নতুন বেতন কাঠামো: বাড়াবে কি মূল্যস্ফীতি

সায়মা হক বিদিশা
Published : 19 Oct 2015, 04:15 AM
Updated : 19 Oct 2015, 04:15 AM

৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে জনপ্রশাসনের জন্য নতুন বেতন স্কেল। এই বেতন কাঠামোর প্রস্তাবনা একদিকে যেমন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে তাদের কাজের স্বীকৃতি ও সম্মাননার সুযোগ করে দিয়েছে, অন্যদিকে তা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ অন্যান্য সরকারি ও আধা-সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্তদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এ লেখায় অবশ্য প্রশাসনিক বিষয় নয়, বরং অর্থনীতিতে নতুন বেতন স্কেলের সম্ভাব্য প্রভাব কী হতে পারে তা আলোচনা করা হয়েছে।

অষ্টম বেতন কাঠামো অনুযায়ী জনপ্রশাসনে নতুন বেতন কাঠামোর কারণে, বেতন স্কেলের পুনর্বিন্যাস বাবদ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অতিরিক্ত পনের হাজার নয় শত চার কোটি টাকা ও ভাতা ও ইনক্রিমেন্ট বাবদ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে অতিরিক্ত তেইশ হাজার আট শত আঠাশ কোটি টাকা সরকারের প্রয়োজন হবে। এই বিপুল অংকের ব্যয়ের অর্থায়ন, অর্থনীতিতে এর প্রভাব, সর্বোপরি এর যৌক্তিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সঞ্চার হওয়া তাই খুবই স্বাভাবিক।

প্রথমেই এ কথা বলে নেওয়া ভালো যে, একটি সরকারের প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য একটি প্রণোদনা-সঞ্চারক বেতন কাঠামো অবশ্যই জরুরি। এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় ও বেসরকারি খাতের তুলনামূলকভাবে উচ্চ বেতন স্কেলের সঙ্গে সঙ্গতি রাখার জন্য প্রণোদনা সৃষ্টিকারী নতুন বেতন স্কেলের প্রস্তাবনা একটি সময়োপযোগী সীদ্ধান্ত। এই বেতন কাঠামো জনপ্রশাসনের কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও অসদুপায়ে অর্থ অর্জনের চেষ্টা নিরুৎসাহিত করবে বলেই আশা করা যায়।

এখানে মনে রাখতে হবে যে, এই বিপুল অংকের ব্যয়ের কারণে অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে এবং এ ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করার জন্য দরকার সরকারের তরফ থেকে দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নীতি নির্ধারণ।

বাংলাদেশের মতো সীমিত সম্পদের দেশে জনপ্রশাসনের এই ব্যয় বৃদ্ধির একটি প্রতিক্রিয়া হতে পারে সরকারের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ কমানো। জনপ্রশাসনে ব্যয় বৃদ্ধি যদি শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের বরাদ্দের মূল্যে হয় তবে তা কখনও সমর্থনযোগ্য নয়। জনপ্রশাসন খাতের এই অতিরিক্ত অর্থায়ন বরং বিভিন্ন অনুৎপাদনশীল খাতের বরাদ্দ, রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের ভর্তুকি হ্রাস, সরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের লোকসান কমানো এবং জনপ্রশাসনের ব্যবস্থাপনার সংস্কারের মাধ্যামে করা যুক্তিযুক্ত।

দ্বিতীয়ত, যদি অন্যান্য খাতে ব্যয় সংকোচন করা সম্ভব না হয় তাহলে সরকার এই অর্থের ব্যবস্থা করতে ব্যাংক থেকে অধিক পরিমাণে ঋণ নেওয়া শুরু করতে পারে যা কিনা ব্যাংকিং খাতের উপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং এর ফলে বেসরকারি বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সরববরাহ বাধাগ্রস্ত হবে।

তৃতীয়ত, সরকার এই অর্থের জোগান অতিরিক্ত করের মাধ্যমেও করতে পারে। সে ক্ষেত্রে করের প্রকৃতি ও করের ক্ষেত্র হিসেবে সরকারের সিদ্ধান্ত কী তা বিবেচ্য। অতিরিক্ত করারোপের ফলে যদি দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে তা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে। এই অতিরিক্ত অর্থায়নের জন্য সরকারকে আবার পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপও নিতে হতে পারে। অর্থায়নের প্রক্রিয়া যাই হোক না কেন, তা যেন দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রক্রিয়া ব্যাহত না করে সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার।

