এবারও এগিয়ে শেখ হাসিনা

বিভুরঞ্জন সরকারবিভুরঞ্জন সরকার
Published : 8 April 2015, 09:36 AM
Updated : 8 April 2015, 09:36 AM

দীর্ঘ বিরানব্বই দিন গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থানের পর ৫ এপ্রিল দুপুরে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ৪ এপ্রিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেওয়া, ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে বেগম জিয়ার জামিন লাভ এবং গুলশানের নিজের বাসা ফিরোজায় ফিরে যাওয়া– এসব কিছুই গত তিন মাস ধরে দেশের রাজনীতিতে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তা প্রশমনের ইঙ্গিত। নেপথ্যে নানা উদ্যোগের ফলেই রাজনীতির প্রধান দুপক্ষ, সরকার ও বিএনপি কিছুটা নমনীয় অবস্থানে এসেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষকরা এ নমনীয়তা ইতিবাচক বলেই মনে করে স্বস্তি অনুভব করছেন। তবে এ স্বস্তি কতদিন স্থায়ী হবে তা এখনই বলা যাবে না।

বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন কেন্দ্র করে রাজনীতিতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল তা থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসা যাবে তা বলতে পারছিলেন না কেউ। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সংকট উত্তরণের পথ বের করে দিয়েছেন। তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার মুখে যেন কিছুটা ঠাণ্ডা পানি ছিটিয়ে দিয়েছেন। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয় থাকলেও নিজেদেন 'গ্যাড়াকল' থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে নির্বাচন থেকে দূরে না থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছে বিএনপি। দলের এ সিদ্ধান্তের পেছনে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে বেগম জিয়াকে প্রভাবিত করেছেন।

সরকার ও বিএনপির মধ্যে গোপন সমঝোতা বা আপোসরফা হয়েছে কিনা সে প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে। প্রকাশ্যে এ ব্যাপারে রাজনীতির কুশীলবরা মুখ না খুললেও কিছু একটা যে হয়েছে সেটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না কারও। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দিয়ে এবং আদালতে হাজির হওয়ার সময় বেগম জিয়ার জন্য 'পর্যাপ্ত' নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সরকার বিএনপিকে কিছুটা ছাড় দিয়েছে। আর বেগম জিয়া আদালতে হাজির হয়ে এবং বাসায় ফিরে নিজের অনড় অবস্থানের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।

প্রশ্ন উঠেছে, দীর্ঘ তিন মাস আন্দোলনের নামে দেশে নজিরবিহীন সহিংসতা চালিয়ে বেগম জিয়া কী পেলেন? তিন মাস অফিসে থাকার 'কষ্ট' ছাড়া অন্য কোনো কষ্ট কি তাঁর মনে নেই? তাঁর আন্দোলনে ১৩৮ জন নিরীহ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পেট্রোল বোমার আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৭৭ জন। গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন প্রায় ৩৫০ জন। বিভিন্ন কারণে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ। নাশকতায় বাস-ট্রাকসহ প্রায় দুহাজার যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রেলপথে কমপক্ষে ৮০টি স্থানে নাশকতা চালানো হয়েছে। সড়ক পরিবহন খাতেই ক্ষতির পরিমাণ ৩১ হাজার কোটি টাকা বলে জানা গেছে।

এছাড়া ২৩টি ভূমি অফিসসহ অন্তত ৪১টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে, পুড়ে গেছে অনেক মূল্যবান দলিল-দস্তাবেজ। কৃষি, তৈরি পোশাক শিল্পসহ অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে অপূরণীয়। হাজার হাজার কোটি টাকার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শিক্ষাখাতে যে ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে পূরণ করা হবে সে প্রশ্ন শিক্ষানুরাগী সবার মধ্যেই আছে। ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থী চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ছুটির দিনগুলোতে কোনোভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর জীবন থেকে চুরি হয়ে গেছে কোটি কোটি শিক্ষা-ঘণ্টা। বছরের শুরুতেই নতুন বই হাতে পেলেও ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পারেনি।

যারা জীবন দিলেন, স্বজন বা সম্পদ হারালেন, অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন, যাদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হল– তারা এখন সান্তনা খুঁজবেন কোথায়? বিএনপির যেসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন, মামলায় জড়িয়েছেন, ঘর-বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে আছেন– তাদের জন্যই বা এই আন্দোলনের 'প্রাপ্তি' কী?

