যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 18 April 2015, 05:51 AM
Updated : 18 April 2015, 05:51 AM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার যেখানটায় একজন প্রবাসী লেখককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তারই আশপাশে বাংলা নববর্ষের সন্ধ্যায় বেশ কজন নারীকে আক্রমণ করা হয়েছে দেখে অবাক হওয়া যাবে না। একই দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ছাত্রীনিগ্রহের ঘটনা বরং কিছুটা নতুন। নিগ্রহকারী সেখানে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ছেলেটি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একজন কর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যারা ওসব বর্বর আচরণ করেছে, তারা এমন কোনো ছাত্র সংগঠনভুক্ত হলে অবাক হব না। একটি বাম ছাত্র সংগঠনের কজন কর্মী আক্রান্ত নারীদের রক্ষায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে যান। তাদের একজন আহত হয়েছেন হামলাকারীদের হাতে। আক্রান্ত এক নারীর সঙ্গী আহত হওয়ার ঘটনাও লক্ষণীয়। হামলাকারীরা ছিল দলবদ্ধ ও সহিংস; আর তারা কাউকেই ছাড় দেয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় অবাক হওয়া যাবে না সঙ্গত কারণেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় উৎসবের ভিড়ে মেয়েদের এভাবে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা অনেক আগে থেকেই ঘটছে। আড়াই দশক আগে আমরা এখানকার ছাত্র থাকাকালে, যখন কোনো উৎসবই এত ব্যাপক রূপ নেয়নি, তখনও বিশেষত বাংলা একাডেমি এলাকায় বই মেলার প্রবেশপথে একদল ছেলে সংঘবদ্ধভাবে এসব ঘটাত। এ কারণেই বোধহয় পরে বই মেলায় ঢোকা ও বেরোনোর পথ আলাদা করে দেওয়া হয়। এমনতর নারীনিগ্রহ ঠেকাতে কারা যেন ছাত্রদের নিয়ে 'ব্রিগেড' গড়ে তুলেছিলেন। ছাত্ররাজনীতিতে তখনও কিছুটা আদর্শবাদ ছিল। সংস্কৃতিকর্মীদের সক্রিয়তাও কম ছিল না এ এলাকায়।

এরই মধ্যে একটি ঘটনা স্মরণ করতে হয়। এরশাদ পতনের পর টিএসসির ভেতর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এলে তখনকার বিটিভির এক আলোচিত সংবাদ পাঠিকা আক্রান্ত হন প্রায় একইভাবে। যতদূর মনে পড়ে, ব্যানার জাতীয় কিছু দিয়ে তার শরীর ঢেকে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিলেন কজন সংস্কৃতিকর্মী। 'গণতন্ত্রে উত্তরণের' ওই সময়টায় ঘটনাটি ধামাচাপাও পড়ে যায়। তিনি পুরুষ হলে বোধহয় অন্যভাবে লাঞ্ছিত করা হত তাকে। পরবর্তীকালে অবশ্য দেখেছি হরতালের সময় এক বয়স্ক অফিসযাত্রীকে রাজধানীর পথে বিবস্ত্র করতে। এসব ঘটনায় কারও সাজা হয়েছে বলে জানা নেই। আমরা সম্ভবত ওসব ভুলে যেতে চেয়েছি।

দুর্বৃত্তরা অবশ্য ভুলতে দেয়নি। বছর পনের আগে খ্রিস্টিয় নববর্ষ উদযাপনের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসে ভয়ানকভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন বাঁধন নামের এক মেয়ে। নামটি মনে আছে এ জন্য যে, একজন আলোচিত সংসদ সদস্য উল্টো তাকেই দায়ী করে সংসদে বক্তৃতা করেছিলেন। বইও লিখেছিলেন বা লিখিয়েছিলেন বোধহয়। খোদ সরকারপক্ষের ভেতর থেকে এমন কিছু ঘটলে বুঝতে বাকি থাকে না, তদন্ত কোন ধারায় এগোবে। বাঁধন লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কারও কি শাস্তি হয়েছিল?

