জয়াললিতার জেলযাত্রা বনাম ‘দুদক-সার্টিফায়েড’ নেতারা

এম এম খালেকুজ্জামানএম এম খালেকুজ্জামান
Published : 4 Nov 2014, 09:04 AM
Updated : 4 Nov 2014, 09:04 AM

সেলুলয়েডেই শুধু নয়, ধর্মের কল বাস্তবেও নড়ে, তার বাস্তবায়নই দেখা গেল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী জয়াললিতার জেলযাত্রা দিয়ে। প্রবল প্রতাপশালী এই মূখ্যমন্ত্রী নত মুখে আদালতের রায় মেনে দিন কয়েকের জেলযাপন শেষে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিন পান। তিনি দুর্নীতি নিবারণ আইনে দণ্ডিত হলেন, এর প্রতীকী তাৎপর্য অনস্বীকার্য। ক্ষমতার যথেচ্ছাচার করে, দুর্নীতি করে পার পেয়ে যাবার এই নিশ্চিন্ততায় যতি টেনে ভারতে স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের বার্তা পাওয়া গেল।

মাত্র পনের বছর বয়সে জয়াললিতা জয়ারাম পা রাখেন দক্ষিণী চলচ্চিত্রের রূপালী জগতে। এরপর রাজনীতির ময়দানে। সবশেষে আসীন হলেন তামিলনাড়ুর মসনদে। নায়িকা থেকে মূখ্যমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন এই স্বপ্নও ছিল তার। কয়েদি নম্বর ৭৪০২ নিয়ে তিন সপ্তাহ জেলের ঘানি টেনেছেন। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কেউ মূখ্যমন্ত্রীর তখত থেকে সোজা জেলে। ১৭ অক্টোবর ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাকে শর্তসাপেক্ষে দু'মাসের জামিন দেওয়ার পরদিন, বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ১৮ ডিসেম্বর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

'হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি' মামলায় জয়াললিতার বিরুদ্ধে চার বছরের হাজতবাসের সাজা দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর ওই বিশেষ আদালত। একই সঙ্গে ১০০ কোটি টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়। এর ফলে মূখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে তামিল নেত্রীকে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ– ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে কেউ আর আইনসভার সদস্য থাকতে পারবেন না। ভারতের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, কারও হাজতবাস হলে, এর আরও ছয় বছর পর্যন্ত তিনি ভোটের লড়াইয়ে নামতে পারবেন না। মানে আগামী দশ বছর ভোটের রাজনীতি থেকে দূরে সরে থাকতে হবে জয়াললিতাকে। এই তামিল নেত্রীর সঙ্গে সাজা হয়েছে তার তিন পালিত পুত্র, সুধাকরণ, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী শশীকলা নটরাজন এবং আত্মীয়া ইলাবরসীরও। তাদের জরিমানা হয়েছে কম, দশ কোটি টাকা করে।

আঠার বছর আগে করা এই মামলার বিচারপর্বে সাত বিচারক শুনানি করেছেন। শুনানি মুলতবিও রাখতে হয় ১৩০ বার, বিভিন্ন কারণ দর্শিয়ে। জয়াললিতা যে বিপুল সম্পত্তি করেছিলেন, তার মধ্যে আছে তিনটি প্রাসাদোপম বাড়ি, ৩০ কেজি সোনার তৈরি ৪০০ জোড়া হাতের বালা এবং আরও অন্যান্য অলঙ্কার। আর আছে দেড় কেজি হিরে-বসানো কোমরবন্ধনী, ৫০০ কেজি রুপা, ১০ হাজার শাড়ি, সাড়ে সাতশ জোড়া জুতা এবং শ'খানেক হাতঘড়ি। ২০০১ সালেও তিনি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আরেক মামলায় মূখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

জয়াললিতার মামলায় ভারতের আদালত যে রায় দিলেন তা দেশটির রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন এক সংকেত, আর তা হচ্ছে দুর্নীতি করে কেউ পার পেতে পারে না। এই রায় সেই নেতা-নেত্রীদের শিরদাঁড়া বেয়ে নিশ্চয়ই হিমস্রোত নামাবে, যারা দুর্নীতিতে যুক্ত।

