জালিয়াত সচিবদের আইনের আওতায় আনা জরুরি

জায়েদুল আহসান পিন্টু
Published : 19 Feb 2019, 08:56 AM
Updated : 24 Oct 2014, 05:28 PM

গত জুলাই মাসে গণমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল এ রকম: মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ভুয়া সনদ দিয়ে নিয়োগ পাওয়া ২৩ প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলকে নোয়াখালী পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পামাপাশি, সাম্প্রতিক খবর: মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাময়িক সনদ গ্রহণ করায় তিন সচিব ও এক যুগ্ম সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।

অভিযোগ দুটি একই রকম। এক দল নিজে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন। আরেক দল নিজেদের পিতাদের মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়েছেন। দুটিই অপরাধ। এক দলের উদ্দেশ্য বেকারত্বের অভিশাপ ঘুচাতে মাসে ৫-৬ হাজার টাকা বেতনের চাকরিতে প্রবেশ করা। আরেক দলের উদ্দেশ্য চাকরিজীবনের শেষপ্রান্তে নিজেদের শান-শওকত আরও এক বছর বাড়িয়ে নেওয়া। এক দল শিক্ষিত (?), আরেক দল পড়াশোনা করেননি বা সুযোগ পাননি। অথবা রাষ্ট্র সে সুযোগ করে দেয়নি। এক দল খুবই গরীব, যাদের দুবেলা খাবার জোটে না। আরেক দল ধনী, সমাজের উঁচুস্তরে তাদের বসবাস, সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তা তারা। মোটা দাগে পার্থক্য এ রকমই।

কিন্তু রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে এ দুটি দলের মধ্যে ব্যবধান অনেক। পার্থক্যও বিশাল। গরিব দলটিকে রাষ্ট্র একেবারে জেলে পুরে দিল। আর ধনীক শ্রেণির প্রতিনিধিকে দেশ-বিদেশ ঘুরিয়ে এনে কারণ দর্শানো হল মাত্র! প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাষ্ট্র এক মুহূর্ত দেরি করল না। আর সচিবদের বিষয়টি নিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে। ব্যবস্থা নিতে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু কী ব্যবস্থা নেওয়া হল? মাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হল তাদের! এরপর হয়তো নামকাওয়াস্তে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের চাকরি যাবে কিনা সন্দেহ আছে, জেলে পাঠানোর চিন্তা তো করাই যায় না।

এই ইস্যুটির সঙ্গে রাষ্ট্র, সমাজ, আমলাতন্ত্র, আইন-আদালত, রাজনীতি, ক্ষমতা, প্রভাব, নৈতিকতা, সংবিধান, মৌলিক অধিকারসহ নানা বিষয় যুক্ত। আমি অত বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাই না। শিগগিরই তাদের বিচারের মুখোমুখি দেখতে চাই। প্রশ্ন জাগে, এত বড় অপরাধ করে ওইসব জালিয়াত আমলাদের এখনও কেন চাকরিচ্যুত করা হল না? কেনই-বা গ্রেপ্তার করা হল না তাদের?

সংবিধানের তৃতীয় ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার বিষয়ে ২৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে:

"সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।"

যদি তাই হয়, পুলিশ কনস্টেবল আর সচিবরা দেশে আইনের দৃষ্টিতেও সমান হওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে সংবিধান কেন মানা হচ্ছে না?

এই বৈষম্য রাষ্ট্রই সৃষ্টি করেছে। আর রাষ্ট্র চালাচ্ছেন ওই প্রতারক আমলারা। আমি প্রতারকই বলব, কারণ তা প্রমাণিত। আমরা জানি, সচিব বা আমলাতন্ত্রের হর্তাকর্তারা তাদের দুর্নীতি, ভোগবিলাসসহ নানান অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে আইনগতভাবেই সুরক্ষা পেয়ে আসছেন। সরকারও নিজেদের গদিরক্ষায় আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস দেখায় না। সুবিধা নিতে নিতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন শুনছি এতদিনের প্রাপ্য সুরক্ষাই তাদের জন্য যথেষ্ট নয়, আরও সুরক্ষা চাই।

আমাদের সংবিধানেই ২১ অনুচ্ছেদে নাগরিক ও সরকারি কর্মচারিদের কর্তব্য বিষয়ে বলা হয়েছে:

"… সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।"

জনগণের সেবা করে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরা কতটুকু কর্তব্য পালন করেন সেটি আলাদা আলোচনা হতে পারে। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের এই কর্মচারি যখন ফৌজদারি অপরাধ কিংবা দুর্নীতি করবেন, তখন কেন তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে?