যদি বলা হয়, আন্দোলনে বেগম জিয়া ব্যর্থ বা পরাজিত হয়েছেন তাহলে বিএনপির সমর্থক অনেকেই মানতে চাইবেন না। তারা বলবেন, এখনই আন্দোলনের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন করা যাবে না। তিন মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়াই বেগম জিয়ার বড় সাফল্য। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মহলের সমর্থন পাওয়াও তাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন। সরকার যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল, এটা সবাই দেখেছেন। কাজেই আন্দোলনে বেগম জিয়া কিছুই অর্জন করেননি– সে রকম মনে করলে ভুল হবে।

বিএনপি সমর্থক কেউ কেউ বলছেন যে, ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলেই বোঝা যাবে আন্দোলনে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত না লাভবান হয়েছে। তাদের ধারণা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে, ভোটাররা ভয়-ভীতিমুক্ত পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলে বিএনপির প্রার্থীদের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।

তিন সিটি নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন, লাভ হবে বিএনপিরই। হিসাব-নিকাশ করেই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব এটা উপলব্ধি করেছেন যে, ৬ জানুয়ারি থেকে তারা যে আন্দোলন শুরু করেছেন সে আন্দোলনে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে যুক্ত করা সম্ভব হয়নি। দলের নেতা-কর্মীরাও সব জায়গায় সমানভাবে মাঠে নামেনি। পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপের জন্য মূলত 'আউটসোর্সিং' করা হয়েছে। ফলে আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে।

বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে বিএনপি। তাদের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল মহলগুলোও আন্দোলনের নামে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির বিষয়টি সহজভাবে মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু আন্দোলন থেকে সরে আসার সম্মানজনক পথ পাচ্ছিল না দলটি। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বিএনপির মুখরক্ষার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন বলে কেউ যদি মন্তব্য করেন, তাহলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না।

তবে বিএনপির বিবেচনায় রয়েছে এটাই যে, নির্বাচনে তারা জিতলে কিংবা হারলে অথবা জোর করে তাদের হারিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তীতে সরকারবিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা তাদের জন্য সহজ হতে পারে। নির্বাচনে বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীরা জিতলে বলা হবে, সরকারের প্রতি মানুষের সমর্থন নেই। কাজেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে মাঠে নামতে পারবে দলটি। আবার নির্বাচনে যদি তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয় তাহলে বলা হবে, তাদের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে; এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। পুরনো কথা নতুন করে সামনে এনে আন্দোলনের সূচনা করা যাবে।

এ ধরনের রাজনৈতিক কৌশলে বিএনপি জয়যুক্ত হতে পারবে কিনা সে বিষয়েও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলে সন্দেহ রয়েছে। অন্যদিকে সরকারপক্ষ মনে করছে, এ মুহূর্তে নির্বাচনে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের খারাপ করার কারণ নেই।

২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ৫ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে দেশে যে রাজনৈতিক বাস্তবতা ছিল, বিএনপির প্রতি মানুষের যে আকর্ষণ ছিল, তা এখন নেই। তিন সিটিতেই মেয়র পদে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে (বিশেষত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে) তারা কম বিতর্কিত। ঢাকা উত্তরের প্রার্থী, ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হকের রয়েছে একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। দলের বাইরেও রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা। দক্ষিণের প্রার্থী সাঈদ খোকনও একজন শক্ত প্রার্থী। বাবা মোহাম্মদ হানিফের প্রতি মানুষের দরদ ও ভালোবাসাকে তিনি পুঁজি করতে পারবেন। তাছাড়া এবার দলসমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য আঁটঘাট বেঁধেই মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ। কারণ এ নির্বাচনে পরাজিত হলে তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কি হবে সেটা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভালোই বুঝতে পারছেন।

কৌশল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপিসমর্থিত প্রার্থীদের নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যেই পড়তে হবে। আন্দোলনের নামে নিরাপরাধ মানুষদের কেন হত্যা করা হল, কেন দিনের পর দিন সাধারণ মানুষদের অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হল, কেন ছেলেমেয়েদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হল– এসব প্রশ্নের উত্তর তাদের দিতে হবে। তাছাড়া জয়লাভ করলেই যে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তারা, এরই-বা নিশ্চয়তা কী? মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে তারা দায়িত্বপালনের অযোগ্য হবেন না তার গ্যারান্টি আছে কি? অন্য সিটি করপোরেশনগুলোতে বিএনপির মেয়রদের কী অবস্থা হচ্ছে সেটা কারও অজানা নয়। জেনেশুনে মানুষ কেন এমন অনিশ্চয়তার মধ্যে যাবে?

