মোবাইল কোর্টের ক্ষমতাবৃদ্ধি ও সরকারের আমলাতোষণ

জায়েদুল আহসান পিন্টু
Published : 4 July 2015, 05:27 PM
Updated : 4 July 2015, 05:27 PM

পুরনো প্রচলিত একটি প্রবাদ হল, 'বিচার মানি, তবে তালগাছটা আমার'। বাংলাদেশের প্রশাসন ক্যাডারের আমলাদের অবস্থা অনেকটা সে রকম। দেশে বিচার ব্যবস্থা বিদ্যমান। তারপরও তারা নিজেরাই বিচারক হতে চান। দীর্ঘদিন তারা এই চর্চা করে এসেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিচার কর্মকর্তাদের মামলার কারণে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে সরকার বাধ্য হয়ে তাদের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিল। এখন আমলারা আবার সেই ক্ষমতা কব্জা করতে চলেছেন। সে সুযোগ তাদের করে দিচ্ছে দুর্বল চিত্তের রাজনৈতিক সরকার।

২২ জুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এ জন্য ২০০৯ সালের 'মোবাইল কোর্ট আ্যাক্ট' সংশোধন করতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আইনটি সংশোধন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে না।

প্রশ্ন হল, বিচার কেন করবেন সরকারি কর্মকর্তারা? বিচার করবেন বিচারকরা, এটাই তো স্বাভাবিক। সরকারি কর্মকর্তাদের সেই অধিকার কি সংবিধান দিয়েছে? দেয়নি। সংবিধান দিলেও সেটা বাতিল করা উচিত। একটি সভ্য দেশে সরকারি কর্মকর্তারা বিচার করবেন এটা ভাবা যায় না। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের ৩ দফায় বলা হয়েছে:

''ফৌজদারি অপরাধের দায়ে প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হইবেন।''

মোবাইল কোর্ট সরকার-নিয়ন্ত্রিত। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের বিচার কখনও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে পারে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বা সরকার যা-ই বলুন না কেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া মানেই হল বিচার বিভাগের কাজ নির্বাহী কর্মকর্তাদের দিয়ে সম্পন্ন করা। এতে যুক্তিতর্কের অবকাশ নেই। প্রশ্ন হল, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা কেন বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করবেন? যার যে কাজ তাকে দিয়ে সে কাজই করানো উচিত। এমন তো নয় যে, দেশে বিচার বা ক্যাডার বলতে কিছু নেই।

ওদিকে, 'মোবাইল কোর্টের কিছু কার্যক্রম কেন অসাংবিধানিক নয়' বলে সরকারকে কারণ দর্শাতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সরকার একে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, আদালত যেখানে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, সেখানে স্বীকারোক্তির দরকারই নেই বলে মনে করছে সরকার। তার মানে দাঁড়াল, সরকার আমলাদের তুষ্ট করার নীতি নিয়েছে। জনগণের উপর সরকারের আস্থা না থাকলে বারবার আমলাদের চাপে এমন নতি স্বীকার করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাই দেখে আসছি।

২০০৭ সালে নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ আলাদা হয়ে যাওয়ার পর থেকেই প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে 'সব গেল সব গেল' বলে রব শুরু হয়ে যায়। অথচ সংবিধান অনুযায়ী ১৯৭২ সাল থেকেই বিচার বিভাগের নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত হওয়ার কথা। সেটি দীর্ঘদিন ধরে কোনো সরকারই বাস্তবায়ন করেনি বলে মাজদার হোসেনসহ বেশ কজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ১৯৯৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা করেন। যার চুড়ান্ত রায় হয় ১৯৯৯ সালে। আর এর বাস্তবায়ন হয় ২০০৭ সালে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তখন থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কিছু ক্ষমতা কমে যায়।

