এবার অনেকটাই ব্যতিক্রম পণ্যবাজার

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 9 July 2014, 04:32 PM
Updated : 9 July 2014, 04:32 PM

একটি দৈনিকের 'বাণিজ্য' পাতায় নরসিংদীর চার উপজেলায় বিশেষ ধরনের লেবু চাষ ও তা ইউরোপে রফতানি সংক্রান্ত খবরে চোখ আটকে গেল। ইইউ থেকে একটি দল নাকি শিবপুরে এসেছিল একটি বাগান দেখতে। রফতানির লক্ষ্যে লেবু ফলিয়ে ওই অঞ্চলের অনেকে নাকি ভালো মুনাফা করছেন। তারা পরিণত হয়েছেন বিদেশি মুদ্রা আহরণকারীতে।

দারুণ ব্যাপার! তবে এদের জন্য খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রমজানে। অভ্যন্তরীন বাজার ঠিক রাখতে প্রতিবারের মতো এবারও সরকার যেসব সবজি রফতানি সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে লেবু। যত রকম লেবু উৎপাদিত হয় দেশে, তার সবগুলোর রফতানিই বন্ধ এখন। এতে নরসিংদীতে উৎপাদিত কলম্বো লেবুর রফতানিও বন্ধ হয়ে গেছে।

বিষয়টি সরকারকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে মনে হয় না সরকার এটা করবে। বরং বলবে, আপাতত দেশেই ওসব বিক্রি করুন। রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা লাফিয়ে বেড়েছে, তার মধ্যে রয়েছে লেবু। নরসিংদীতে উৎপাদিত লেবুর চাহিদাও বেড়েছে নিশ্চয়ই। রফতানি মূল্য না পেলেও দাম একেবারে কম পাবেন না তারা স্থানীয় বাজারে। অবস্থাটা বুঝতে হবে তাদের।

সিলেট বেল্টে জারা লেবু বলে এক ধরনের লেবু জনপ্রিয়। পত্রিকান্তরেই জানা গেল, এটা নাকি বিক্রি হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে। ওই অঞ্চলে লেবু জাতীয় ফল সাতকরাও জনপ্রিয়। আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এটি; রান্নায়ও। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সাতকরা রফতানি হয় বলে জানি। এর কিছু আসে সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্য থেকে। সাতকরা বা জারা লেবু রফতানিও নিশ্চয়ই বন্ধ রয়েছে এখন?

কাঁচামরিচ, ধনেপাতা, শসা, লেবুসহ কিছু সবজি রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, এ সময়ে এগুলোর চাহিদা বেড়ে যায় বিপুলভাবে। এ কারণে দাম এত বাড়ে যে, তা সংবাদ শিরোনাম হয়। এতে ভোগান্তি বাড়ে মানুষের, বিশেষত নিম্ন আয়ভুক্তদের। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বছর জুড়েই কষ্টে থাকে এরা। রমজানে সরকার স্বভাবতই চায় যথাসম্ভব এদের স্বার্থ রক্ষা করতে। কিন্তু তাতে সাফল্য কোথায়? এ সময়ে রফতানি নিষিদ্ধ কাঁচাপণ্যের দামও কখনও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাহলে রফতানি নিষিদ্ধ করা না হলে কী হত?

সবজির মধ্যে বেগুনের দাম সবচেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। এর প্রধানতম কারণ হল রোজার মাসে আমাদের বেগুনি-প্রীতি। রোজাদারের পক্ষে ক্ষতিকর ডোবা তেলে ভাজা এ আইটেমের জন্য বেগুনের দাম এত বেড়ে যাওয়াটা কোনোভাবেই মানা যাচ্ছে না। কিন্তু মানতে হচ্ছে। এদিকে আমাদের পেঁয়াজু-প্রীতির জন্য ভালো সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কপাল মন্দ যে, ভারতেও একই সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তাই 'ন্যূনতম রফতানি মূল্য' বাড়িয়ে এর রফতানি এক রকম বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।

