দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে টিআইবি কতটুকু অনুঘটক?

শামীমা বিনতে রহমান
Published : 30 Dec 2010, 01:16 PM
Updated : 30 Dec 2010, 01:16 PM

একটা অভিজ্ঞতা এবং তা থেকে ধারণা দিয়ে শুরু করি। এ বছরের এপ্রিল মাসে, যখন পঞ্চগড়ে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার প্রথম রায়টি হয়, তখন দেশ টেলিভিশনের প্রতিবেদক হিসেবে ওই প্রতিবেদনের পাশাপাশি আরেকটা বিশেষ প্রতিবেদনও করি। সেটা হোল, পঞ্চগড়ের বোদা থানার অর্ন্তভূক্ত কাজলদিঘী ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণীর এক মেয়ের ওপর। প্রতিবেদনে মেয়েটি ধর্ষকের নাম, প্রত্যক্ষদর্শীর নাম বলাসহ খুবই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, 'থানা পুলিশ করে কী হবে!' প্রতিবেদনটি সম্প্রচারের পর বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বা তার পরিবারের সদস্যরা যদি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের ধারায় মামলা করে, তবে তারা মামলা নিতে প্রস্তুত।

বাড়ি বাড়ি 'কাজের বেটি' হিসেবে কাজ করা মেয়েটির দরিদ্র মা এতে উজ্জীবিত হয়েছিলেন, সাহস করে একটা মামলা করে ফেললেন। কয়েকবাড়ি পরেই থাকা ধর্ষক দুলালের বিরুদ্ধে। মামলা জেলা আদালতে গড়াল। মেয়েটির মা আরো উৎসাহিত হলেন, যখন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের লিগ্যাল এইড নিজ উদ্যোগে আইনী সহায়তা দেয়ার জন্য পাশে থাকার আশ্বাস দিলো। কয়েকবাড়ি পরে থাকা ধর্ষক দুলাল, যার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি ধর্ষণের অভিযোগ আছে এলাকাবাসীর; তার বাপও আইনজীবী নিয়োগ করে মামলা চালিয়ে যেতে লাগলেন। সাক্ষী হিসেবে এলাকার চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম লিখিত সাক্ষ্যে বলেছেন, তিনি প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যার নাম ধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি বলেছিল, মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত যে নিজেও তাই দাবি করে আসছিল, সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ইউনুস নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অস্বীকার করে। ২০ ডিসেম্বর মামলার রায়ে ধর্ষক হিসেবে অভিযুক্ত দুলাল ধর্ষক নয় বলে  প্রমাণিত হয়। রায়ের পর ঢাকা থেকে ওই বাড়িতে গেলে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা, যিনি মামলার বাদী, বললেন, 'বাবা, টাকার কাছে হাইরা গেছি। উকিলে দুলালের বাপের কাছ থেকে অনেক টাকা খাইছে। হাজার পঞ্জাশ তো হবেই।' 'টাকা খাইছে মনে হচ্ছে কেন আপনার?' তাদের মামলার অভিজ্ঞতা শুনবার ফাঁকে এ প্রশ্ন করলে তিনি জবাব দেন, 'দুলালের বাপে জমি বেচ্চে, গরু বেচ্চে, ক্যান বেচ্চে কন? সেই টাকা কারে দিছে? নিজেরদের উকিলের রুমে ঢুকতে পারতাম না। গেলেই দুর দুর করে তাড়ায়া দিয়া বলতো, অমুক দিন ডেইট পরছে, সকাল সকাল চইলা আইসো। কোন কথা শুনতে চাইতো না। ওই উকিলেই টাকা খাইছে। টাকার কাছে আমরা হাইরা গেছি।'