তখন একদল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট 'জান দিয়ে হলেও' তাদের বিচারিক ক্ষমতা ছাড়বেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এমনকি প্রশাসন অচল করে দেওয়ার হুমকিও দেন তারা। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এক রকম চাপে পড়ে, আমলাদের সন্তুষ্ট করতে মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশ করেন যাতে ম্যাজিস্ট্রেটদের জরিমানা আদায়ের কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে প্রথমে অধ্যাদেশ ও পরে আইন করে আমলাদের বিচারিক ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়। নতুন আইনে ম্যাজিস্ট্রেটরা কথিত অপরাধীকে সর্বোচ্চ দুবছরের দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

যে কোনো আইনের উদেশ্য বিধেয় ভালোই থাকে। বিদ্যমান আইনে কোনো অপরাধী দোষ স্বীকার করলেই কেবল তাকে সাজা দিতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু এবার সরকার যে সংশোধনী আনছে তাতে দোষ স্বীকার না করলেও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দোষীদের শাস্তি দিতে পারবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

আমরা বলব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রদত্ত কথিত অপরাধীদের দুবছরের দণ্ড দেওয়ার ক্ষমতা সরিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ সাক্ষ্যের সত্যতা যাচাইকরণ বিচার ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা তাৎক্ষণিক বিচারে সম্ভব হয় না। তাই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পরিচালিত মোবাইল কোর্টের হাতে এ ক্ষমতা দেওয়া উচিত নয়। বরং তাদের হাতে আইনের অপব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সরকারও তাদের দিয়ে ইচ্ছামাফিক বিচার আদায় করিয়ে নেওয়ার সুযোগ নিতে পারে।

মোবাইল কোর্টের ধারণা খুবই চমৎকার এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মোবাইল কোর্ট নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা জনপ্রশাসনের অন্যতম উদ্দেশ্য। সেটি পূরণে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত মোবাইল কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ একটি পদ্ধতিগত আইন। অপরাধ সংঘটনস্থলে জনসমক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে অপরাধ আমলে গ্রহণ ও দণ্ডারোপের সীমিত ক্ষমতা ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পরিচালিত হয় বলে এটি একটি প্রায়োগিক বিচারপ্রক্রিয়া। ভেজালবিরোধী অভিযান, ইভটিজিং বন্ধ, পরীক্ষায় নকল দূর, নির্বাচনে কারচুপি ঠেকানো ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে এ আইন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে এ আদালতের মাধমে।

মূলত মানুষের দোরগোড়ায় বিচারকাজ নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এ ধরনের আদালতের প্রচলন। এতে বিচারপ্রার্থীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালাম ভারতে প্রথম এ ধরনের কোর্ট চালুর ধারণা দেন। হরিয়ানায় ২০০৭ সালে এটি চালু হয়। ২০১৩ সালে পাকিস্তানের পেশোয়ারে দাতাদের টাকায় চালু হয় মোবাইল কোর্ট। ভারত ও পাকিস্তানে বিচার বিভাগের অধীনেই মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে আমলারা সেটি দখল করে রেখেছেন।

সরকারের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ আলাদা করার চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সরকার যদি মোবাইল কোর্টের আওতা বা ক্ষমতা বাড়িয়ে একে আরও কার্যকর করতে চায় তাহলে সে দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের অধীনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিতে পারে।

মোবাইল কোর্টে যেহেতু বিবাদী বা আইনজীবী থাকে না, তাই এর ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রচলিত আদালতের ম্যাজিস্ট্র্রটের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হতে হয়। আইন সম্পর্কে তার স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হয়। রাখতে হয় দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মোবাইল কোর্টের নির্দেশিকায় স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের অপেক্ষাকৃত নবীন কর্মকর্তারা এই দায়িত্ব পালন করে থাকেন। যেখানে দক্ষ বিচারক দরকার সেখানে নবীন কর্মকর্তাদের দিয়ে বিচারকাজ চালানো স্ববিরোধিতা বটে। তাই এ কাজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যুক্তিসঙ্গত হবে।