আমরা দেখেছি, ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন আইন পাস করার সময় চূড়ান্ত বিলে সুকৌশলে সরকারি কর্মচারিদের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ‌শেষ পর্যন্ত তারা আর সেটি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আবারও আমলাদের খপ্পরে পড়েছে। তাদের চাপে হোক আর তাদের তোষামোদ করতেই হোক, ২০১৩ সালে সরকার দুর্নীতি দমন আইন সংশোধন করে বলেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

যদিও উচ্চ আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ওই সংশোধনী 'অবৈধ' ঘোষণা করেছে। কারণ সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদেই বলা আছে, সংবিধানের সঙ্গে অসমঞ্জস কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না, আর মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসমঞ্জস সব আইন বাতিল হবে।

এসব জানা থাকার পরেও আমলারা নানাভাবে নিজেদের সুরক্ষা আদায় করে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যুক্তি, সরকারি চাকরি করতে গেলে নীতিগতভাবে অনেকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, রাজনৈতিক কারণে সরকার অনেকে সিদ্ধান্ত নেয় যার দায়-দেনা তারা নিতে পারেন না।

এসব যুক্তি মেনে নিলেও ব্যক্তির অপরাধের দায় কেন সরকার বা রাষ্ট্র নিবে? তারা যখন অপরাধ করেন, দুর্নীতি করেন, এর দায় তাদেরই নিতে হবে। দেশের আর দশ জন নাগরিকের অপরাধের বিচারের মতোই তাদের বিচার হতে হবে। কিন্তু তারা এর উর্ধ্বে কেন থাকতে চাইছেন?

এখানেই তারা থেমে থাকছেন না, নতুন করে যে সরকারি কর্মচারি আইন করা হচ্ছে তার খসড়ায় দেখা যাচ্ছে সব রকমের সুরক্ষা ব্যবস্থাই তারা করতে যাচ্ছেন। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী দুর্নীতি দমন কমিশন বা অনুরূপ সাংবিধানিক ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তবে আদালতে অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ার আগে কর্মকর্তা-কর্মচারিকে গ্রেফতারের প্রয়োজন হলে সরকারের অনুমোদন লাগবে।

বর্তমানে দুর্নীতি-সংক্রান্ত মামলা হলেই যে কাউকে গ্রেফতার করা যায়। এছাড়া দুর্নীতি বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো অপরাধে এক বছরের সাজাযোগ্য অপরাধ করলে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

প্রস্তাবিত আইনে চাকরিচ্যুত করতে সাজা তিন বছরের বেশি হতে হবে। অর্থাৎ একজন সরকারি কর্মকর্তা এমন অপরাধ করলেন যার সাজা তিন বছরের বেশি নয়, তাহলে তিনি দণ্ডিত হয়েও চাকরি করে যেতে পারবেন। তার মানে আদালত কর্তৃক স্বীকৃত অপরাধীরাও 'নাগরিকদের সেবা' অব্যাহত রাখতে পারবেন!

যে দেশে এখনও সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর পার না হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য হন না, সে দেশে ফৌজদারি অপরাধ করে তিন বছর জেল খেটে এসে আবার সরকারি চাকরি করতে পারার বিধানের প্রস্তাব বড় মাপের 'আবদার' ই মনে হয়।

সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মে কর্মচারিদের নিয়োগ, কর্মসম্পাদন ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সংসদে আইন পাস করার কথা বলা আছে যা গত তেতাল্লিশ বছরেও করা হয়নি। বিচ্ছিন্নভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বেশ ক'টি আইন প্রচলিত আছে। সবগুলো আইন এ ছাতার নিচে আনতে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের স্বার্থেই ওই আইনটি করা দরকার। তার মানে এ নয় যে, এ আইনের মাধ্যমে তারা 'সাত খুন মাপ' এর ব্যবস্থা করবেন!