অর্থায়নের উৎস ছাড়াও যে বিষয়টি এ ধরনের অর্থবহুল পদক্ষেপের সঙ্গে জড়িত তা হল, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব। বিশেষ করে বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে যে, এ ধরনের পদক্ষেপ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, এমনকি মুদ্রাস্ফীতিরও জন্ম দিতে পারে।

সরকারের ব্যয়বৃদ্ধির সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের সম্পর্কটি অবশ্য খুব সুস্পষ্ট নয়। তবে জনপ্রশাসনের ব্যয় বৃদ্ধি সামগ্রিক চাহিদা প্রভাবিত করবে এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি দু ধরনের হতে পারে: একটি হচ্ছে, চাহিদা-উদ্ভূত মূল্যস্ফীতি; অপরটি হচ্ছে, উৎপাদন-ব্যয় উদ্ভূত মূল্যস্ফীতি। তাত্ত্বিকভাবে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য ব্যাহত হলেই তা দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটায়। জনপ্রশাসনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে চাহিদাজনিত মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা একেবারে নাকচ করে দেওয়া যায় না। কারণ বেতন বৃদ্ধির ফলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে যা সামগ্রিক চাহিদা বৃদ্ধি করবে। এ পরিস্থিতিতে যোগান ব্যবস্থায় কোনো পরিবর্তন না হলে তা দ্রব্যমূল্যের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।

এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, বেতন বৃদ্ধি সামগ্রিক চাহিদাতে কী প্রভাব ফেলবে তা অনেকাংশেই নির্ভর করবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে সরকারি ভোগের প্রভাবের মাত্রার উপর। এছাড়া, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা তাদের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বেতনের কী পরিমাণ ভোগ ও কী পরিমাণ সঞ্চয় করবে সেটিও এ ক্ষেত্রে বিবেচনায থাকবে।

মূল্যস্ফীতির বিষয়টি তখনই বিবেচ্য যখন বেতনপ্রাপ্তরা বর্ধিত বেতনের সিংহভাগই ভোগ করে– এই ভোগ সামগ্রিক চাহিদা বাড়ানোর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। বেতনপ্রাপ্তদের সঞ্চয়-প্রবণতা বেশি হলে মূল্যস্ফীতি হবার সম্ভাবনা কম। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে অবশ্য প্রথম সম্ভাবনা অর্থাৎ বর্ধিত বেতনের বেশিরভাগ ভোগে ব্যয় হবার সম্ভাবনাই বেশি।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, জনপ্রশাসনের বেতন বৃদ্ধিজনিত ভোগের ফলে সামগ্রিক চাহিদায় কতটা প্রভাব পড়বে। বিবিএসএর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি ভোগজনিত ব্যয় জাতীয় আয়ের ১০ শতাংশের মতো। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জাতীয় আয় আট হাজার দুইশত পয়তাল্লিশ বিলিয়ন টাকা এবং ওই একই বছরে সরকারি ভোগের পরিমাণ ছিল আট শত চব্বিশ বিলিয়ন টাকা। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট মোতাবেক জনপ্রশাসনের ব্যয় জাতীয় আয়ের ২ শতাংশের মতো।

যদি প্রস্তাবিত বেতনের সবটুকু ভোগে ব্যবহৃত হয় এবং উৎপাদনে যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, তারপরও জাতীয় আয়ের আনুপাতিক হারে নতুন বেতন স্কেলের কারণে সামগ্রিক চাহিদাতে খুব বড় ধরনের প্রভাব পড়ার কথা নয় এবং এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি হতে পারে ০.২ শতাংশ পয়েন্টের মতো। বেতন বৃদ্ধির কারণে তাত্ত্বিকভাবে চাহিদা-উদ্ভূত মূল্যস্ফীতি তাই বেশি হবার সম্ভাবনা কম। এছাড়া দীর্ঘমেয়াদে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে যোগানও বাড়বে বলে আশা করা যায় যা পরবর্তীতে অর্থনীতিতে ভারসাম্য আনবে।

অপরপক্ষে, আমরা যদি উৎপাদন ব্যয় উদ্ভূত মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনা করি তবে এর প্রভাব জটিল হতে পারে। এটা ভাবা অযৌক্তিক হবে না যে, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি বেসরকারি খাতের বেতন কাঠামো প্রভাবিত ও শেষোক্ত খাতে মজুরি ও বেতন বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এই মজুরি ও বেতন বৃদ্ধি আবার বেসরকারি খাতের উৎপাদন খরচ বাড়াতে পারে যা কিনা উৎপাদনজনিত মূল্যস্ফীতির জন্ম দিতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, সরকার যদি পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে এই অতিরিক্ত খরচের অর্থায়ন করার পদক্ষেপ নেয় তবে তাও কিন্তু উৎপাদন খরচ বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি ঘটাতে পারে।