আবার মানুষ এটাও বুঝতে পারছে যে, বিএনপি আন্দোলন করে দাবি আদায় করতে পারবে না। ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার আন্দোলনে তারা সফল হয়নি। এবারও মধ্যবর্তী নির্বাচন আদায়ের আন্দোলনে নেমে তারা ব্যর্থ হল। কাজেই বর্তমান সরকার মেয়াদ শেষ করার আগে ক্ষমতা ছাড়বে বলে মানুষ এখন আর খুব বেশি বিশ্বাস করছে না।

বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চাচ্ছে। কিন্তু তারা ক্ষমতায় গিয়ে কী করবে, বর্তমান সরকারের চেয়ে তারা ভালো কি করবে এবং কীভাবে করবে সে সব বিষয়ে কিছুই বলছে না। সবচেয়ে বড় কথা, তারা ক্ষমতায় যেতে চায়, আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনদুর্ভোগের কারণ ঘটায়; কিন্তু নেতারা ত্যাগ স্বীকার করতে চান না। জেলজুলুমের ভয়ে পালিয়ে থাকেন। আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে, বিপদের মুখে ঠেলে দেয় এ দল। এ ধরনের পলায়নপর মনোভাব পছন্দ করে না কেউ। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মানুষের এই মনোভাবের প্রতিফলন দেখা যাবে বলে সরকারপক্ষ মনে করছে।

অবশ্য বিএনপি নেতৃত্ব মনে করেন, আন্দোলনে বিএনপি সফল কী ব্যর্থ তা নিয়ে তাদের ভোটারদের মাথাব্যথা নেই। বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন অটুট রয়েছে। বিএনপির সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা আন্দোলনের মাঠে না নামলেও দলসমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিতে কার্পণ্য করবে না।

আওয়ামী লীগকে আরও বেশি সমর্থন পাওয়ার জন্য জরুরিভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। এ সরকারের আমলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে এতে সন্দেহ নেই। তারপরও এ সরকার সম্পর্কে কারও কারও মধ্যে যে অসন্তোষ রয়েছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। মাঠ পর্যায়ে আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির নেতা-কর্মীর নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ মানুষ পছন্দ করে না। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর মধ্যে মানুষকে কাছে না টেনে দূরে ঠেলে দেওয়ার এক ধরনের পারদর্শিতা রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।

ছাত্রলীগের কোন্দল, হানাহানি সরকারের সুনাম নষ্ট করছে ব্যাপকভাবে। দেশের উন্নয়নে সরকার যতটা আগ্রহী, সুশাসনের ব্যাপারে ততোটা মনোযোগী নয় বলেও অনেকে মনে করেন। কোনো কোনো এমপি ও মন্ত্রীর কার্যকলাপেও অনেকে বিরক্ত ও হতাশ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা, দেশের রাজনীতিকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র মোকাবেলার জন্য বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রাখার যে রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে– এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন ও সংগঠিত করতে যে রাজনৈতিক কার্যক্রম থাকা দরকার, সেটাও নেই তাদের। সারা দেশেই আওয়ামী লীগ কার্যত একটি নিস্ক্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

এসব বিষয়ের দিকে নজর না দিলে বিএনপির প্রতি মানুষের সমর্থন কমলেও সরকার বা আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন বাড়বে না।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার এটা প্রমাণ করেছেন যে, রাজনৈতিক কৌশলে তিনি খালেদা জিয়ার চেয়ে এগিয়ে। আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার আগেই বিএনপি নেতাকে বাসায় পাঠিয়ে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁকে টেক্কা দেয়ার ক্ষমতা এখনও কেউ অর্জন করতে পারেনি। খালেদা জিয়াকে তাঁর সমর্থকরা আপোসহীন নেত্রী বলে প্রচার করলেও বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে তিনি আপোস করেছেন– নীতির প্রশ্নে, কৌশলের প্রশ্নেও। একাধিকবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে সামনে এগুনোর পরিবর্তে তাঁকে পিছু হটতে দেখা গেছে।

এবারের আন্দোলনেও কি তিনি আসলে এগুতে পেরেছেন?