ফরমালিন প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায় ও অন্যান্য ভাবনা

মুনীরউদ্দিন আহমদ
Published : 7 Dec 2014, 03:50 PM
Updated : 7 Dec 2014, 03:50 PM

সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে খাদ্য ও ফলে ফরমালিনের উপস্থিতি মাপার সঠিক যন্ত্র সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এর প্রেক্ষিত হল, বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ফলমূলে ফরমালিন পরীক্ষার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে তা আসলে তৈরি হয়েছে মূলত বাতাসে ফরমালিন পরীক্ষা করার জন্য। প্রস্তুতকারক কোম্পানির ব্যবহারবিধি ও ওয়েবসাইটের তথ্যের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এনভায়রনমেন্টাল 'জেড ৩০০ মডেলের ফরমালডিহাইড ভেপার মিটার' যন্ত্রটি পরিবেশ ও বাতাসে ফরমালডিহাইডের ভেপার মাপার একটি সংবেদনশীল যন্ত্র।

অন্যদিকে, বিএসটিআইয়ের এক প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে যে, ফলসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের ব্যবহৃত যন্ত্র নির্ভুল তথ্য দেয় না। ডিএমপি 'জেড ৩০০ মডেলের ফরমালডিহাইড মিটার' দিয়ে বাজার থেকে সংগৃহীত আপেল, আঙুর, কলা, খেজুর, কমলা, মাল্টা ও আম পরীক্ষা করে সবগুলোতে ফরমালিনের উপস্থিতি পেয়েছে। অথচ বিএসটিআই ল্যাবের নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করে একই ফল পরীক্ষা করে শুধু আমে ফরমালিনের উপস্থিতি পেয়েছে। অতীতে নির্ভুল যন্ত্র দিয়ে ফরমালিনের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়নি বলে হাজার হাজার টন ফল ও মাছ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এটা ব্যবসায়ী, কৃষক ও ভোক্তাদের জন্য বিরাট ক্ষতির কারণ বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফুড ইমপোর্টার্স অ্যাসোাসিয়েশন।

হাইকোর্টের রায়ে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। ফরমালিনের ওপর ইতোমধ্যে আমার বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রত্যেক প্রবন্ধে আমি লিখেছি যে, মাছ, মাংস, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে 'ফরমালডিহাইড' উপস্থিত থাকে। তাই এসবে কেউ ফরমালিন না মেশালেও ভেপার মাপার সংবেদনশীল যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হলে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে এসবে উপস্থিত 'ফরমালডিহাইড' অতি সহজে ধরা পড়বে। ফলমূল, মাছ ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হওয়া এ কারণেই জরুরি।

হাইকোর্টের রায়ের পর আমার মনে হচ্ছে যে, অতীতে খাদ্যদ্রব্য, ফলমূলে ফরমালিনের উপস্থিতি নির্ণয়ে বড় ধরনের ক্রটি থেকে গিয়েছিল। ফরমালিনের ভয়ে এখন আর কেউ সহজে এসব খেতে চায় না। কয়েক বছর ধরে মাছ, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণে ফরমালিনের ব্যাপক ব্যবহার জনস্বাস্থ্যের জন্য এক মারাত্মক হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বলে পত্রপত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ঝড় বয়ে গেছে। এই রাসায়নিক পদার্থটি দ্রবণ হিসেবে ব্যবহার করলে শুধু মাছ নয়, হরেক রকম ফলমূলও বেশ তাজা ও সতেজ থাকে, দেখতে খুব আকর্ষণীয় দেখায়। পচন রোধকল্পে মৃতদেহ, মৃত জীবজন্তু বা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিন দ্রবণে ডুবিয়ে রাখা হলে বহুদিন সংরক্ষণ করা সম্ভব।

বিভিন্ন প্রকার জীবাণু, প্যারাসাইট ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মাছ চাষে স্বল্পমাত্রার ফরমালিন ব্যবহারের বিধান রয়েছে। অথচ অসাধু ব্যবসায়ীরা এ ধরনের একটি বিষাক্ত দ্রব্য খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহার করে মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।

শুধু বাংলাদেশে নয়, আশেপাশের অনেক দেশেই ফরমালিনের ব্যবহার ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইন্দোনেশিয়ার খাদ্য ও ওষুধ সংস্থা, যাকে সংক্ষেপে 'বিপিওএম' বলা হয়, এক সমীক্ষায় দেখতে পায় যে, এক শ্রেণির অসাধু ও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী খাদ্যদ্রব্য, বিশেষ করে মাছ, টফু ও আর্দ্র নুডুলস সংরক্ষণে ব্যাপক হারে ফরমালিন ব্যবহার করে আসছে।

