শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তুচ্ছ কয়েকটি বিষয়

ওমর শেহাব
Published : 16 Sept 2015, 05:58 PM
Updated : 16 Sept 2015, 05:58 PM

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে ভ্যাট সরে যাওয়ায় সবাই ভীষণ আনন্দিত। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এই আন্দোলন ছিল খুবই শান্তিপূর্ণ আর মানবিক। ছাত্রছাত্রীদের আর যারা বিভিন্নভাবে সমর্থন জানিয়েছেন তাদের অভিনন্দন।

ছাত্রছাত্রীরা যে ক্লাস ফেলে রাস্তায় নেমে এসেছে এবং তার কারণে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এটি ছিল এ কদিনের সবচেয়ে বড় সমস্যা।। কাজেই সরকারের উচিত ছিল টিভি বা সংবাদপত্রের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে বক্তৃতা-বিবৃতি বিনিময় না করে কোনো একজন সরকারি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া যিনি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বসে সরাসরি কথা বলে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করবেন। এতে সবারই সময় বাঁচত। আমি নিশ্চিত ওদের যদি কথা বলার জন্য ডাকা হত তাহলে ছাত্রছাত্রীরা আপত্তি করত না।

আন্দোলন চলাকালে দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষ এর মধ্যেই এ নিয়ে তাদের মতামত দিয়েছেন। সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী আর প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। অর্থমন্ত্রী ইতোমধ্যে এ নিয়ে বেশ অনেক বার কথা বলেছেন (বেশিরভাগ মানুষের রাগ দেখা যাচ্ছিল তাঁর উপর)। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে, সবার মোবাইলে বার্তা পাঠিয়েছে। এর বাইরেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকদেরও একটি সংগঠন এ ব্যাপারে তাদের অবস্থান জানিয়েছে।

আমি অর্থনীতিবিদ বা শিক্ষা বিশেষজ্ঞ নই। কাজেই সমস্যার সবচেয়ে বড় দিক অর্থাৎ কী করে শুরুতেই সমস্যাটির সমাধান করে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে ফেরত পাঠানো পাঠানো যেত সেটি নিয়ে আলাপ করব না। আমার সেই যোগ্যতা নেই। তবে কিছু তুচ্ছ দিক নিয়ে কথা বলব। কেউ যদি খুব ব্যস্ত থাকে এই লেখার বাকি অংশ এই মুহূর্তে না পড়লেও চলবে।

আমি যদি ভুল না করে থাকি এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ৪ জুন, ২০১৫, যখন অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট-বক্তৃতায় বলেছিলেন,

"৪) ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিপরীতে বর্তমানে সংকুচিত মূল্য-ভিত্তিতে ৭.৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজর উপর বর্তমানে মূসক আরোপিত নেই। আমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের পাশাপাশি এই খাতগুলিকেও মূসকের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি। তবে করভার সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে সংকুচিত মূল্য-ভিত্তিতে ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।"

দেখা যাচ্ছে, পড়াশোনার খরচের উপর যে কর আরোপ করা যায় এই রকম ধারণা সরকারের মাথায় আরও আগে থেকে ছিল। এবার কেবল আরও কিছু নতুন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আওতায় এসেছিল। প্রশ্ন হল, এই তরুণদেরই কেন পড়াশোনা বন্ধ করে রাস্তায় নামতে হয়েছিল?

আন্দোলন যখন চলছিল তখন বাজেট-বক্তৃতার পরদিনের কিছু পত্রিকার ওয়েবসাইট দেখছিলাম। প্রত্যেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতিবিদ বাজেট নিয়ে কিছু না কিছু বলেছিলেন। কিন্তু পড়তে গিয়ে আবিস্কার করলাম কোনো অর্থনীতিবিদ একবারও বলেননি যে, আশি নম্বর পৃষ্ঠায় বিড়ি, সিগারেট, বাথটাব, জাকুজি এসবের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করার যৌক্তিকতা কী! এটি কি তাদের চোখে পড়েনি? নাকি ইস্যুটি তাদের কাছে খুবই তুচ্ছ মনে হয়েছিল? এত বড় বড় অর্থনীতিবিদ, তারা কেন বললেন না যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর অনেক ছেলেমেয়ে পাশ করে যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়, তখন তাতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে, প্রশাসন কার্যকর থাকে, সমাজের অনেক উপকার হয়? কেন তারা সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন না এটি প্রমাণ করতে যে, মুদি দোকান আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই?