জয়াললিতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়ের ফলে অন্য যে নেতা-নেত্রীদের মাথার ওপর এমন মামলার খাঁড়া ঝুলছে তারাও শঙ্কিত– ছত্তিশগড়ের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী মধু কোড়া, টু-জি স্পেকট্রাম মামলার এ রাজা ও কানি মোড়ি এবং তাজ করিডর মামলায় বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী, সমাজবাদী পার্টির মুলায়েম সিং, কর্নাটকের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পাসহ অল্পপরিচিত আরও অনেক রাজনীতিবিদ।

আলোচিত এই ঘটনায় আশপাশের দেশের রাজনীতিবিদদেরও যেন বুঝিয়ে দেওয়া হল, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের দাপটে জমি-প্লট, ব্যাংক-ব্যালান্স, লাইসেন্স বাগিয়ে নিলেও আইনের শাসন থাকলে তার একটা বিহিত হয়। সেখানে জয়াললিতা জয়ারাম ব্যতিক্রম হতে পারেন না। জয়াললিতার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ করুণানিধি মূখ্যমন্ত্রী থাকার সময় এই নেত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রমাণ ও বিভিন্ন তথ্য ঠিকই সংগ্রহ করে রেখেছিলেন যা এই মামলার রায়ে সহায়ক হয়েছে।

ভারতে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল কেন্দ্রের সাবেক সরকার, মনমোহন সিংএর সরকার। সেটির বিদায়ের কারণও তাই। ভারতে জনমানসের ক্ষোভের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিচার বিভাগের সক্রিয়তায়। এ অবস্থায় সে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার অঙ্গীকার করেছেন এখনকার প্রধানমন্ত্রী মোদী। জনগণ তার সে অঙ্গীকারে ভরসা রেখেই ক্ষমতায় বসায় তাকে। "আইন সবার জন্য সমান" এই আপ্তবাক্যের সত্যরূপ দেখতে চায় ভারতবাসী।

আর এদিকে বাংলাদেশে আমরা কী দেখতে পাই?

সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের হলফনামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণী এবং তাদের সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, শিগগিরই পরবর্তী ধাপে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন দুদক সচিব মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান। তবে অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনকারী মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনো কমিটি গঠন কিংবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অনুসন্ধানে অগ্রহণযোগ্য তথ্য-উপাত্ত এলে তিনি যত বড় প্রভাবশালীই হোন না কেন, দুদক পদক্ষেপ নিতে পিছু হটবে না। পাশাপাশি শুধু মন্ত্রী-এমপি কিংবা তাদের স্ত্রীদের নয়, পোষ্য বা পোষ্য ছাড়াও ঘনিষ্ঠ স্বজনদের সম্পদের হিসাব নেওয়া হবে বলে জানান দুদক সচিব। খবরটি আমাদের আশাবাদী করেছিল।

দুর্নীতির অভিযোগ থেকে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হককে দায়মুক্তি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের বৈঠকে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির অনুমোদন দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। দুদকের কমিশনার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে রুহুল হকের স্ত্রী ইলা হক ও তার ছেলে জিয়াউল হকের বিষয়ে এখনও অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি। হলফনামায় দেওয়া তথ্য ভুল ও অসাবধানতাবশত হয়েছে, রুহুল হকের এ দাবিও দুদক গ্রহণ করেছে। আর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ৯ অক্টোবরের খবরটি আমাদের হতাশ করেছে।

যদিও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আয়-ব্যয় ও সম্পদের তথ্য দেওয়ার যে অঙ্গীকার ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে প্রায় সব কয়টি রাজনৈতিক দল করেছিল, সেটা তারা কেউই পালন করতে পারেনি কিংবা করেনি। সরকার বা বিরোধী উভয় দলের ক্ষেত্রেই এ কথা সমানভাবে প্রযোজ্য। এটাও আমাদের মনে রাখা দরকার যে, দলগুলো কিন্তু স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করেনি, মনোনয়ন পাওয়ার শর্ত হিসেবে হলফনামার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। তাই এ প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক যে, যেসব তথ্য তারা দিয়েছে সেগুলো পরিপূর্ণ কিনা। তাদেরই দেওয়া সম্পদ বিবরণী ভুলভাবে প্রস্তুত বলে দুদক থেকে দায়মুক্তিও পেয়ে যাচ্ছেন নেতারা।