নতুন দায়িত্ব নিয়েই ওখানকার সরকারকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বিগত ইউপিএ সরকারকে ভুগিয়েছিল। এখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকেও ভোগাতে শুরু করেছে। এরই প্রেক্ষাপটে পেঁয়াজ রফতানি খুব কঠিন করে ফেলেছে সরকার। ওখানকার শুকনো পেঁয়াজ প্রস্তুতকারীরাও চাইছে কাঁচা এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকুক। নইলে তাদের কারখানা বন্ধ রেখে কর্মীদের বেতন গুনতে হবে।

ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায়ও রোজায় কম পেঁয়াজ পরিভোগ করে না। তাদের স্বার্থও দেখতে হচ্ছে সরকারকে। এর ওপর মার্কেট প্রজেকশন রয়েছে যে, ভারতে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। মূলত বৈরী আবহাওয়ায় ওখানে এর উৎপাদন মার খেয়েছে এবার।

আমাদের এখানে কিন্তু পেঁয়াজের ভালো উৎপাদন হয়েছিল। পেঁয়াজু পরিভোগ কমাতে পারলে (অন্য ও ভালো কিছু খেয়ে) অভ্যন্তরীন উৎস থেকে আসা জোগানেই আমরা পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতাম বলে মনে হয়।

এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি বাংলা বিজনেস ডেইলিতে মূল্যবান প্রতিবেদন বেরিয়েছে। তাতে অবশ্য বলা হয়েছে, সরবরাহ সঙ্কট না থাকা সত্ত্বেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহে সঙ্কট না থাকলেও 'ফিয়ার ফ্যাক্টর' বা ভয়ভীতি, গুজব ইত্যাদি নিশ্চয়ই রয়েছে। ভারত থেকে এনেই যেহেতু আমরা পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাই, তাই ওই ফ্যাক্টর কার্যকর হয়ে উঠেছে বেশি করে।

গেলবারের মতো মিয়ানমার থেকে কি পেঁয়াজ আনা যাবে দ্রুত? ওখান থেকে আমদানিতে কী-সব জটিলতার কথা শোনা গিয়েছিল। সেগুলো কি রয়ে গেছে এখনও? দূরবর্তী দেশ, যেমন তুরস্ক, চীন, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আনতে আবার সময় ও পরিবহন ব্যয় বেশি পড়ে যাবে। এ অবস্থায় পেঁয়াজের দাম বোধহয় আর কমবে না। আরও বাড়তেও পারে। রোজার ঈদের পর কোরবানি ঈদও দ্রুত চলে আসবে। পেঁয়াজ পরিভোগ আরও বাড়বে তখন।

বেশ ক'বছর ধরে পণ্যবাজারে নতুন একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে অবশ্য সম্পর্কিত এটা। তা হল, শবে বরাত থেকেই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের দাম বাড়তে থাকা। এ ক্ষেত্রে পেঁয়াজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছু মসলা। যেমন, রসুন ও আদা। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে আমরা আবার আমদানিনির্ভর এবং চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে এটা বাড়ছে।

এ অবস্থা দেখেই কিন্তু মসলা উৎপাদনে জোর দিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে কম সুদে ঋণ জোগানো হচ্ছে বলে জানি। তবে দ্রুত এর সুফল মিলবে না। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তো দেখা গেল, মাত্রাতিরিক্ত চাহিদার কারণে উৎপাদন ভালো হলেও ফায়দা পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অস্বাভাবিক চাহিদা কমাতে কিছু প্রচারণাও মনে হয় জোরদার করতে হবে। যেমন, রোজায় পেঁয়াজু কম খাওয়া।

ভালো হত, এ সময়ে ভারত সরকার যদি বিশেষ সুবিধায় কিছু পেঁয়াজ আনার সুযোগ করে দিত আমাদের। বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটা তাদের শুভেচ্ছার নিদর্শনও হত। পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখানকার অসুমলিমদেরও বেশি দামে এটা কিনতে হচ্ছে। কিন্তু ভারতের সত্যি বোধহয় নেই এমন করে ভাবার মতো পরিস্থিতি। ওখানে যে বাজেট পেশ করা হচ্ছে, তাতেও নাকি থাকবে মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার প্রয়াস।

