সংখ্যালঘু ও গণতন্ত্র বাঁচবে না জঙ্গিবাদী হলে

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 28 Oct 2015, 06:45 PM
Updated : 28 Oct 2015, 06:45 PM

মহররমে তাজিয়া মিছিল ঘিরে চারশ বছরে গড়ে ওঠা ঐতিহ্যের ওপর হামলা হওয়ার পর বেশি করে জানতে ইচ্ছা করছে, এ বিষয়ে দেশের সংখ্যাগুরু সুন্নি সম্প্রদায়ের মনোভাব কী? এর দশ শতাংশও কি কোনো না কোনো 'যুক্তি' খাড়া করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করছে? নাকি হামলার সঙ্গে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরা ছাড়া বাকি প্রায় সবাই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে এটি? দ্বিতীয়টি সত্য হলে তো খুশিই হব। কিন্তু দুশ্চিন্তা-জর্জরিত প্রথম ভাবনাটি উড়িয়ে দিতে পারি না।

রাজধানীর হোসেনি দালানের কম্পাউন্ডের ভেতর সমবেত সংখ্যালঘু শিয়াদের ওপর যারা হাতে তৈরি গ্রেনেড হামলা চালিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে, তারা কি দেশের কেউ নয়? এদের সবাই কি বিদেশি? আর ওদের হাতে যারা গ্রেনেড তুলে দিয়েছে, ওই রকম জিনিস বানিয়েছে, গ্রেনেড ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ দিয়েছে, তারা কি দেশের কেউ নয়? প্রশ্নটা তুলছি এ জন্য যে, আমরা অনেকেই এমন ভাব করে থাকি আর এমনভাবে কথা বলি যে, মনে হয় সমস্ত কিছু 'বাইরে থেকে' হচ্ছে এবং দেশের মধ্যে সব ঠিকঠাক রয়েছে।

বারবারই বলার চেষ্টা করছি, দেশের একটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে জঙ্গিবাদী চিন্তাভাবনা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে এবং এর ভেতর থেকে বা সহায়তায় এমনতরো ঘটনা ঘটছে। বাইরে থেকে ভয়ঙ্কর কিছু এসে ভর করে থাকলে এদের ওপরই করছে। এরা পরস্পরকে খুঁজে নিয়েছে বলেই মনে হয়। বর্তমান সরকার দাবি করে আসছিল, তারা জঙ্গিদের 'দৌড়ের ওপর' রাখতে সমর্থ হয়েছেন। পরিস্থিতি সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত না হয়ে আমরাও অনেকে তা বিশ্বাস করছিলাম। ছিলাম এক রকম স্বস্তিতে। তার যে যথেষ্ট ভিত্তি নেই, সেটা এখন প্রমাণ হচ্ছে একের পর এক সংঘটিত ঘটনায়।

নতুন নতুন ঘটনাও ঘটছে দেশে। অল্প বিরতিতে দুজন বিদেশি নাগরিককে একইভাবে হত্যার ঘটনাও নতুন। এরা ছিলেন নিতান্ত নিরীহ মানুষ। একজন নাকি ইসলাম ধর্মও গ্রহণ করেছিলেন। তবে হত্যাকারীদের ছিল সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লক্ষ্য। সেটি হাসিলে দুজন নিরীহ বিদেশি নাগরিককে বোধহয় তারা খুঁজছিল। এখন দেখতে হবে, সরকার এদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারে কিনা। এ ধরনের ঘটনায় দ্রুত বিচার করে যথাসম্ভব কঠোর সাজা দেওয়া দরকার। আর সব কিছু হতে হবে দৃশ্যমান।

এ ধরনের ঘটনা নিয়ে সস্তা স্থানীয় রাজনীতি করা হলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে দেশের। দেশ-ভাবনা থাকলে সরকারকে এটা পরিহার করেই এগোতে হবে। তারা যদি সে সৎসাহস দেখান, তাহলে জনগণ ওটা বুঝতে পারবে শুধু তা-ই নয়, বিষয়টা হয়তো 'অ্যাড্রেস' করা যাবে শুরুতেই। এমন উদ্বেগজনক বিষয় ফেলে রাখা বা তা নিয়ে সুবিধাবাদী রাজনীতি করার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও এদের সমর্থক গোষ্ঠীর জন্যও।

তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অবশ্য সন্দেহের বাইরে রাখা যাবে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য। বিশেষত ২০০১পরবর্তীকালে জঙ্গি প্রশ্নে এদের ভূমিকা ছিল ন্যাক্কারজনক। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলা ও ক্ষমতা পাকাপোক্তকরণে তারা জঙ্গিবাদী শক্তির সঙ্গে সমঝোতা ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ অস্বীকার করা যাবে না। এতে শেষ পর্যন্ত তারাও কম ক্ষতিগ্রস্ত হননি।

যাহোক, হোসেনি দালানে সমবেত শিয়াদের ওপর পরিচালিত হামলার ঘটনায় ফিরে আসি। বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি ও সিসিটিভি নজরদারির মধ্যেও সুযোগ বের করে নিয়ে যারা ওই হামলা চালায়, তারা নিঃসন্দেহে সাধারণ অপরাধী নয়। পাকিস্তানে শিয়া মসজিদ ও জমায়েতে নিয়মিতভাবে হামলা চালিয়ে যারা হাত পাকিয়েছে, তবে কি তাদের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল? অসম্ভব নয়। ভিনদেশি জঙ্গি তো ধরা পড়ছে দেশে। আবার হতে পারে, ওদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেশি লোকজনই অংশ নিয়েছে হামলায়।

এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এতে আরও বেশি প্রাণহানি হতে পারত। পারত বৈকি। এমনও হতে পারে, প্রথম ঘটনা হিসেবে হামলার পরিকল্পনাকারীরা হয়তো সীমিত ক্ষয়ক্ষতিই চেয়েছিল। যারা এর দায়িত্ব স্বীকার করেছে, সিরিয়া-ইরাকভিত্তিক সে জঙ্গি সংগঠনটি সুন্নিভিত্তিক ও শিয়াবিরোধী। বাংলাদেশে যে অল্পসংখ্যক শিয়া রয়েছে, তাদের ওপর একটি কম ভয়াবহ হামলা চালিয়ে ওরা হয়তো এখানে নিজ উপস্থিতি বা আগ্রহের জানান দিতে চেয়েছে।

দেশে শিয়াবিরোধী সংগঠিত তৎপরতা অবশ্য এ পর্যন্ত দেখা যায়নি। একটা সময় পর্যন্ত ছিল আহমদিয়াদের 'অমুসলিম' ঘোষণার জন্য পরিচালিত আন্দোলন। পাকিস্তান থেকেই তারা শিখেছিল, রাষ্ট্র শুধু ধর্মভিত্তিক হবে না, তাকে হতে হবে ধর্ম-সম্প্রদায়ভিত্তিক। সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নেতাদের ইচ্ছা অনুযায়ী রাষ্ট্র তথা সরকারকে ঘোষণা করতে হবে যে, 'ওরা' অমুসলিম! তবে শিয়াদের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য ছিল না ওই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর। মহররমে তাদের ধর্মীয় আচার-আচরণ নিয়েও তেমন কোনো আপত্তি দৃষ্টিগোচর হয়নি।

এরপরও হামলার ঘটনা ঘটল, যেন একটি নীলনকশা অনুযায়ী। পুলিশের মধ্যেও নাকি তেমন শঙ্কা ছিল। দুর্গাপূজা উদযাপনে ভালোভাবে নিরাপত্তা জোগানোর পর হোসেনি দালানে তারা বাড়তি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। তবে নিরাপত্তায় ঘাটতি না থাকলেও ওতে ছিদ্র ছিল। এর খবর তারা ঠিক-ঠিক পেল কীভাবে, সেটাও প্রশ্ন। তবে কি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের মধ্যেও ওদের লোকজন ঢুকে পড়েছে? নিয়োগ ব্যবস্থা চরমভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়ায় সেটা কিন্তু ঘটতে পারে।