বিচার বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ের এই অভিজ্ঞতা লব্দ ধারণা বা পারসেপশনের সঙ্গে বার্লিন ভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ২৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত 'জাতীয় খানা জরিপ ২০১০' এর বিচার ব্যাবস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদনের জরিপ ফলাফলের সঙ্গে বিরুদ্ধ অবস্থা নেয়া অসম্ভব। অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে বিচার পাওয়ার অধিকার মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য হয়রানী আর বিচারহীনতার অভিজ্ঞতা। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে তাদের নির্বাচন করা ১৩টি সেবা খাতের মধ্যে 'বিচারবিভাগ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্থ'। শতকরা হারে এটি আটাশি শতাংশ। নারী ও পুরুষ পাঠক লক্ষ্য করুন, এ প্রতিবেদনটি সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচারিত হবার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে পেশাজীবী হিসেবে যুক্তরা ক্ষেপে উঠলেন, তারা মানহানির মামলা করলেন।  কুমিল্লার আইনজীবী তৌহিদুর রহমান টিআইবি'র প্রধান এম. হাফিজ উদ্দিন, নির্বাহি প্রধান ইফতেখারুজ্জামান এবং গবেষক ওয়াহিদ আলমকে আসামী করে মামলা করেন। গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির নির্দেশের পর আবার মামলাটি একই দিনেই খারিজ করে দেয়া হয়। চট্টগ্রামেও মানহানির মামলা হয়, সেখানে আগামি বছরের জানুয়ারি মাসে ২টি তারিখ নির্দিষ্ট করে আদালতে হাজির হবারও নির্দেশ  হয়। সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের (এসসিবিএ) আওয়ামীলীগপন্থী আইনজীবীরা প্রতিবেদনটিকে 'অশুভ কৌশলের অংশ এবং বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ' বলেন। ২৫ ডিসেম্বর ( ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম) ও ২৬ ডিসেম্বর ( দৈনিক সংবাদপত্র) প্রকাশিত  এসব খবরের পাশাপাশি, খেয়াল করুন পাঠক, বিদ্যুৎ গতিতে সরকারের মন্ত্রীরাও এমন সব মন্তব্য করেছেন যেন টিআইবি'র প্রতিবেদনে প্রকাশিত সবচেয়ে বেশি মাত্রায়  'ঘুষ খাওয়া' অনিয়মধারী বিচার বিভাগের পেশাজীবীরা কোনভাবেই হতে পারেন না। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে  আইন মন্ত্রী বলেন, 'প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর এবং দেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।' এর আগের দিন টিআইবি'র পরিবারভিত্তিক জরিপ ফলাফলকে আইন প্রতিমন্ত্রী ষড়যন্ত্র শব্দে অভিহিত করে বলেছিলেন, 'বিচার বিভাগে নিম্ন বেতনভূক কিছু কর্মচারী থাকতে পারে, যারা হয়তো ফাইল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য পাঁচ, দশ বা কুড়ি টাকা উৎকোচ নিতে পারে।' এখন মন্ত্রী ছাড়াও ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের রাজনীতির সঙ্গে পরিস্কারভাবে যুক্ত ব্যক্তিরা, বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, প্রভাবশালী সাবেক আমলা, সুশীল সমাজ নামে পরিচিত নির্দিষ্টসংখ্যক গোষ্ঠীর সদস্যরা পক্ষে বিপক্ষে নানান মতামত দিয়ে যাচ্ছেন।

১৯৯৮ সাল থেকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার যুক্ত করার পর টিআইবি এবার নিয়ে পরিবার ভিত্তিক জাতীয় খানা জরিপ করেছে ৫ বার। এরমধ্যে এবারই প্রথম বিচার বিভাগের দুর্নীতি, বিশেষ করে এই বিভাগটিতে ঘুষ নেয়ার দুর্নীতি ব্যাপকভাবে তুলে ধরেছে টিআইবি। ব্যাপারটা কি এরকম মনে হয় যে, বিচার বিভাগে দুর্নীতি এবারই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে? এ পেশাজীবীরা এবারই ব্যাপকহারে ঘুষ খাওয়া শুরু করেছেন?