পেঁয়াজের দামের কথা বেশি করে বলা হচ্ছে এজন্য যে, এটা ছাড়া আমাদের একদিনও চলে না। সত্যিই এটা নিত্যপণ্য। এ রকম আরও কিছু পণ্য রয়েছে। তার মধ্যে নিশ্চয়ই বেগুন পড়ে না। এর অস্বাভাবিক দাম সত্যি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত বেগুনি কম খেতে শুরু করলে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগেরও উচিত এ লক্ষ্যে প্রচারণা চালানো। রোজাদারের জন্য ক্ষতিকর একটি ইফতার আইটেম তৈরিতে বেগুনের দাম প্রতিবার ইস্যু হয়ে উঠবে, এটা তো কোনো কাজের কথা নয়। অথচ এফবিসিসিআই নাকি বেগুন আমদানি করবে!

রমজানে আলুর দাম একটু বেড়েছে। আর কিছুটা বেড়েছে চিনির দাম। উৎপাদক ও ব্যবসায়ীর দিক থেকে দেখলে এটা কিন্তু ইতিবাচক। ওই দুটি পণ্যের দাম তো কম ছিল। অন্যান্য পণ্যের তুলনায় চিনির দাম অনেকদিন ধরে কম। সরকারি মিলে উৎপাদিত চিনি বিক্রি হচ্ছে না বলে খবর বেরোচ্ছে। এদের অবশ্য দোষ আছে– প্রতিযোগিতামূলক দামে চিনি জোগাতে পারছে না। ক্রেতাদের তো বেশি দামে চিনি কিনতে বাধ্য করা যাবে না।

রোজার সময়ে গুড়ের চাহিদাও বাড়ে। দাম বাড়ে এর। আমদানিকৃত খেজুরের দামও বাড়ে। যারা ডায়াবেটিক নন, তাদের জন্য এর সবই অবশ্য ভালো জিনিস।

রোজার সময় এবার ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে কিন্তু কোনো কথা নেই। এটিও জরুরি পণ্য। সব ধরনের ভোজ্যতেলের দামে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছুটা নিম্নমুখী প্রবণতা। পাড়ার দোকানদারও প্যাকেটের গায়ে লেখা দামের চেয়ে কমে ভোজ্যতেল বিক্রি করছেন এখন। এ ক্ষেত্রে আমরা বলা যায় নব্বই ভাগ আমদানিনির্ভর। এর সুফলও মিলছে। কেননা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় সব রকম ভোজ্যতেলের দাম এখন স্থিতিশীল বা নিম্নমুখী। সরকারের বরং দেখা উচিত, এর বাজারে ইতোমধ্যে যে প্রভাব পড়ার কথা, তা পড়ছে কিনা।

সব ধরনের ডালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি এবার। ছোলার দামও সেভাবে বাড়েনি। এর কারণ বোধহয় সরবরাহে সঙ্কট না থাকা। তবে ক্ষুদে আমদানিকারকরা নাকি এবার ডাল তেমন আনেননি। গেলবার তাদের লোকসান দেওয়ার খবর রয়েছে। মুনাফা কম হলেও আমাদের ব্যবসায়ীরা 'লাভ হয়নি' বলতে থাকেন। খুচরা ব্যবসায়ীরাও এখানে অতি মুনাফায় অভ্যস্ত। দেশে দোকানদারির বিস্তার তো আর এমনি হয়নি।

যাহোক, ডালের বাজারে এবার নাকি এক ধরনের সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন বড় আমদানিকারকরা। টিসিবি তার সীমিত সামর্থ্যে এ ক্ষেত্রে কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া এর কার্যক্রম তো শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ। রোজার দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে চাহিদা কিছুটা কমে এলে যদি ডালের দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হয়।

রমজানের শুরুর দিকে একযোগে বেশি বেশি কেনাকাটার জন্যও কিছু খাদ্যপণ্যের দাম খুব বেড়ে যায়। যাদের হাতে বেশ পয়সাকড়ি আছে, তাদের অনেকেই এটা করেন। এদের মানসিকতা বোঝা কঠিন। পণ্যবাজার অশান্ত হয়ে উঠলেও এরা কি খুব বিপদে পড়ে যাবেন? বাস্তবে বেশি বেশি কিনে তারাও বাজারকে অশান্ত করছেন। একশ্রেণির ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমরা যেন এদেরকেও অভিযুক্ত করি।

ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় যারা নিয়োজিত, তাদের উচিত এ বিষয়ে প্রচারণা চালানো। নিত্যপণ্যের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ, দাম প্রভৃতি নিয়ে মিডিয়ায়ও বেশি বেশি ও বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশিত হওয়া দরকার। এতে ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় কিছু অগ্রগতি হবে।

কোনো কোনো রমজানে আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য চালের দামও বেড়ে যেতে দেখা যায়। এবার কিন্তু সেটা হয়নি। চাল থেকে প্রচুর মুড়ি ও চিড়া তৈরি হয় এ সময়ে। বড় কোম্পানিও এ বাজারে ঢুকে পড়েছে। তা সত্ত্বেও চালের বাজারে অস্থিরতা নেই। মাঝে একটি বড় জাতীয় দৈনিক খবর দিয়েছিল, বেসরকারি খাতে নাকি চাল আমদানি হচ্ছে। এটাকে তারা সরবরাহে সঙ্কটের প্রমাণ হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন হয়তো। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সুগন্ধি চালের বাজারও স্থিতিশীল। ঈদের আগ মুহূর্তে এর দাম হয়তো কিছুটা বাড়বে।

আটা-ময়দার চাহিদা কমে যাওয়ায় (বিশেষত বেকারি পণ্য তৈরি কমায়) এর দাম হ্রাসের প্রবণতা লক্ষণীয়। রোজার পরও এটি স্থায়ী করার কোনো উদ্যোগ কি নেওয়া যায়? তাহলে চালের দামেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটা হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সুখবর। পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে অন্যান্য খাদ্যপণ্যেও এদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো দরকার অবশ্য।

সরকারের জন্য এটি হল এখন চ্যালেঞ্জ। আয় বাড়ানোর সঙ্গে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেই এ কাজে এগোনো যাবে।

রোজাদাররা চেষ্টা করেন পুষ্টিকর খাবার খেতে। সে ক্ষেত্রে মাংসের বাজার তাদের খুব হতাশ না করলেও মাছের বাজার করছে। মাছ আমদানি কেমন হচ্ছে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে ইলিশ ধরা শুরু হয়েছে অবশ্য। এর রফতানি কিন্তু এখনও বন্ধ রেখেছে সরকার। এতে ইলিশের জোগান বেড়ে মাছের বাজার একটু হলেও শান্ত হওয়ার আশা রয়েছে।

রোজার সময় গোমাংসের দাম স্থিতিশীল থাকাটাও মাছ ক্রেতাদের জন্য সুখবর। যেটার দাম কম থাকবে, সেটি তারা বেশি করে কিনবেন না কেন? রোজায় এবার মুরগির দামও খুব বেড়েছে বলে মনে হয় না। সহনীয় দামের ব্রয়লার এ বাজারকে দীর্ঘদিন ধরে বেশি উত্তপ্ত হতে দিচ্ছে না। এদিকে সুখবর যে, বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে গেলেও সীমান্তপথে গরু আসার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়নি। এটা আমাদের পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতি রোধ করছে অন্তত।

দু'চারটি কম গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ না করে সামগ্রিকভাবে দেখে বলতে হয়, এবারকার রমজান পণ্যবাজারে বিপর্যয় নিয়ে আসেনি। এ সময়ে দেশের বিভিন্ন অংশে অব্যাহত বৃষ্টিপাত, সড়কপথের দুর্দশা আর ফরমালিনবিরোধী (অতিউৎসাহী) অভিযান অবশ্য পণ্য সরবরাহে ঘটিয়েছে বিপত্তি। সরকারের উচিত এর মূল্যায়ন করা।

দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন খাত সচল রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে যে শান্ত ভাব বিরাজ করছে, এর সুফল নিতে তাকে এখন সচেষ্ট হতে হবে।

হাসান মামুন: সাংবাদিক, কলামিস্ট।