অতএব, বেতন স্কেলের কারণে তাত্ত্বিকভাবে মূল্যস্ফীতি খুব একটা বেশি হবার যৌক্তিকতা না থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে তা নাও হতে পারে। সামগ্রিক চাহিদা খুব একটা না বাড়লেও বাজারে বিক্রেতারা জনপ্রশাসনের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত চাহিদার কারণে, যোগানের ঘাটতি না থাকলেও জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, প্রকৃত মূল্যস্ফীতি অনেক সময় মূল্যস্ফীতির সম্ভাবনা-উদ্ভূত (inflation expectation) হতে পারে– বাজারে মূল্যস্ফীতি হতে পারে এই সম্ভাবনা যখন ভোক্তাসহ বাজারের অন্যান্য এজেন্টরা তাদের পরিকল্পনার মধ্যে বিবেচনা করে তখন তা ভবিষ্যতে আবার মূল্যস্ফীতির জন্ম দিতে পারে।

বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে, যদি দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটে তবে ক্রয়ক্ষমতা কিন্তু সেভাবে বাড়বে না। যদিও 'মানি ইলুইসন' (money illusion)এর কারণে হয়তো ক্রেতা তার ক্রয়ক্ষমতার বিষয়টি সেভাবে চিন্তায় আনবে না। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ঘটলে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাও কিন্তু সেভাবে উপকৃত হবেন না। তবে সাধারণ ভোক্তার জন্য আশার কথা এই যে, বিগত বছরগুলোতে বেতন স্কেলের কারণে দ্রব্যমূল্যের বড় ধরনের কোনো বৃদ্ধি হয়নি এবং বাজার-প্রতিক্রিয়া খুব ব্যাপকও হয়নি। এর একটি কারণ হতে পারে যে, এই বেতন বৃদ্ধি অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল যা ভবিষ্যতের আয়ের সম্ভাবনার মধ্যে হয়তো ভোক্তারা বিবেচনা করে রেখেছিলেন। ফলে তাদের ভোগের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়েনি।

বেতন স্কেলের প্রস্তাবনার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি শুধু নয়, মুদ্রাস্ফীতি যা কিনা বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি এবং টাকার ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার কারণে ঘটে সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে সরকার যদি তার রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে বেতন বৃদ্ধিজনিত অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে পারে তবে মুদ্রাস্ফীতির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তা যদি টাকা মুদ্রণের মাধ্যমে কিংবা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হয়, তবে তার একটি প্রতিক্রিয়া হবে বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি, যা কিনা টাকার ক্রয়ক্ষমতা কমানোর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করতে পারে।

সরকারের পূর্বের অর্থায়ন নীতি বিবেচনা করলে অবশ্য বলা চলে যে, রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে অর্থায়নের সম্ভাবনাই এ ক্ষেত্রে অধিক।

বলা যেতে পারে যে, তাত্ত্বিকভাবে জনপ্রশাসনের বেতন বৃদ্ধির জন্য দ্রব্যমূল্যের উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে না হলেও প্রকৃতার্থে অর্থনীতিতে এর প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে পারে। এ ধরনের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার সরকারের দক্ষ বাজার ব্যবস্থাপনা, মুদ্রানীতির সুকৌশলী বাস্তবায়ন, সর্বোপরি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য বজায় রাখা।

এছাড়া জনপ্রশাসনের বেতন বৃদ্ধির মতো ব্যয়বহুল নীতির মূল উদ্দেশ্য যদিও জনপ্রশাসনের দক্ষতা বৃদ্ধি, কিন্তু বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এই ব্যয় প্রশাসনের মান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে কতটা সহায়ক হতে পারে সে ব্যপারে সন্দেহ রয়েছে। বেতন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনপ্রশাসনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা কমানো যাবে মনে করা হলেও বাস্তবে অনেকেই এ ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছেন না। জনপ্রশাসনের অসচ্ছতা দূর করে এর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক প্রণোদনার মাধ্যমে জনপ্রশাসনের কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠনের মতো সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হ্রাস, প্রশাসনের আকারের পরিবর্তন, মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে পদোন্নতি ইত্যাদি করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি যা সরকারের সীমিত সম্পদের সঠিক ও দক্ষ ব্যবহার কিছুটা হলেও নিশ্চিত করতে পারবে।

ড. সায়মা হক বিদিশা: সহযোগী অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।