সন্দেহের কথা বলে রাখা ভালো। এ কারণে এমন প্রশ্নও তোলা দরকার যে, বৃহৎ কোনো শক্তির নীলনকশা অনুযায়ী নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে কিনা। এমন সব ঘটনাই তো ঘটতে শুরু করেছে, যেগুলো অনেক আগে আমাদের ফেলে আসা রাষ্ট্র পাকিস্তানে ঘটে থাকে। সেটি হয়ে থাকলে কিন্তু দেশের গতানুগতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা এসব রোধ করতে স্বভাবতই ব্যর্থ হবে।

এমন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব অনেকে উপস্থাপন করছেন যে, দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে হতে দিয়ে আশুরার ঐতিহ্যবাহী জমায়েতে হামলা চালানো হয়েছে। ভারতে গোমাংস নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির জঙ্গি সাথীরা যে ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তার 'প্রভাব' হিসেবে অনেকে কিন্তু শঙ্কা প্রকাশ করছিলেন বাংলাদেশে এবারের দুর্গাপূজা আয়োজন নিয়ে। উৎসবমুখর হিন্দু সম্প্রদায়ও অস্বস্তিতে ছিল, যদিও আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে তাদের কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে দেখা যায়। সে মানসিক পরিস্থিতিও কিন্তু পাল্টাতে শুরু করেছে।

দেশে এখন কত শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত জনগোষ্ঠী রয়েছে, সে বিষয়ে সরকারি তথ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মতো সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশে পূজা উদযাপন পরিষদও গঠন করতে হয়েছে। উপর্যুপরি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পটভূমিতে একটা অনাস্থা থেকেও এসব 'সংখ্যালঘু' সংগঠন জন্ম নেয়। আর ২০০১পরবর্তী পরিস্থিতি অনাস্থাটি স্থায়ী করে দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

কালক্রমে এমন কিছু সহিংসতাও ঘটতে শুরু করেছে, যেগুলোয় প্রধান সব রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছে মিলেমিশে। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুসহ বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ক্ষেত্রে সেটি দেখতে পাওয়া গেছে। ঘটনা হিসেবে এটাও নতুন। ওটার পর থেকে বৌদ্ধরাও নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছে না এবং ভুগছে আস্থাহীনতায়। হিন্দুদের মতোই মিয়ানমারে সৃষ্ট পরিস্থিতির 'প্রভাব' এসে পড়েছে তাদের ওপর। অনেকে এটাকে বলছেন অজুহাত।

সব ধরনের সংখ্যালঘুকে (এমনকি বিহারি) চাপে ফেলে তাকে তাড়াতে, জীবন কেড়ে নিতে ও তার সম্পদ হস্তগত করতে সংখ্যাগুরুর প্রভাবশালী অংশ অজুহাত কাজে লাগিয়েছে বরাবর। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, এ নগরীতেই নিজেদের মতো শবেবরাত পালন করতে থাকায় একটি বিহারি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে বেশ কজনকে পুড়িয়ে মেরেছিল স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। সেটাকে জঙ্গি হামলা বলে অভিহিত করা হয়নি অবশ্য। ফ্যাসিবাদী আচরণ বলেও ওটাকে আমরা বর্ণনা করিনি।

হোসেনি দালানে শিয়া মুসলিমদের ওপর হামলাটি সরকার কী বলে অভিহিত করবে? নিজেরা ক্ষমতায় আছেন বলে 'জঙ্গি হামলা' বোধহয় বলতে চাইবেন না। বলবেন, দেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা। তা বলুন। কিন্তু কারা সেই চেষ্টা করছে, সেটা তো তাদের পাকড়াও করে বলতে হবে। থাইল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে যারা বোমা হামলা চালায়, তাদের কিন্তু দ্রুতই চিহ্নিত করেছে ওখানকার পুলিশ। পর্যটন ব্যবসা রক্ষায় এ ক্ষেত্রে তাদের একটা বাধ্যবাধকতা বোধহয় ছিল। আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা রয়েছে কি?

