য তুলনা করে 'ব্লগার হত্যা'র সঙ্গে মিলিয়ে আমাদের বুঝিয়ে দেন 'ওনাকে মারা হয়েছে' মূলত 'মুক্তমনা' বলে। অর্থাৎ মুক্তামনা মানেই হত্যা জায়েজ! প্রাথমিক ধারণা হিসাবে একই স্ক্রিপ্ট পাঠ করে হত্যাকারী সম্পর্কে আমাদেরকে একটা ধারণা দেওয়া হয়, 'হত্যাকারী সেই একই গোষ্ঠীর লোক'।

এসব চিত্রনাট্য আমরা দেখে আসছি দীর্ঘকাল ধরে। এভাবে আর কত? হত্যার সারিতে এখন যোগ হল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের প্রফেসর এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর নাম। এখন আমাদের অপেক্ষার পালা কবে নির্দিষ্ট বিরতি দিয়ে আরেক জন খুন হবেন। স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন জাগে, এরপর কে?

সকাল বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে যাওয়া পথে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর রাস্তার পাশে লাশ হয়ে পড়ে যান। পেছন থেকে মোটরযান যোগে এসে দুই ব্যক্তি ঘাড়ের উপর চাপাতির কোপ দিয়ে হত্যা করে সামনের দিক দিয়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লাশ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকেন দশ মিনিট আগে বাসা থেকে বের হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর।

কোন দেশে বাস করি আমরা! এতে আমরা কী বার্তা পাই? এ-হত্যার মধ্য দিয়ে হত্যাকারীরা নতুন করে এটাই জানান দিয়ে যায় যে, তারা পারে; তারা যা চায় তা করতে পারে; তারা যা বলে তা করার হিম্মত রাখে; রাষ্ট্র তাদের কিছুই করতে পারে না। অতীতে পারেনি আর ভবিষ্যতেও পারবে না।

আর আমাদের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর হলুদ ফিতার বেস্টনিতে 'ক্রাইম সিন' তৈরি করে নানান আলামত সংগ্রহের মহড়া দেয়; নানান টেকনিক্যাল গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মিডিয়ার মাধ্যমে জাতিকে গবেষণা-ফাইন্ডিংস জানায় যে, 'এটা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্যান্য মুক্তমনা হত্যাকাণ্ডের একটা গভীর মিল রয়েছে'। এ মহা 'জ্ঞান' আমরা নিয়মিতভাবে হজম করে একেক জন ক্রমান্বয়ে জ্ঞানী-গুণীজন হয়ে উঠছি!

রাষ্ট্রীয় গুরুদের বাহবা দিই! কিন্তু এটা যে রীতিমতো জাতির সঙ্গে এক ধরনের তামাশা এবং মৌসুমী মশকরা এটা বোঝার জন্য কামেল-বুজুর্গ হওয়ার দরকার নেই। রাষ্ট্র নিয়মিতভাবে এ সার্কাস প্রদর্শন করছে বলেই যারা এসব সিরিয়াল কিলিং করছে, তারা তাদের মিশন অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং সফলতার সঙ্গে অব্যাহত রেখেছে।

অধ্যাপক রেজাউল হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আমি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছি:

"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কেন হত্যা করা হল? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। তাঁর অপরাধ কী? তিনি সেতার বাজাতেন, এটা তাঁর অপরাধ? সাহিত্য পত্রিকা 'কোমলগান্ধার'এর সম্পাদক ছিলেন, এটা অপরাধ? 'সুন্দরম' সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন এটা অপরাধ? তিনি একজন মুক্তমনা মানুষ ছিলেন, এটা অপরাধ? তিনি একটি গানের স্কুল করতে চেয়েছিলেন, এটা অপরাধ?''

''এসব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? আইএস এ-হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করে বেহুদা ক্রেডিট নিচ্ছে; জঙ্গি তৎপরতা বলে এ-হত্যাকে গড়পড়তা বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে; মিডিয়া উঠেপড়ে লেগেছে এটাকে 'ব্লগার হত্যা'র ধারাবাহিকতা হিসেবে চালিয়ে দিতে; যেন ব্লগার হলেই খুন করা জায়েজ! কিন্তু এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে, রাষ্ট্র কই? রাষ্ট্র বলে কিছু কী আদৌ আছে?"