আমরা সবাই কিন্তু বাজেট-বক্তৃতা শুনে কিছু না কিছু মন্তব্য করি। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই আমার মতো অবস্থা, অর্থনীতিতে কোনো ডিগ্রি নেই। তাই আমরা যাই বলি সেটি কমন সেন্স থেকে বলি, নিজেদের যে পেশাগত দক্ষতা সেটি থেকে কিছু বলতে পারি না। এ কারণে আমরা সব সময় খুব আশা করে বসে থাকে যদি এ বিশেষজ্ঞদের কেউ বাজেটের এমন কোনো ভালো বা খারাপ দিক তুলে ধরেন যেটি আমাদের অপেশাদার চোখ দেখতে পায়নি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সব সময় বোধহয় বড় বড় জিনিসে আগ্রহ থাকে। তুচ্ছ ছোটখাট ব্যাপারে মন্তব্য করলে মনে হয় ঠিক সবাইকে বোঝানো যায় না যে, তারা আসলে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। এ কারণে মনে হয় কখনও আমরা কোনো অর্থনীতিবিদকে পাই না যিনি পত্রিকায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের জন্য বাজেট-বক্তৃতার প্রতিটি অধ্যায় ধরে ধরে আলাদাভাবে ধারাবাহিক সমালোচনা ছাপিয়ে যাবেন।

অর্থনীতিবিদদের মতো আরেক দল গুরুত্বপূর্ণ মানুষ রয়েছেন আমাদের দেশে, তারা হলেন সাংবাদিক। আমরা সব সময় জেনে এসেছি সাংবাদিকদের কাজ হল আমরা সাদা চোখে যা দেখছি তার পেছনে আরও কী আছে সেটি অনুসন্ধান করে নিয়ে এসে আমাদের দেখানো। যখন বাজেট-বক্তৃতা দেওয়া হয় তখন কেন যেন সবার আলোচনা দুটি বিষয় কেন্দ্র করেই হতে থাকে। প্রথমটি হল, কোথায় কর বাড়ল, কোথায় কমল। মোটামুটি কোনো পত্রিকাই বাজেটে সন্তুষ্ট থাকে না। প্রত্যেকটি ব্যাপারেই মন্তব্য করা হয় এই কর এভাবে না করে ওভাবে করলে আরও ভালো হত। আমাদের যদি বাজেট নিয়ে এতই আগ্রহ থাকে তাহলে গণমাধ্যমে সব আলোচনা বাজেট-বক্তৃতা দিয়ে ফেলার পর কেন হয়? এটি আগেও তো হতে পারত।

বাজেট অর্থমন্ত্রী একা লিখেন না, এমনকি তার নিচেও শুধুমাত্র একজন মানুষ লিখেন না। এটি তৈরি করার সঙ্গে অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তাও এর সঙ্গে থাকেন। প্রত্যেকটি অধ্যায়ের দায়িত্বে সম্ভবত এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠান থাকে, আর সেই প্রতিষ্ঠানের ভিতরে হয়তো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকেন। যদি কোনো পরিশ্রমী মেধাবী সাংবাদিক এই ছোট্ট তথ্য বের করে নিয়ে আসতে পারতেন যে, কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা এই আশি নম্বর পৃষ্ঠার (যেখানে ভ্যাটের কথা বলা আছে) ডিকটেশনটি দিয়েছে তাহলে কী চমৎকারই না হত!