এটি কিংবা অন্য কোনো নারীনিগ্রহের ঘটনায় উদ্ধারকারী তরুণদের উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল বলে মনে পড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ছাত্রীদের মিছিলে হামলা চালিয়ে পাইকারি প্রহার ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছিল আমাদের সময়ে। তখনও উদ্ধারকারী এক তরুণকে পোস্টার ছাপিয়ে অপবাদ দেওয়া হয়েছিল আক্রমণকারী বলে। এটা সে অর্থে সভ্য সমাজ নয় বলে এসবের কোনো গ্রহণযোগ্য নিষ্পত্তি হয়নি।

বাংলা নববর্ষ তো বটেই, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য উৎসবেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় আজকাল। এর মধ্যে বলতে গেলে প্রতিবারই ঘটে নারীর ওপর আক্রমণ। অনেক ঘটনাই প্রকাশ পায় না। একে 'যৌনসন্ত্রাস' বলাই সঙ্গত হবে। দিনকে দিন আরও বেশিসংখ্যক যুবক দলবদ্ধ হয়ে এমনভাবে এসব ঘটাচ্ছে যে, উপস্থিত দুএকজনের পক্ষে তাদের কবল থেকে কাউকে রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। এরই মধ্যে সবার মাঝে বেড়েছে 'ঝামেলা' এড়িয়ে চলার প্রবণতা। প্রধানত আইনের শাসন না থাকা কিংবা তা ভেঙে পড়ার কারণেই অমন প্রবণতা দেখা দেয়। সাহায্য করতে গিয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হলে এটাই হবে। আর মানুষ তো দেখতে পাচ্ছে, নিগ্রহ বা আক্রমণকারীরা ভীষণভাবে সংঘবদ্ধ আর তারা শাস্তি এড়িয়ে চলতে পারছে।

থার্টি ফার্স্ট উদযাপন করতে গিয়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকায়ও এমন কয়েকটি ঘটনা ঘটেছিল। তখন থেকেই মূলত ওটা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) কিছু কঠোরতা আরোপ করে। বাঙালির বর্ষবরণের সূচনা অবশ্য হয় ভোরে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। দিনব্যাপী চলে উৎসব। রাতেও সরব থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর কিছু এলাকা। এতে শামিল হতে ঢাকার আশপাশ থেকেও অনেকে আসে বলে শুনি। হতে পারে, এদেরও কেউ কেউ এবারের বর্ষবরণের সন্ধ্যায় টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝখানটায় আক্রান্ত হন। বিভিন্ন বয়সী নারী আক্রান্ত হন সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের হাতে। একটি ইংরেজি দৈনিক বলছে, ২০ জনের মতো নারী কমবেশি আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে এ সন্ত্রাস। কারা দেখাল এত দুঃসাহস! এর উৎসই বা কী?