অসাধু ব্যবসায়ীরা মাছ ও খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন মেশান, এটা সত্যি হলেও সমস্যাটা ওখানে নয়– কী মাত্রায় মেশানো হয়েছে সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। স্বল্পমাত্রায় ফরমালিনে শরীরের ক্ষতি হবার কথা নয়। অনেক্মেই জানেন না, মাছ, মাংস, ফলমূল ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যে প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবেই 'ফরমালডিহাইড' উপস্থিত থাকে। প্রতি কিলো আপেলে ৬.৩ থেকে ২২.৩ মিগ্রা, কলায় ১৬.৩ মিগ্রা, বিটে ৩৫ মিগ্রা, পেঁয়াজে ১১ মিগ্রা, ফুলকপিতে ২৭ মিগ্রা, আঙুরে ২২.৪ মিগ্রা, নাশপাতিতে ৩৮.৭-৬০ মিগ্রা, শুকরের মাংসে ৫.৬-২০ মিগ্রা এবং গরুর মাংসে ৪.৬ মিগ্রা 'ফরমালডিহাইড' থাকে।

তাছাড়া, প্রতিদিনই আমরা প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে কম-বেশি 'ফরমালডিহাইড' শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করি। কল-কারখানা থেকে নির্গত ধোয়া ও বাষ্পের মধ্যেও এটি থাকে যা প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে ঢুকছে। সিগারেটের ধোঁয়া, এমনকি বৃষ্টির পানিতেও আছে 'ফরমালডিহাইড'। তবে মাত্রাতিরিক্ত 'ফরমালডিহাইড' বিষাক্ত। তাই এতে কার কতটুকু ক্ষতি হবে তা নির্ভর করবে ফরমালিনের মাত্রার ওপর।

প্রিয় পাঠক, এবার আপনাদের অবগতির জন্য ফরমালিনের একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি উপস্থাপন করতে চাই। ফরমালিন বর্ণহীন তীব্র ঝাঁজালো এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। পানিতে ৩৭ শতাংশ 'ফরমালডিহাইড' এবং ০-১৫ শতাংশ 'মিথানল' দ্রবণকে ফরমালিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। 'ফরমালডিহাইড' পানিতে সহজে দ্রবণীয়। এটি শরীরে পুঞ্জীভূত হয় না। এটি হল একটি মধ্যবর্তীকালীন রূপান্তরিত রাসায়নিক পদার্থ এবং প্রতিটি কোষেই উৎপন্ন হয়। অত্যন্ত ক্রিয়াশীল এটি এবং প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের সঙ্গে বন্ধনে মিলিত হয়। রক্তে 'ফরমালডিহাইড'এর 'হাফ লাইফ' (যে সময়ের মধ্যে কোনো রাসায়নিক পদার্থের পরিমাণ বা মাত্রা অর্ধেকে নেমে আসে) মাত্র ৯০ সেকেন্ড। 'ফরমালডিহাইড' অক্সিডাইজড (রাসায়নিক রূপান্তর) হয়ে অতি দ্রুত ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয় যা প্রস্রাবের মাধ্যমে এবং কিছু অংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইডে রূপান্তরিত হয়ে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাছাড়াও, 'ফরমালডিহাইড' শরীরে প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড সংশ্লেষণের আবশ্যকীয় উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মানুষ ও জীবজন্তুর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, গলাধঃকরণ করা হলে ফরমালিন বিষাক্ত হতে পারে। আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বা আকস্মিক ভুল-ভ্রান্তির কারণে 'ফরমালডিহাইড' ব্যবহারে মুখ, গলা, অন্ত্র জ্বলে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এটি শরীরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে যকৃতে (লিভার) ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়ে 'মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস' (রক্তের অম্লত্ব বৃদ্ধি) উৎপন্ন করে।

ফরমিক অ্যাসিড শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটানো ছাড়াও যকৃত ও কিডনি ধ্বংস করতে পারে। পরিস্থিতি তীব্র হলে শরীরে খিঁচুনি ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিষাদগ্রস্ততার (ডিপ্রেশন) কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ৩১৭-৪৭৫ মিলিগ্রাম/কেজি ফরমালিন ৭০ কিলো ওজনের একজন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। ফরমালিনের ছিটা চোখে পড়লে অস্বস্তি ছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তি লোপ পেতে পারে।

'ফরমালডিহাইড' নিজে ক্যান্সার উৎপন্ন করে অথবা প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। 'ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার' পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর উপসংহারে এসেছে যে, বারবার ও দীর্ঘ সময়ের জন্য এর সংস্পর্শে মানবদেহের নাক, ফুসফুস ও গলায় ক্যান্সার উৎপন্ন হয়। ইঁদুর ও কুকুরের মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, এর কারণে পাইলোরাসে অ্যাডেনোকারসিনোমার মতো অন্ত্রের ক্যান্সার সৃষ্টি হতে পারে।

পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফরমালিন গ্রহণের কারণে গার্মেন্ট শ্রমিকদের গলা, সাইনাস ও নাকের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতি লিটারে ০.৫-২.০ মিগ্রা ফরমালিন চোখ, নাক, গলার সংস্পর্শে এসে জ্বালা-যন্ত্রণা সৃষ্টি করে। আবার প্রতি লিটারে ৩-৫ মিগ্রা ফরমালিন চোখে পানি আনতে পারে। ১০-২০ মিগ্রা ফরমালিনের কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট বাড়ায়। ২৫-৩০ মিগ্রা ফরমালিন শ্বাসনালীর মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি করে। ১০০ মিগ্রা ফরমালিন স্বাস্থ্য ও জীবনের জন্য বিপদ বয়ে আনতে পারে। চামড়ার সংস্পর্শে ফরমালিন এলে চামড়া পুড়ে যেতে পারে বা বিভিন্ন ধরনের এলার্জির উপদ্রব দেখা দিবে। বেশিমাত্রায় ফরমালিন শরীরে ঢুকলে কোষের প্রতিটি উপকরণের সঙ্গেই তা বিক্রিয়া করার ক্ষমতা রাখে এবং ফলশ্রুতিতে কোষ তথা প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটায়।

ফরমালিনে 'মিথানল'এর উপস্থিতি 'ফরমালডিহাইড'এর প্রতিক্রিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি করে পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। কারণ 'মিথানল' লিভারে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রথমে 'ফরমালডিহাইড' এবং পরে ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয় যা রক্তের অম্লত্বের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে অম্লত্ব বৃদ্ধি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।

'ফরমালডিহাইড' দ্রবণে থাকলে তা ফরমিক অ্যাসিডে রূপান্তরিত হয়। ফরমিক অ্যাসিড ক্ষত সৃষ্টিকারী বস্তু। সুতরাং 'ফরমালডিহাইড' এবং ফরমিক অ্যাসিড মাত্রাভেদে শরীর ও চামড়ার সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়া ছাড়াও স্থায়ী ক্ষতচিহ্ন রেখে যেতে পারে। ক্ষয়িঞ্চু বলে এটি দৃষ্টিশক্তির অবনতি ঘটানো থেকে শুরু করে দৃষ্টি কেড়েও নিতে পারে।

ফরমালিন থেকে অব্যাহতি লাভের কোনো ম্যাজিক ফর্মূলা নেই। তারপরও ছোটখাট কিছু পরামর্শ হয়তো পাঠকদের ফরমালিনের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে।

এক.

আমদানিকৃত মাছে ফরমালিন মেশানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং এ ধরনের মাছ কেনার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উত্তম।

দুই.

পরিচিত বাজার বা দোকানদারের কাছ থেকে মাছ বা ফলমূল কিনলে ফরমালিনমুক্ত মাছ বা ফলমূল পাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

তিন.

মাছ টিপে দেখুন । আঙুল দিয়ে টিপে অস্বাভাবিক শক্ত মনে হলে তাতে ফরমালিন থাকার সম্ভবনা বেশি। মাছ নাকের কাছে নিয়ে শুকে দেখতে পারেন, ঝাঁজালো গন্ধ নাকে লাগে কিনা। ফরমালিন ঝাঁজালো হয়।

চার.

মাছ বা ফলমূল কিনে এনেই পানিতে ডুবিয়ে রাখুন বেশ কিছুক্ষণ। দরকার হলে দুয়েকবার পানি বদলে নিতে পারেন। মাছ বা ফলমূলের গায়ে ফরমালিন থাকলে তা পানিতে অনেকটা দ্রবীভূত হয়ে যাবে। সম্ভব হলে মাছ বা ফলমূল ভালো করে ঘষে ধুয়ে নিন কাটার আগে।

পাঁচ.

ফরমালিনযুক্ত মাছ বা ফলমূল ধোয়া পানি যেন আপনার শরীরের সংস্পর্শে না আসে। শিশুদের বেলায় আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

ছয়.

স্বল্প পরিমাণে উপস্থিত ফরমালিন শরীর মেটাবলাইজড (রাসায়নিক রূপান্তরের মাধ্যমে নিস্ক্রিয় পদার্থে পরিণত করা) করতে পারে যা শরীরের জন্য তেমন ক্ষতিকর নাও হতে পারে।

সাত.

সুষম পুষ্টিকর খাবার ও ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান। তাতে শরীরের সহজাত প্রতিরোধ ক্ষমতা ফরমালিনের মতো বিষাক্ত ও ক্ষতিকর উপাদান প্রতিরোধ বা নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে।

আট.

মাছ ৫ শতাংশ ভিনেগার (এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার ভিনেগার) দ্রবণে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে ফরমালিনমুক্ত হতে পারে।

নয়.

ভ্রাম্যমাণ আদালতের তদারকি বৃদ্ধি করলে ফরমালিনের উপদ্রব অনেক কমে যাবে। আজকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকাণ্ড খুব একটা চোখে পড়ে না।

দশ.

ফরমালিনের ব্যবহারের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করুন ও তা প্রতিহত করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করুন।

এগার.

ভয়-ভীতি নয়, উপস্থিত বুদ্ধি, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে ফরমালিন সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বার.

স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আমাদের কিছু পড়াশোনারও দরকার আছে।

ড. মুনীরউদ্দিন আহমদ: অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।