আমরা জানতে পারতাম কে সেই কর্মকর্তা যিনি সিগারেটের কাগজ, জাকুজি আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে একই অধ্যায়ে একসঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নিয়ে ভাবেন। আমাদের তো জানা জরুরি যে, এই মানুষটি আর কী কী ভাবেন। কাল যদি সরকার গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য সারচার্জ বসায় তাহলে কি তিনি সেটিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর বসিয়ে দিবেন? অর্থমন্ত্রী এই মেয়াদে আছেন, আগামী মেয়াদে থাকবেন কিনা আমরা জানি না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও আগামী মেয়াদে একই মানুষ থাকবেন কিনা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। এই কমকর্তা কিন্তু সাতান্ন বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত থেকে যাবেন এবং হয়তো প্রতি বছরই বাজেট প্রণয়নে কিছু না কিছু দায়িত্ব পালন করবেন। যে মানুষের মাথা থেকে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট বসানোর বুদ্ধি বের হয়েছিল, পরের বছর তিনি আমাদের জন্য কী বিস্ময় নিয়ে অপেক্ষা করছেন কে জানে!

বড় বড় সাংবাদিকরা অনেক বড় বড় বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আশা করছি কোনো তরুণ সাংবাদিক এই তুচ্ছ লেখাটি পড়বেন আর খুঁজে খুঁজে বের করবেন কে সেই কর্মকর্তা যিনি আশি নম্বর পৃষ্ঠার ডিকটেশনটি দিয়েছিলেন।

এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য এসেছিল। আমরা প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিক্ষা সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আর এসবের পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কথা শুনেছি। এসব শুনে মনে হয়েছে, এনাদের মধ্যে সমন্বয় নেই। অর্থমন্ত্রী পর পর দুদিন দু রকম কথা বলেছিলেন। এর মধ্যে শিক্ষা সচিব আবার বলেছিলেন ভ্যাট দেওয়া উচিত কিন্তু সেটি ব্যবহারের কিছু শর্ত থাকতে হবে। আরেক জন গুরুত্বপূর্ণ মানুষ বলেছিলেন, মালিকরা অনেক 'লাভ' করেছে, এবার কর দিক।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভ্যাট বসানোর মতো এত বড় একটি সিদ্ধান্তের পিছনে আসলে কী উদ্দেশ্য সেটি নিয়ে কেন একেক জন একেক কথা বলবেন? তার মানে কি এসব নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়নি? এত বড় একটি সিদ্ধান্ত কি সংসদ সদস্যদের কোনো সভা ছাড়া হয়ে গেল? আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতি ঠিক করার কথা সংসদ সদস্যদের আর সেই নীতি বাস্তবায়ন করার কথা সরকারি কর্মকর্তাদের। ভ্যাট বসানোর মতো এত বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত কি সরকার আগেভাগে নিজেদের সব সংসদ সদস্যদের আদৌ জানিয়েছিল? নাকি তারাও আমাদের মতো বাজেট-বক্তৃতা শুনে তারপর জানতে পেরেছেন? কোনো সাংবাদিক কি একটু কষ্ট করে এই তথ্য বের করে আনবেন?

আরেকটি ব্যাপার হল, কেন সব ব্যাপারই প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যেতে হবে? প্রধানমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ কি বুঝেন না? এভাবে কি একটি প্রশাসন চলতে পারে?

বাংলাদেশে যখনই ছাত্রছাত্রীরা কোনো আন্দোলন শুরু করে তার মধ্যে একদল ছদ্মবেশে ঢুকে পড়ে আন্দোলনটির মূল উদ্দেশ্যের বাইরে অন্য কোনো সুবিধা আদায় করার জন্য। এই ধরনের মানুষগুলোর মূল উদ্দেশ্য সমস্যাটির সমাধান নয়। তারা চায় দুই পক্ষের মধ্যে একটি উত্তেজনা জিইয়ে রাখতে আর সেখান থেকে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে। কিন্তু আন্দোলনের নেতৃত্ব যদি ঠিক থাকে তাহলে এসব সমস্যা থেকে মোটামুটি বেঁচে থাকা যায়। যেদিন ফেসবুকে 'জয় বাংলা, ভ্যাট সামলা' লেখা প্ল্যাকার্ডটি দেখলাম সেদিন মনটা খুব খারাপ হয়েছিল। 'জয় বাংলা' আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, সব বাংলাদেশির অস্তিত্বের অংশ। কোন সরকার কী ভুল অর্থনৈতিক নীতি নিল, তার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