তবে, আমি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধের প্রতি আঙুল তোলার পাশাপাশি আমাদের সম্মিলিত উদাসীনতা এবং শহুরে নাগরিক মধ্যবিত্তের লোক-দেখানো 'রাজনৈতিক সেনসিটিভিটি'কেও এ-ধরনের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করব। কারণ, এ-ধরনের হত্যাকাণ্ডের পর আমরা সব সময় কিছু রুটিন কাজ করে থাকি যা ক্রমান্বয়ে একটা 'প্রতিবাদ-রিচ্যুয়ালস'এ পরিণত হয়েছে যা নিয়ে আরও বহুবার আমি পত্রিকান্তরে লিখেছি।

এ পর্যন্ত যত ব্লগারকে হত্যা করা হয়েছে কিংবা যত মুক্তমনা মানুষকে হত্যা করা হয়েছে কিংবা তনু ধর্ষণ-হত্যার মতো যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, হত্যাকাণ্ডের পরপর আমরা একই 'রিচ্যুয়াল' পালন করেছি এবং এসব রিচ্যুয়ালের ভেতর দিয়ে 'জাতীয় হা-হুতাশ' প্রকাশ করেছি যাকে আমি বলি প্রতিবাদ-সমাবেশ কিংবা বিক্ষোভ-আন্দোলন নয়; এটা এক ধরনের 'মৌসুমী উত্তেজনা'।

যেমন, এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পর পরই ফেইসবুকের দেয়ালে দেয়ালে গরম গরম প্রতিবাদের স্ট্যাটাস দেখা যায়। কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু মানববন্ধন প্রদর্শনী হবে কিংবা মৌন মিছিল হবে; সুশীলদের বিশেষ মন্তব্য ছাপানো হবে সংবাদপত্রগুলোতে; টকশোতে টকাররা গরম গরম 'টক' করবেন; সংবাদপত্রের উপ-সম্পাদকীয়র বাজার কয়েক দিন বেশ রমরমা যাবে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আর মিডিয়ার বরাত দিয়ে আমাদের গেলানো হবে যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কাজ করছে! তদন্ত এগিয়ে চলছে! কয়েক দিন পর সবই হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। তারপর আরেক জনকে খুন করা হবে। আবার একই রিচ্যুয়ালস চলবে।

সত্যিকার অর্থে এসব একের পর এক ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে আমাদের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্রের মুরোদ এবং নাগরিক-নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রের সক্ষমতা/সদিচ্ছার একটা সুরত বুঝতে পারছি। যেখানে মানুষের স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং মুক্তভাবে চিন্তা করবার ও প্রকাশ করবার কারণে কিংবা একজন সংস্কৃতিমনা/সংস্কৃতিসেবী মানুষ হওয়ার 'অপরাধে' জোটে শকুনের চাপাতির আঘাত এবং অবধারিত নৃশংস মৃত্যু, সেখানে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ফিরিস্তি সর্বজনের সঙ্গে নিষ্ঠুর মশকরা ছাড়া আর কিছুই নয়। জননিরাপত্তার বাকোয়াজ যে কেবলই ফাঁকা বেলুন, যা টোকা দেওয়ার আগেই ঠুস করে ফুটে যায় সেটাও আমরা আবার নতুন করে বুঝলাম।

আমি পত্রেকান্তরে লিখেছি, এদেশে মুক্তচিন্তার পরিবেশ, মুক্তিবুদ্ধির চর্চার পরিসর, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা চিন্তার স্বাধীনতা বলে আসলে কিছুই নেই। সবই বুলিবাজি। রাষ্ট্র তার অক্ষমতা ঢাকার জন্য এসব রাষ্ট্র করে। সেই কারণেই আজ শুধু মুক্তচিন্তার লেখক নয়, মুক্তচিন্তক লেখকের প্রকাশকই নয়, সংস্কৃতিমনা এবং সাংস্কৃতিক-চর্চার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষও চাপাতির সীমানার বাইরে নয়। প্রফেসর রেজাউলের হত্যাকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে, নন্দন সংস্কৃতি বলে কোনো কিছুই এদেশে আর মুক্তভাবে চর্চার নিরাপদ পরিবেশ নেই।

তাই, এসব তথাকথিত 'দুষ্কৃতিকারী' এবং 'আততায়ীদের হুমকি' বিবেচনায় নিয়ে 'পহেলা বৈশাখে'র অনুষ্ঠান বিকালে পাঁচটার মধ্যে শেষ করার সরকারি সিদ্ধান্ত কেবল রাষ্ট্রের অক্ষমতার স্মারক হয়ে থাকবে তা নয়, আমার পূর্বোক্ত বক্তব্যেরও ন্যায্যতা দেয়।

অনেকে এটাকে ক্রমবর্ধমান জঙ্গিবাদের প্রতিফল হিসাবে দেখার চেষ্টা করেন। আমাদের মনে রাখা জরুরি যে, বাংলাদেশ উনিশশ একাত্তরে তিরিশ লক্ষ শহীদের আত্মদান এবং দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের মূল্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম লাভ করলেও এদেশে ধর্মীয় মৌলবাদ নানানভাবে নানান-প্রক্রিয়ায়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এমনকি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় পর্যন্ত দেখেছি, যাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে ধর্মীয় উগ্রপন্থী গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় আসকারা পেয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