কিন্তু সরকার এই যুক্তির কথা শুনবে কেন? সরকারের দরকার আমলাদের। আর আমলারা ব্রিটিশ আমল থেকেই রাজনীতিবিদদের উপর ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। সে ছড়ি তারা ছেড়েই-বা দিবেন কেন? এ কারণেই দেখা যাচ্ছে, আমলারা একের পর এক আবদার করে বা ছলেবলে তাদের ক্ষমতা বাড়িয়ে নিচ্ছেন।

প্রতি বছর ডিসি সম্মেলনে প্রশাসন ক্যাডার নানা রকম আবদার করে। ডিসিদের আবদারেই সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতার চেতনা থেকে সরে এসেছে। ২০১৩ সালের ডিসি সম্মেলনে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগ আলাদা করার পর সংক্ষিপ্ত বিচারসহ ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) অন্তত সাতটি ধারার ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য আবারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালের ডিসি সম্মেলনেও একই ধরনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তখন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হওয়ার মতো কিছু করবে না। তবে ডিসিদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই যে সরকার মোবাইল কোর্টের আওতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা তিনি তখনই জানিয়েছিলেন। ২০১২ সালে ডিসিদের চাপের পর তখনকার আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ অবশ্য বলেছিলেন যে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা বাড়ানো হবে না।

২০০৭ সালে বিচার বিভাগ থেকে নির্বাহী বিভাগ আলাদা হওয়ার পর আমলারা তাদের বিচারিক ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই দেখা যায়, সুযোগ পেলেই বিচারিক কাজে তাদের সংশ্লিষ্ট করার প্রস্তাব দিতেন তারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছ থেকে মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশ আদায় করার পর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন-সংক্রান্ত অপরাধের বিচার মোবাইল কোর্টে নেওয়ার বিধান করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল করে দিয়ে বলেছে যে, ওই কাজ তাদের নয়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে নির্বাচনী অপরাধের বিচার করতে হবে।

২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করতে হলে সরকারের পূর্বানুমোদন নেওয়ার দরকার ছিল না। কিন্তু ২০১৩ সালে আমলাদের চাপে আইনটি সংশোধন করে সরকারের পূর্বানুমোদনের বিষয়টি যুক্ত করা হয়। বৈষম্যমূলক আইন বলে ২০১৪ সালে হাইকোর্ট সেটিও বাতিল করে দেয়। একইভাবে আদালত অবমাননা আইনে সরকারি কর্মকর্তাদের রেহাই দিয়ে যে বিধান করা হয়েছিল সেটিও বাতিল করেছে হাইকোর্ট।

মোবাইল কোর্ট নিয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা হয়েছে। ২০১১ সালের অক্টোবরে মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হলে হাইকোর্ট সরকারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বলেছিল 'এই আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়' ৪ সপ্তাহের মধ্যে তার ব্যাখা দিতে হবে। একই সঙ্গে 'স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না' তাও সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, ৪ বছরেও সরকার ওই রুলের জবাব দেয়নি। বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার।

আমলাদের খুশি রাখতে হোক কী তাদের চাপে নতি স্বীকার করেই হোক, এটা স্পষ্ট যে, প্রশাসন ক্যাডারের আমলারা সরকারের ঘাড়ে চেপে বসেছেন। সাধারণত সামরিক বা অগণতান্ত্রিক সরকার আমলাদের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে থাকেন বলে তাদের তুষ্ট করার একটি ব্যাপার থাকে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ মানুষের সরাসরি সমর্থনের ওপর নির্ভর করে যে দলটি প্রায় সাত দশক ধরে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেই এগিয়েছে, সেই আওয়ামী লীগ কেন আমলাদের তোষণ করে চলবে? এ দেশে দাপট দেখিয়ে গেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলারা। এরপর ব্রিটিশ সরকারের আমলা থেকে শুরু করে পাকিস্তানি জমানার আমলারা রাজনীতিবিদদের ঘাড়ের ওপর সিন্দাবাদের ভূতের মতোই চেপে বসে থাকতেন।

এখন দেখছি বাংলাদেশেও সেই আমলাদেরই ভূত। নিঃসন্দেহে এটা দুর্বল গণতন্ত্রের ফলাফল।