নবম জাতীয় সংসদের ছয় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর হলফনামা নিয়ে চলমান বছরের জানুয়ারি থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সাংসদের হলফনামা ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া অস্বাভাবিক সম্পদের তথ্য থেকে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান খান, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সাংসদ আসলামুল হক, এনামুল হক ও আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। সরকারেরর নেতাদের সঙ্গে বিএনপির দুই সাবেক সাংসদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি ও মশিউর রহমান এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের বিরুদ্ধেও প্রাথমিক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামার তুলনা করে দেখা যায়, রুহুল হকের স্ত্রী ইলা হকের সম্পদ গত পাঁচ বছরে ৭৮২ শতাংশ বেড়েছে; রুহুল হকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১১০ শতাংশ। ব্যাংক হিসাবের বেশিরভাগই স্ত্রী ইলা হকের নামে। ২০০৮ সালে রুহুল হক ও তার স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৯২ লাখ ৩৬ হাজার ১০৮ টাকা। এখন তাদের ব্যাংকে রয়েছে ১০ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৩ টাকা। সে সময় ইলা হকের নামে ব্যাংকে ছিল মাত্র ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৩০ টাকা। এখন ৭ কোটি ৫৩ লাখ ১১ হাজার ২৪০ টাকা। পাশাপাশি ২০০৮ সালে এই সাংসদের ব্যাংকে জমা ছিল প্রায় ৮৮ লাখ টাকা। এখন তা ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

দুদকের তলবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে রুহুল হক দাবি করেন, হলফনামায় উল্লেখ করা সম্পদের হিসাবে সংখ্যাগত ভুল হয়েছে এবং সেটা অসাবধানতাবশত হয়েছে। বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এফিডেভিটের মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন সেটা গ্রহণ করেছে বলেও জানান রুহুল হক। এসব তথ্য দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছেও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তুলে ধরেছেন। তার নিজের 'কোনো ধরনের অবৈধ সম্পদ' নেই বলেও দাবি করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং দুদক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই খোঁড়া অজুহাত আমলে নিয়েছে।

যদিও দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে অব্যাহতি দেওয়ার প্রায় দুই মাস আগে রুহুল হকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি কমিশনে জমা দেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা। দুদকের একটি সূত্র জানায়, ওই প্রতিবেদনে রুহুল হক, তার স্ত্রী ইলা হক ও ছেলে জিয়াউল হকের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়। বেশ কিছু জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ ও আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়ারও উল্লেখ ছিল সেখানে।

কিন্তু আরও বিস্তারিত অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিষয়টি যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে ফেরত পাঠায় কমিশন। 'বিস্তারিত যাচাই শেষে' আবারও অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেন উপপরিচালক মীর্জা জাহিদুল আলম। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশনের সভায় রুহুল হক অব্যাহতি পান। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তথ্য মতে, এ বিষয়ে জানতে মীর্জা জাহিদুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সম্প্রতি দুদকের মামলায় প্রভাবশালীদের অব্যাহতি দেওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগ রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ঢাকার সাংসদ আসলামুল হককে। দুদকের দায়মুক্তির আশীর্বাদ নিয়ে তারা বজায় রাখবেন তাদের সম্পদ বাড়ানোর কাজ।

চর্চার ক্ষেত্রে না হোক, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রপরিচালনার ধরন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা। এর অন্যতম মৌল ভিত্তি হচ্ছে জবাবদিহিতা, যা নিশ্চিত হয় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারীদের দায়বদ্ধতার মাধ্যমে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজতন্ত্র বা সামরিকতন্ত্র থেকে ভিন্ন, পদ্ধতিগত দায়বদ্ধতার কারণে। তবে আমাদের দেশে দায়বদ্ধতার বিধান যতটা বিধিবদ্ধ আকারে আছে ততটা চর্চায় নেই।

সে কারণে ভারতে জয়ললিতা পদ হারিয়ে জেলে গেলেও আমাদের আসলামুল-রুহুলরা 'দুদক সার্টিফায়েড' হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেন, দুদক কি আদৌ তার ম্যান্ডেট মেনে কাজ করছে কিনা।

এম এম খালেকুজ্জামান: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।