পাশেই পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তারা সংখ্যায় বেশি ছিলেন না বলে জানা যাচ্ছে। দুতিনজন ছাত্রকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আক্রান্তদের উদ্ধারে এগিয়ে গেলেও তারা যাননি। সংখ্যায় কম হলেও তাদের গায়ে এদেশের মানুষের করের পয়সায় কেনা পোশাক ছিল আর সঙ্গে ছিল হাতিয়ার। প্রবাসী লেখক করুণভাবে আক্রান্ত হওয়ার সময়ও এদের ক্ষমাহীন নিষ্ক্রিয়তা আমরা দেখেছি। ওই ঘটনার তদন্তেও কোনো রকম অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। বর্ষবরণের দিন নারীরা আক্রান্ত হওয়ার সময়টায় ওই এলাকায় একাধিক সিসি ক্যামেরা সক্রিয় ছিল বলে যে খবর মিলছে, তা অবশ্য উৎসাহজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও বলছেন, ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজকাল হাতে হাতে ক্যামেরাওয়ালা সেলফোন। তাতে ভিডিও করার ব্যবস্থাও রয়েছে। দেশে নানা ধরনের অনেক মিডিয়া। এরই মধ্যে কিছু ছবি এসেছে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। প্রশাসন চাইলে নিগ্রহকারীদের পাকড়াও করা মনে হয় না কঠিন হবে। সে ক্ষেত্রে উদ্ধারকারীদের যেন আবার হয়রানির শিকারে পরিণত করা না হয়। নিগ্রহকারীরা যেহেতু দলবদ্ধ, তাই তাদের বাধাদানকারীদের নিরাপত্তার দিকে বরং দৃষ্টি রাখা দরকার। নারী লাঞ্ছনাকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নয়, হতে পারে না– এসব মুখস্থ কথা বলার দরকার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলে তাদের বিরুদ্ধে বরং দ্বিগুণ ব্যবস্থা নিতে হবে। ফৌজদারি মামলা তো হবেই; এদের ছাত্রত্বও বাতিল করতে হবে।

যে কোনো ধরনের ভিড়ে মেয়েদের কোনঠাসা করে তাকে লাঞ্ছিত করতে কিছু লোক প্রস্তুত হয়ে থাকে। এমন বিচ্ছিন্ন ও বিকারগ্রস্ত কিছু ব্যক্তি রয়েছে, যারা ধরা পড়লে প্রহৃতও হয়। ঈদের বাজারে এদের উদ্দেশ্যে পুলিশ কিছু সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিল বলে মনে পড়ে। এবারের বর্ষবরণে ডিএমপির পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছিল সন্ধ্যার মধ্যে অনুষ্ঠানাদি শেষ করে বাড়ি ফিরে যেতে। সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই এমনটা বলা হয়েছিল। নারীর নিরাপত্তার কথা ভেবে বলা হয়নি। এখনও নারীবান্ধব হয়নি আমাদের প্রশাসন। প্রক্টর যেভাবে কথা বলেছেন মিডিয়ার কাছে, তাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও স্পর্শকাতর বলে মনে হচ্ছে না। পুলিশ ও প্রক্টরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ছিল বলেও মনে হচ্ছে। বাড়ন্ত উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবার যেসব ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে, সেটা রোধে তাদের কোনো পক্ষকেই উৎসাহী দেখা যায়নি। মনে হয়, তারা লজ্জিত হচ্ছেন না।

বর্ষবরণসহ বিভিন্ন উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অসম্ভব ভিড় হতে না দেওয়ার ব্যাপারেও তাদের উদ্যোগী দেখা যাচ্ছে না। একে তো দুর্বৃত্তরা শাস্তি পাচ্ছে না; দ্বিতীয়ত কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসছে না উৎসব 'ম্যানেজ' করতে। একটা সময় পর্যন্ত ম্যানেজ না করলেও হয়তো চলত। কিন্তু গত এক-দেড় দশক থেকে এটা ম্যানেজ করা দরকার ছিল। ডিএমপি, বিটিআরসি বা সিটি করপোরেশন থেকেও এমনকি গোটা রাজধানীতে চিন্তাপ্রসূত পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। দারুণ উৎসবও তাই হয়ে উঠছে বিড়ম্বনার বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপারটা প্রকট। আর এ সুযোগে দলবদ্ধ দুর্বৃত্তরা ওখানে ঘটিয়ে চলেছে নারীর ভয়ঙ্কর লাঞ্ছনা।