লক্ষ্য করুন, দেশের একমাত্র উচ্চতর আদালত হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে আছেন মাত্র ৮০ জন। হাইকোর্টের রেজিস্টার বিভাগ সূত্র আরো জানাচ্ছে, আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা মাত্র ৪ জন। নিবন্ধিত আইনজীবী আছেন ৪ হাজার আর নিবন্ধিত নন, কিন্তু হাইকোর্টে প্র্যাক্টিস করে যাচ্ছেন এমন আইনজীবীর সংখ্যা ২০ হাজার। প্রায় ১৬ কোটি মানুষের দেশে অপরাধের অভিনব ধরণ আর হাজার হাজার পরিচিত অপরাধের বিচার করার জন্য উচ্চতর আদালতে বিচার কাজে নিয়োজিত এত কম সংখ্যক  পেশাজীবীরা কি যথেষ্ঠ? এটা কমন সেন্স থেকে প্রশ্ন। কমন সেন্সের প্রশ্নটি বিচার বিভাগের জনবলের যে ঘাটতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে, সেই ঘাটতি তো একই সঙ্গে এই বিভাগের ব্যবস্থাপনা এবং পদ্ধতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। হাইকোর্ট থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তুত করা এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সময়টুকুতেই জমি ও অন্যান্য অপরাধ সংক্রান্ত ঝুলন্ত মামলার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। হাইকোর্টের নিচতলার করিডোর, দোতলায়, এ্যানেক্স ভবনের বিভিন্ন কোর্টে যে কেউ শুধু একদিন হাইকোর্টের বাইরের স্থাপত্য সৌন্দর্য না দেখে ভেতরের চেহারা দেখতে গেলে দেখবেন, অসংখ্য অসহায়, ফ্যালফ্যালে চাহনি নিয়ে, দরিদ্র শরীর এবং পোশাকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিচার পাবেন প্রত্যাশায়। অবশ্য প্রভাবশালীদেরও আপনি দেখবেন। তবে তাদের করিডরে নয়, আইনজীবীদের কক্ষে। এরাও বিচারের প্রত্যাশায় আসেন। এদের গা থেকে সুগন্ধি পারফিউম টের পাওয়া যায়। এরা হাসিমুখে আইনজীবীদের সঙ্গে হ্যান্ডশেইক করে, গাড়িতে চড়ে বেরিয়ে যান। এদের চোখে ফ্যালফ্যালে, ফ্যাকাশে, আশঙ্কাযুক্ত চাহনি দেখা যায় না। এদের বেশিরভাগই কিন্তু বিচার পান। মামলা নিস্পত্তি হয়। সাদাচোখে, ঘাটতিসহ জনবলের বিচারব্যাবস্থার পেশাজীবীদের প্রাধান্যের তালিকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিত্তবান শ্রেণীই থাকছেন। কেন থাকেন? কেন জমি-জমা সংক্রান্ত ছোট্ট মামলার মীমাংসা করতে না পেরে ভিটেমাটি ছাড়া বাকি সব জমি বেচে মাসে কমপক্ষে দুই বার করে ১৭ বছর হাইকোর্টে ঝিনাইদাহ থেকে আসা যাওয়া করছেন আলাউদ্দিন? হাইকোর্টের নিচতলার করিডোরে ষাটোর্ধ্ব এই ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