আমরা যতই ধর্মীয় উগ্রপন্থীদেরকে শক্তহাতে দমন করবার ঢেঁকুর তুলি না কেন, এটা যে সমাজে এখনও বহাল তবিয়তে জারি আছে এবং একই শক্তি নিয়ে সমাজের সর্বত্র বিরাজ করছে, একের পর এক ব্লগার হত্যাকাণ্ড তা আমাদের সামনে আবার নতুন করে হাজির করে; আমাদেরকে নতুন করে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে তাদের অস্তিত্বের জানান দেয়।

মুক্তচিন্তার এবং সংস্কৃতিমনা মানুষের উপর এ রকম সিরিয়াল আক্রমণ কেবল কিছু মানুষকেই হত্যা করছে না, ক্রমান্বয়ে গলা টিপে হত্যা করছে এদেশের স্বাধীন ও মুক্তচিন্তার পরিবেশ, এদেশের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সীমাহীন সম্ভাবনা এবং সুস্থ সংস্কৃতিচর্চার মুক্ত পরিবেশ।

তাই, প্রফেসর রেজাউল হত্যাকাণ্ড কেবল একটি মামুলি 'অপরাধমূলক কার্যক্রম' (ক্রিমিনাল একটিভিটি) হিসেবে না-দেখে, এটাকে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর সুদূরপ্রসারী ভয়ঙ্কর একটি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিতে হবে। আর রাষ্ট্র যদি সব সময়ের মতো এবারও কায়দা করে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে সামাল দিতে যায়, সে নিজেই খুব শীঘ্র বড় বেকাদায় পড়ে যাবে। কেননা, যে রোগ সামান্য ফোঁড়া থেকে টিউমারের রূপ ধারণ করেছে, তাকে যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক অপারেশন করে কেটে ফেলা না-যায়, তখন এ টিউমারই শেষ পর্যন্ত জীবন-বিনাশের কারণ হয়ে উঠতে পারে। এ সাধারণ পাটীগণিত আমরা যত দ্রুত উপলিব্ধ করতে পারব, ততোই দেশ ও দশের মঙ্গল।

পরিশেষে বলব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বার বছরে চারজন শিক্ষককে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে। ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রফেসর ইউনূস, ২০০৬ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি প্রফেসর তাহের, ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর প্রফেসর শফিউল এবং ২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল প্রফেসর রেজাউল এ-হত্যার সিরিয়ালে তালিকাভুক্ত। তাই, প্রশ্ন আসে, এরপর কে?

টেলিভিশনগুলোর টকশোতে দেখলাম কেউ কেউ 'কয়েকটা [প্রফেসর ইউনূস এবং প্রফেসর তাহের হত্যাকাণ্ড] ঘটনার বিচার হয়েছে' বলে প্রফেসর রেজাউল হত্যার বিষয়টি পাতলা করে দেখার চেষ্টা করছেন যেখানে দায়িত্বশীলদের চামড়া বাঁচানোর একটা কুৎসিত অপচেষ্টা প্রতিভাত হয়েছে। অনেকে বলছেন, 'প্রফেসর তাহের এবং প্রফেসর ইউনূস হত্যার তো বিচার হয়েছে। হয়তো প্রফেসর শফিউল এবং প্রফেসর রেজাউল হত্যাকাণ্ডেরও বিচার হবে।' যেন বিষয়টা এ রকম যে, 'আগে হত্যা করুক তারপর তার বিচার করা হবে।'

রাষ্ট্রকে হত্যার লীলাভূমি বানিয়ে বিচারের ব্যবস্থা করা, নাগরিকদের জান-মালের হেফাজত করার রাষ্ট্রের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব তার বরখেলাপের সামিল। আর যারা বিচারের আশ্বাসে হত্যার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করেন, তারাও যে যে-কোনোদিন রাস্তার পাশে লাশ হয়ে পড়ে থাকবেন না তার নিশ্চয়তা কে দেবে?

তাই, দলীয় সুবিধাবাদ এবং দলকানা বুদ্ধিজীবিতার বাইরে এসে নাগরিক-নিরাপত্তা এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ চিন্তার স্বপক্ষে আমাদের সকলের অবস্থান সুনিশ্চিতকরণ আজ একান্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, কারও সঙ্গে অন্যায় হলে, তার প্রতিবাদ করতে হবে এ জন্য যে, সে অন্যায় একদিন আমার সঙ্গে কিংবা আপনার সঙ্গেও হতে পারে। আজ যদি আমি অন্যের প্রতি হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ না-করি, তাহলে আমার প্রতি যদি কোনোদিন কোনো অন্যায় হয়, অন্যরা সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে না। এভাবেই সমাজে অন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হবে, যা থেকে আমি/আপনিও রেহাই পাব না/পাবেন না।

তাই, প্রফেসর রেজাউলকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার তীব্র প্রতিবাদ করা জরুরি সমাজের সর্বস্তর থেকে, যাতে রাষ্ট্র বাধ্য হয় তার জনগণের জানমালের হেফাজতে আরও গভীর মনোনিবেশ করতে। যাতে সামনে আর কোনো রেজাউলকে রাস্তার পাশে লাশ হয়ে পড়ে থাকতে না-হয়।