যে তরুণ বা তরুণী এই প্ল্যাকার্ডটি লিখল সে কি একবারও অনুভব করল না যে, সে তার নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে প্রতারণা করছে? তাহলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ারই-বা কী দরকার? মনে মনে খুব আশা করেছিলাম যে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেই আশা সত্যি হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেটির পুরো দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের সেই বন্ধুটিকে বিপদে ফেলে চলে যায়নি। তাদের এই সৎসাহস আর সংশোধনের ইচ্ছা দেখে মনটা ভালো হয়ে গেছে। এটি সম্ভব যদি নেতৃত্ব ঠিক থাকে। শুধু তাই নয়, আশংকা ভুল প্রমাণ করে আন্দোলনের বাকি সময়ও এ রকমই ছিল আর সেটি সফল হয়েছে (তুলনা করার জন্য মনে করিয়ে দিই সম্প্রতি আমার নিজের আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবির ছাত্রলীগ ইউনিট 'জয় বাংলা' বলেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালায়, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ তার জন্য ক্ষমা চেয়েছে বলে শুনিনি)।

এখানে যেসব তুচ্ছ ব্যাপার বললাম সেগুলো যদি ঠিক সময়ে সামলানো হত তাহলে হয়তো এই তরুণদের রাস্তা পর্যন্ত আসতেই হত না। কিন্তু সমাজের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীরা আরও বড় বড় ব্যাপার নিয়ে হয়তো ব্যস্ত ছিলেন যে কারণে পরিস্থিতি এত জটিল হয়ে গিয়েছিল।

লেখাটি লিখতে লিখতে হঠাৎ মনে হল এখন যেখানে পড়ছি সেই আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কী অবস্থা? বাংলাদেশ থেকে প্রায় সবাই কিছু না কিছু বৃত্তি নিয়ে আসে; কাজেই অনেক সময় দেশের মানুষ জানতে পারেন না আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক দিক কতটা অমানবিক ও ব্যবসায়িক চিন্তা-ভাবনার। কাজেই যখন আবিস্কার করলাম আমেরিকাতেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ীভাবে কর মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে, তখন অবাক হয়ে গেলাম। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি সংগঠন খুব সুন্দর করে ব্যাখ্যা করেছে কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সব ধরনের কর থেকে রেহাই দেওয়া উচিত। সবার জন্য সেটি অনুবাদ করে দিলাম।

"বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষা, গবেষণা ও অন্যান্য জনসেবা আমাদের গণতান্ত্রিক সমাজের কল্যাণের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর অবকাশ দেওয়া হয় যাতে তারা তাদের আয়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। এটি সমাজের প্রতি তাদের সর্বোচ্চ অবদান রাখার সুযোগ দেয়।

এই অবদান হতে পারে এ রকম, হতে পারে একজন শিক্ষিত নাগরিক যা কিনা গণতন্ত্রের সংহতির জন্য অপরিহার্য, সুশিক্ষিত, দক্ষ এবং কর্মক্ষম জনশক্তি যেটি কিনা আমাদের জাতিগত সামর্থের জন্য প্রয়োজন অথবা নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তি যা আমাদের জীবনমান বাড়ায়, নিরাপত্তা সুসংহত করে আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে।"

ওমর শেহাব: ডক্টরাল ক্যান্ডিডেট, ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড, বাল্টিমোর কাউন্টি, সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটিজি ফোরাম (আইসিএসএফ), প্রাক্তন ছাত্র, শাবিপ্রবি।