আমলারা যে আইনটির প্রস্তাব করেছেন, তা যদি পাস করা হয় তাহলে সরকারি কর্মকর্তাদের অপরাধ প্রবণতা বাড়বে বৈ কমবে না, আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দুর্নীতিও প্রশ্রয় পাবে। সব দিক থেকেই যদি তারা আইনি কাঠমোর মধ্যে নিজেদের 'সুরক্ষিত' করে রাখেন তাহলে সংবিধান সংশোধন করে বলে দেওয়াই ভালো যে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান হলেও সরকারি কর্মকর্তারা নন!

সাম্প্রতিককালে মুক্তিযোদ্ধা সনদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত সচিবদের অবস্থা দেখে অন্তত এটাই মনে হচ্ছে যে, প্রচলিত আইন সবসময় তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আইন শুধু ধীর গতিতেই চলছে না, যে আইনে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেটিরও প্রয়োগ করা হচ্ছে না। তারা বহাল তবিয়তে অফিস করছেন, নানান আদেশ নির্দেশ দিচ্ছেন। অধস্তন কর্মকর্তাদের সামনে 'বড় অফিসার' ই থেকে যাচ্ছেন।

বুঝলাম তাদের লজ্জা-শরম নেই, সরকার প্রধানেরও কি এসব চোখে পড়ে না? তা না হলে এমন জালিয়াতি করেও একজন সচিব কী করে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন! তারা তো শুধু ফৌজদারি অপরাধই করেননি, তারা মুক্তিযুদ্ধেরও অপমান করেছেন।

এত গুরুতর অপরাধ করার পরেও তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ১৯৮৫ অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে হয়েছে মাত্র। এই আইনে বড়জোর তাদের চাকরি যাবে, তা-ও দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, যে প্রক্রিয়ায় তাদের কারণ দর্শাতে বলেছে সেটা কোনো অপরাধের পর্যায়েই পড়ে না– একজন বিনা নোটিশে অফিসে গরহাজির থাকলে যেভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয় তাদেরও সে রকমভাবে কারণ দর্শানো হয়েছে।

অথচ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। কারণ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এই কর্মকর্তাদের সনদ বাতিল করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দিয়ে বলেছে,তারা মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। তারা সরকারি নির্দেশনা, পরিপত্র ও আইন অমান্য করে অসদাচরণ করেছেন। অর্থাৎ ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত। তারা সরকারি চাকরির বিশ্বাসভঙ্গও করেছেন।

তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র এখনও কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে আবারও আমলাতন্ত্র ও ধনিক শ্রেণির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কারণ যারা পেটের দায়ে নিজেদের পিতাদের মুক্তিযোদ্ধা সাজিয়ে ৫-৬ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরি যোগাড় করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে, বিচার চলছে। আর যারা চাকরিজীবনের শেষ প্রান্তে এসে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজেছেন, তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘে ঘুরে আসেন। শুধু তাই নয়, তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে আত্মীয়-স্বজনদেরও মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ যোগাড় করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ওই সচিবরা যে অপরাধ করেছেন, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী, ৪২০ ধারায় প্রতারণা এবং ৪৬৮ ধারায় জালিয়াতির মামলা হওয়া জরুরি। এসব ধারায় সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সরকারি চাকরির শীর্ষপদে থেকে মুক্তিযোদ্ধা সেজে ভুয়া সনদ যোগাড় করে চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেওয়ায় তাদের সর্বোচ্চ সাজাই হওয়া উচিত। আর যেন এমন উদাহরণ কেউ তৈরি করতে না পারেন সেজন্য তাদের শিগগিরই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

শুধু তা-ই নয়, জনপ্রশাসনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই ভুয়া সনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় যুক্ত সকলকেই আইনের আওতায় আনতে হবে। আর এটি করতে হবে সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র ও তার নাগরিকদের স্বার্থেই।

জায়েদুল আহসান পিণ্টু: প্রধান বার্তা সম্পাদক, দেশ টিভি। দীর্ঘদিন আদালত ও বিচার বিভাগ নিয়ে কাজ করেছেন।