আমরা বলে দিতে পারি (আর বলছিও), এসব তো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা পশ্চিমা দেশগুলোয়ও ঘটছে। টুইন টাওয়ারও কি রক্ষা করতে পেরেছে তারা? বলতে পারি, সম্পদশালী মুসলিম দেশেও ঘটছে এগুলো। তুরস্কে কী ঘটল সেদিন? সৌদি আরবেও মসজিদে বোমা হামলা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ, উদীয়মান শক্তি ভারতও জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছে। সুতরাং আমরা এর বাইরে থাকব কীভাবে?

বাইরে থাকতে পারব, এটা তো কেউ বলেনি। তবে ভেতরে যখন এসে গেছি, তখন এর বাইরে যাওয়ার কথাটাই সংশ্লিষ্টরা বলছে। 'সংশ্লিষ্ট' বলতে দেশের মানুষকেই আগে ধরতে হবে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, জনগণের যে অংশটি বাংলাদেশকে একটি শান্তিবাদী, গণতান্ত্রিক ও সহিষ্ণু ধারায় রাখতে চায়, তাদের দাবি সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এর বিরোধিতা করছে, তাদেরও বোঝাতে হবে– ভিন্ন কিছুর মধ্যে ওদেরও কল্যাণ নেই। একটি 'ইনক্লুসিভ' বা অন্তর্ভুক্তিমূলক ধারায় থাকার মধ্যেই সবার কল্যাণ নিহিত।

হিন্দুসহ ভিন্নধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা, আহমদিয়াদের 'অমুসলিম' ঘোষণা বা শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিলে হামলা চালানো, বিদেশি নাগরিক হত্যা করে তাদের আতঙ্কিত করা, ভিন্ন বা বিচিত্র মত-পোষণকারী মানুষের ওপর হামলে পড়া প্রভৃতি কোনো কাজের কথা নয়। এসব অব্যাহত রেখে বা রাখতে দিয়ে সময়ে সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বদল করলেই গণতন্ত্র হয় না। সব রকম সংখ্যালঘুকে নিয়ে, তাদের সমানাধিকার ও মর্যাদা দিয়ে বাঁচাটাই গণতন্ত্র। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা একটি মুক্তিযুদ্ধও করেছিলাম– সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রগঠনের 'ঐতিহ্য' বর্জন করে।

শান্তিপূর্ণ পথেও যদি বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটি পেতাম, তাহলে একটি গণতান্ত্রিক দেশ গঠন করতে হত আমাদের। স্থিতিশীলতার মাধ্যমে ভালো থাকা আর সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য আমাদের করতে হতো সহিষ্ণুতার চর্চা। এটি করতে সক্ষম হলেই না আমরা 'বাইরের প্রভাব' বা 'ষড়যন্ত্র' মোকাবেলা করতে পারব। আইএসের মতো কোনো কিছুর টার্গেটে যদি আমরা পরিণত হয়েই থাকি বা এমনকি হই বৃহৎ কোনো শক্তির নীলনকশার অংশ, তবে সেটা মোকাবেলা করব কীভাবে? যদি নিজেদের মধ্যেই ছড়িয়ে থাকে বিভক্তি ও হিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও লুণ্ঠনের লিপ্সা?

মধ্যপ্রাচ্যের আত্মঘাতী দেশগুলোর তুলনায় পাকিস্তানের পরিণতিটা আমাদের জন্য বেশি প্রাসঙ্গিক মনে হয়। আমরা তো ওই চিন্তাশক্তিহীন দেশটির মধ্যে ছিলাম। পরে সেখানে তালেবানের জন্ম দেওয়া হয়েছিল। আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণাসহ ওখানে শিয়াদের মারা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হিন্দু জনসংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে এক শতাংশেরও নিচে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীদের করে ফেলা হয়েছে একেবারে অধস্তন। তাতে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতিও শ্লথ হয়ে এসেছে পাকিস্তানে। সেটি হয়ে পড়েছে 'জঙ্গি রাষ্ট্র'। তার গোটাকতক গৌরবের একটি ক্রিকেটও অস্তাচলগামী। কী নিয়ে বাঁচবে পাকিস্তান?

আমাদের বাঁচার কিছু সুযোগ বোধহয় রয়েছে।