সাধারণ মনস্তত্ব এবং সাধারণের জ্ঞান অনুযায়ি, এই ব্যাপক জনগোষ্ঠীর জন্য এই অতি অল্প সংখ্যক পেশাজীবী থাকা এবং স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য চিৎকারকারীরা নিজেদের মধ্যে দায়িত্বপালনের স্বাধীন সংস্কৃতি জারি না রাখার দীর্ঘ ধারাবাহিকতা বিচারবিভাগের পদ্ধতিগত অনিয়ম। এই পদ্ধতিগত অনিয়ম এমন পদ্ধতি মেনে, এত দীর্ঘ দিন ধরে চলছে, ঘুষ আইনজীবীর রুটি-রুজি'র ফিস এর মতোই অবধারিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে এটা বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত পেশাজীবীদের সম্পর্কে 'পারসেপশন' এ পরিনত হয়েছে। যেমনটা কাজলদিঘী ইউনিয়নের ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মায়ের অভিজ্ঞতা। আপনার আমার চারপাশের মানুষের কাছেও পারসেপশন এমনই। এসব বলার অর্থ, টিআইবি নতুন কোন কথা বলে নি। টিআইবি, তাদের গবেষণায় যা বলেছে, তা বিদ্যমান বাস্তবতাই। এ নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের বড় ও ছোট মন্ত্রী এবং অন্যান্যরা যা বলছেন, তা 'শাক দিয়ে মাছ ঢাকা'র মতোই। বিরোধীদলও বিষয়টিকে ক্যাপিটালাইজ করার চেষ্টা করছে, যেটা পুরোমাত্রায় হাস্যকর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ১৯৯৬ সালে বার্লিনে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৮ সাল থেকে বাংলাদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে ঘোষণা দেয়া টিআইবি'র এবারের প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় এতোটা প্রতিক্রয়াশীল আচরণ কেন আমরা দেখতে পাচ্ছি? প্রশ্ন হলো, তৃতীয় বিশ্বের আর কোন দেশে টিআই প্রতিষ্ঠানের হোস্টিং চ্যাপ্টার দেশে দুর্নীতির প্রতিবেদন নিয়ে এত হৈ চৈ হয়? হয় কী!

নিজস্ব ওয়েব সাইটে টিআইবি, তার কর্মপ্রক্রিয়ার ধরণ চিহ্ণিত করেছে এভাবে: 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করা।' গত বার বছরে প্রতিষ্ঠানটি 'দুর্নীতিকে না বলুন' বলে অনেকগুলো আনুষ্ঠানিকতা করেছে, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু করে গুলশানের নানা মাঠে। রঙ্গীন ব্যানার, ফেষ্টুনসহ রেলি, কনসার্ট আয়োজনের ব্যাপকতা উপভোগ করেছেন অনেকেই। এটাও রাজধানীবাসীর অভিজ্ঞতায় আছে। কোন অনৈতিকতার বিরুদ্ধে উৎসাহিত করতে এই ধরণটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে সরকারে এবং বেসরকারে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করি, টিআইবি'র এসব আয়োজন সেবা খাতসহ  অন্যান্য খাতে দুর্নীতি কমাতে এতটুকুও ভূমিকা রেখেছে কি? বরাবরই টিআইবি'র প্রতিবেদন গণমাধ্যমকে লিড, সেকেন্ড লিড বা ডিসি বক্স অথবা প্রাইম বুলেটিনের রান ডাউন গোছানোর কাজ সহজতরই করে গেছে কেবল নিউজ এডিটরদের। আর রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজের চোয়ালের ব্যবহারকে ব্যাপক করেছে।

টিআইবি'র এখন সময় এসেছে, তাদের এক দশকের যাত্রায় তাদের প্রতিবেদনগুলোতে সবচে দুর্নীতিগ্রস্থ খাত হিসেবে চিহ্ণিত হওয়া নির্দিষ্ট কোন একটি খাতে, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন উৎসাহিত করতে কতটুকু অনুঘটকের ভূমিকা পালন করেছে, তার নজির হাজির করা। জনবলের ব্যাপক ঘাটতিসহ, ঘুষ অনিয়ম, দুর্নীতির খাত হিসেবে বিচার বিভাগ নিয়ে পুরনো পাবলিক পারসেপশনকে সামনে দাঁড় করানো নিয়ে টিআইবি'র বিরুদ্ধে যদি সন্দেহের আঙ্গুল ওঠে, সে সন্দেহ উড়িয়ে দিয়ে চুপচাপ বসে থাকা যাবে না ততক্ষণ, যতক্ষণ টিআইবি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি অনুঘটকের ভূমিকা প্রমাণ করতে না পারে।