এতে প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও কি মর্যাদাহানি হচ্ছে না? এ অবস্থায় তার কি উচিত নয় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বসে, এমনকি স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তা নিয়ে অন্তত উৎসবের সময়টায় শৃঙ্খলা রক্ষায় উদ্যোগী হওয়া? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নারী নিগ্রহ মোকাবেলায় উদ্যোগী দেখলেই কিন্তু এ ব্যাপারে দুর্বৃত্তদের উৎসাহ কমত। কর্তৃপক্ষ বা পুলিশের সতর্কবাণীও তো ছিল না। তাতে উপস্থিত জনতার মধ্যে নারীনিগ্রহকারীদের মোকাবেলায় নৈতিক সাহসও বাড়ত মনে হয়।

এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকলে বাংলা নববর্ষ, একুশে ফেব্রুয়ারির মতো সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ উৎসবগুলোয় নারীর অংশগ্রহণ কমবে। এগুলো হয়ে উঠবে প্রধানত পুরুষদের কর্মকাণ্ড। উৎসবে নারীনিগ্রহের লাগাতার ঘটনা কি সেটাই নিশ্চিত করতে চাইছে? তেমন কোনো উদ্দেশ্য সাধনে নিয়োজিত মহলের সঙ্গে কি সম্পর্কিত এসব ঘটনা? বাঙালির শক্তির জায়গা এসব অসাম্প্রদায়িক উৎসবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যও কি রয়েছে কোনো মহলের?

এ সরকার যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা খুব বলে আর এর অংশ হিসেবে অসাম্প্রদায়িকতার কথাটিও বলে চলেছে, তাই তার গোয়েন্দাদের এমন অনুমান যাচাই করে দেখারও আহ্বান জানাব। নারীনিগ্রহের ঘটনায় যারা ধৃত হবে, তাদের নিছক 'বখাটে' হিসেবে দেখাটা ঠিক হবে না। মিডিয়াও যেন বিষয়টাকে হালকাভাবে না নেয়। অতি বা বাজে প্রচারণা করে পাঠক টানাও অন্যায়। এসব ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা যেটুকু রয়েছে, তাও বিনষ্ট করে দিচ্ছে বৈকি।

নারী উন্নয়ন সূচকে ভারতের চেয়েও আমরা এগিয়ে আছি বলে প্রশংসা করে চলেছেন অমর্ত্য সেন। তার কারণ রয়েছে নিশ্চয়ই। তবে এ ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়লেও নারীর ক্ষমতায়ন না হওয়ার দ্বন্দ্ব রয়েছে। ক্ষমতায়ন হলে কী বিশ্ববিদ্যালয় আর কী পুলিশ প্রশাসন– উৎসবে মেয়েদের ওপর এ বিরামহীন হামলার ব্যাপারে উদাসীন থাকত না। অর্থপূর্ণ কিছু না কিছু করত। দরকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমিয়ে দিত; ভাসমান দোকানপাট, গাড়ি চলাচল প্রভৃতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বিচরণের ব্যবস্থা করত ক্যাম্পাসে।

চাইলে অনেক কিছুই করা যায়; না চাইলে কোনো কিছুই মাথায় আসে না। খালি মনে হয়, কিছু তো করার নেই!

সবশেষে মনে হচ্ছে, উৎসবের কাঁটা হয়ে যারা এসব ঘটাচ্ছে বা ঘটিয়েছে, তাদের অন্তত ক'জনকে প্রকাশ্যে কোনো দণ্ড দেওয়া যায় কিনা। আমাদের সংবিধানে অবশ্য বলা হয়েছে, 'লাঞ্ছনাকর দণ্ড' দেওয়া যাবে না। কিন্তু জাতির মুখ মলিন করে দেওয়া কোনো কোনো ঘটনার পর মনে হয়, কিছু 'দৃষ্টান্তমূলক' ব্যবস্থা গ্রহণ না করলেই নয়। সরকার ও প্রশাসনকে অবশ্য সেটা মনে করতে হবে। কতিপয় বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির সদিচ্ছাপূর্ণ প্রস্তাবের কী-বা মূল্য আছে!

১৬ এপ্রিল, ভোরবেলায় লিখিত

হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট।