এসএসসির ফলাফল এবং সাম্প্রতিক বিতর্ক

আবদুল্লাহ্ আল মামুন
Published : 21 June 2014, 04:37 AM
Updated : 21 June 2014, 04:37 AM

এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সারা দেশের শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষানুরাগীরা আনন্দে ফেটে পড়লেও কিছু কিছু মহলের কাছে তা বরং হাস্যকর মনে হয়েছে। কী বিরোধী কী সরকারি, উভয় দলেরই তথাকথিত সুশীল সমাজ এই বাধভাঙ্গা ফলজোয়ারে তেমন সন্তুষ্ট হতে পারেননি, আপাতত পত্র-পত্রিকার দেওয়া তথ্যসূত্র পড়ে তা-ই মনে হচ্ছে।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে প্রায় ৯৩ ভাগ যার মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার। এই ফলাফল নিঃসন্দেহে গৌরব করার মতো এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রকম ফলাফল আর কখনও হয়নি। আপত্তিটা আসলে এখানেই। এত ভালো ফলাফল কীভাবে হল? নিশ্চয়ই কোনো কারচুপি বা জালিয়াতি হয়েছে ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মতো!

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো ১৮ মে এই ফলাফল নিয়ে রিপোর্ট করল "বিস্ময়কর ফল, মান নিয়ে বড় প্রশ্ন" এই শিরোনামে। 'বিস্ময়কর' কথাটা আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যকে অভিনন্দন জানানোর অর্থে, নাকি কোমলমতি আগামীর ভবিষ্যত অবজ্ঞা করার অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে তা শিরোনাম দেখে বোঝা না গেলেও, রিপোর্টের পুরো বিশ্লেষণে পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। রিপোর্টের প্রথমভাগেই বলা হয়েছে, এবার এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছে মাত্র ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী (অর্থাৎ তা যেনো কোনোভাবেই কাম্য ছিল না, আরও বেশি মাত্রায় ফেল করা দরকার ছিল এবং এই সাফল্যের কৃতিত্ব যেন কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের নয়)।

তথাকথিত সুধীজনরা এই সাফল্যের কারণ হিসেবে সহজ প্রশ্নপদ্ধতি, পরীক্ষকদের বেশি নম্বর দেওয়ার প্রবণতা, রাজনৈতিক বিবেচনা এবং বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুবিধাদি প্রাপ্তির সরকারি প্রলোভন ইত্যাদি বিষয় বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুরো অর্জন ম্লান করতে চাইছেন। কিন্তু তারা কেউ কি একবারের জন্য হলেও প্রশ্ন তোলার আগে ওই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনের অবস্থা কেমন হবে তা ভেবে দেখেছেন?

ভাবাবেগ দিয়ে কারও যুক্তি আমরা খাটো করতে চাই না এবং সেটা আসলে করা যায়ও না। যুক্তিকে যুক্তি দিয়েই পরাস্ত করা যায় মাত্র। এখন যুক্তির কথায় আসা যাক। যারা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার ধারাবাহিক সাফল্যের ঘোর বিরোধী এবং যারা এবারের এসএসসির ফলাফলে সন্তুষ্ট হওয়ার চেয়ে অসন্তুষ্টই বেশি, তাদেরকে একটু অনুরোধ করব তারা যেন আমাদের লেখাটা একটু মনোযোগ দিয়ে পড়েন।

প্রথম কথা হল, যারা সহজ প্রশ্নপদ্ধতির কথা বলেছেন তারা এটা বলতে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা কিন্তু পরিষ্কার নয়। একটা বিষয় হতে পারে, এবারের প্রশ্ন গতবারের তুলনায় একটু সহজ হয়েছে অথবা এভাবেও বলা যায় শিক্ষার্থীরা যে রকম প্রস্তুতি নিয়েছে এবার প্রশ্ন সে রকমই হয়েছে।

প্রশ্ন সহজ না কঠিন আমরা এটা পরিমাপ করব কী দিয়ে? এটা মাপার কি কোনো মানদণ্ড আছে? পরীক্ষার হলে যে কোনো অজানা প্রশ্নই শিক্ষার্থীদের কাছে কঠিন মনে হবে। ফলে প্রশ্ন সহজ না কঠিন এভাবে বলার মধ্য দিয়ে আসলে পরীক্ষার সাফল্য বিচার করা যায় না।

আরেকটা হতে পারে, প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যবহার করার ফলে ছাত্রছাত্রীরা সহজেই উত্তর করতে পেরেছে। এর সঙ্গে পরীক্ষায় সাফল্যের বিরোধটা আসলে কোথায়? সৃজনশীল পদ্ধতি কি এর আগে ছিল না? এবারই কি এই পদ্ধতি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে?

বাস্তবতা হল, গত দশ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা এই পদ্ধতিতেই পড়াশোনা করে আসছে। আমার মনে আছে, সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর প্রথম বছরে এসএসসির ফলাফল বিপর্যয়ে আজকের মতো সেদিনও অনেক নিন্দুক ওই পদ্ধতির সমালোচনা করে বলেছিলেন, পদ্ধতিটি আমাদের শিক্ষাপদ্ধতির সঙ্গে যায় না, হঠাৎ করে চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতি কখনও সুফল বয়ে আনতে পারে না, শিক্ষকরাই এই পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত নন, তারা ছাত্রদের কী শেখাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

এর অনেক কথাই সেদিনের প্রেক্ষাপটে ঠিক ছিল। কারণ তখন শিক্ষক প্রশিক্ষণের ঘাটতি ছিল। পাঠ্যপুস্তকের সিলেবাস প্রণয়নেও অনেক অদক্ষতার ছাপ দেখা যেত। আজকে যে এসব বিষয় পুরোপুরি সমাধান হয়ে গেছে তা-ও আমি দাবি করছি না। এখনও অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে। কিন্তু পরীক্ষার সাফল্য তো একদিনেই আসেনি বা গত দশ বছরে পাশের হারে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন ঘটেনি, বিষয়টি এ রকমও নয়। গত পাঁচ বছরের পাশের হার দেখলেও বিষয়টি বোঝা যাবে। ২০১০ সালে এসএসসিতে পাশের হার ছিল ৮০ শতাংশ, ২০১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ শতাংশে। একইভাবে ২০১২ সালে পাশের হার ছিল ৮৬ শতাংশ এবং ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৯ শতাংশে।

এবারের যে ফলাফলকে নানাভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে তা গত বছরের তুলনায় মাত্র ৪ শতাংশ বেশি। গত পাঁচ বছরের পাশের হারে যে পরিবর্তন হয়েছে তা আনুপাতিক হারেই বেড়েছে যা একটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার স্বাভাবিক বিকাশেরই নিদের্শক মাত্র। আবার কোনো একটা পদ্ধতি চালুর শুরুতে তার যে প্রভাব বা ফলাফল তৈরি হয়, পাঁচ বা দশ বছর পর তার প্রভাব বা ফলাফল নিশ্চয়ই আগের মতো থাকে না– হয় তার উন্নতি ঘটে অথবা অবনতি ঘটে। একই জায়গায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকার নিয়ম বোধহয় প্রকৃতি-জগতের কোথাও নেই।

অনেকে আবার শিক্ষার মানের প্রশ্ন তুলে পাশের এই বিরাট সাফল্য এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। শিক্ষার মানের প্রশ্ন তো একটা ভিন্ন এবং বিশেষ মনোযোগের ও আপেক্ষিক বিষয়। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার মানের প্রশ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পর্যন্ত সবত্রই আলোচনার দাবি রাখে।

এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশ আমেরিকায়ও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই সৃজনশীল পদ্ধতিতে পড়াশোনা করেই তো আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা দেশের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছে এবং মেধাবৃত্তি নিয়ে দেশের বাইরেও পড়তে যাচ্ছে। কখনও-ই তো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন খালি থাকার কথা শুনিনি, বরং প্রতিনিয়ত শুনতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন বাড়ানো দরকার এবং সেটা হচ্ছেও।

যেমন আজ থেকে দশ বছর আগেও বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছিল মাত্র ছয় কী সাতটা, আর এখন পঁয়ত্রিশেরও বেশি। তাহলে এই যে বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে তারা কি কোনো রকম মেধা যাচাই পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, না কি সবাই রাজনৈতিক বিবেচনায় উত্তীর্ণ হয়েছে?

অনেক তথাকথিত সুশীল বুদ্ধিজীবী নিজেদের সময়ের শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করে এ-ও বলেন– আজকের দিনের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়েই অদক্ষ, উদাহরণ হিসেবে তারা ইংরেজি এবং গণিত বিষয়টা সামনে নিয়ে আসেন। মেধা যাচাইয়ের মানদণ্ড যদি হয় দু-চার মিনিট ইংরেজিতে কথা বলা আর বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে বাংলিশ বলা– তাহলে তাদের অনুরোধ করব ঢাকা শহরের কোনো ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে দেখতে, তারাও এই ত্রুটিপূর্ণ সৃজনশীল পদ্ধতিতেই পড়াশোনা করছে।

আর আপনার উদাহরণের চরিত্রটি যদি হয় রসুলপুরের আসমানী কিংবা রাখাল বালক আতিউর যারা কিনা স্কুলের পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন ছাড়াই নিজেদের অদম্য প্রচেষ্টায় সফল হয়েছেন, সে ক্ষেত্রে সৃজনশীল পদ্ধতি কোনো বাধা নয়, বরং শিক্ষার পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজনটাই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

আরেকটা অভিযোগ প্রায় সর্বত্রই খোলামেলাভাবে আলোচিত হচ্ছে, এবারের পরীক্ষার খাতা দেখার ব্যাপারে পরীক্ষকরা নাকি অন্য অনেক বছরের তুলনায় বেশ উদার ছিলেন, কেউ কেউ আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে এ-ও বলছেন, শিক্ষকরা নাকি খাতায় লেখা দেখলেই নম্বর দিয়েছেন এবং এই কর্মকাণ্ড খোদ সরকারি নির্দেশেই পরিচালিত হয়েছে। ফলে অনেক শিক্ষক ও পরীক্ষক চাকরি হারানোর ভয়ে সরকারের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

এই অভিযোগ যদি সত্য হয়, তাহলে নিশ্চয়ই সেই ছাব্বিশ স্কুলের– যেখান থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একজনও পাশ করতে পারেনি– শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা এতক্ষণে চাকরি হারিয়ে পথে বসেছেন। অথবা এসব স্কুলের ক্ষেত্রে মনে হয় আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেনি এজন্য যে ওই স্কুলগুলি সম্ভবত বিএনপি-চিহ্নিত!

নম্বর বেশি পাওয়া বা কম পাওয়ার সঙ্গে প্রশ্নের ধরন অনেকাংশে জড়িত। যেমন, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে প্রশ্নের ধরন ছিল বর্ণনাধর্মী। সে ক্ষেত্রে মার্কিং করার ক্ষেত্রে একটা প্রচলিত নিদের্শনা ছিল এ রকম– সবচেয়ে ভালো লেখার জন্য যে প্রশ্নে উত্তরের জন্য ৫ নম্বর বরাদ্দ ছিল সেখানে একজন শিক্ষার্থী ৩.৫ থেকে ৪ পর্যন্ত পেতে পারে। কিন্তু সব প্রশ্নের উত্তর নিশ্চিত না হয়ে করা যেত না। ফলে সেই প্রক্রিয়ায় একজন ভালো শিক্ষার্থী গণিত ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ নম্বর পেত।

এখন প্রশ্নের ধরনই এমন যে শিক্ষার্থীরা একটু মনোযোগ দিলেই পরীক্ষার হলে সব প্রশ্নের উত্তর করতে পারে। প্রশ্নের নম্বর বণ্টনও এ রকম যে, একটা প্রশ্নের একটা অংশ পারলে বাকি অংশের উত্তর করাও তার আয়ত্তের মধ্যে চলে আসে। এতে তার পক্ষে বেশি নম্বর পাওয়া অনেক সহজ হয়। ফলে পরীক্ষকরা যতটা না বাইরের প্রভাবের কারণে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে উদার, তার চেয়ে বরং প্রশ্নপদ্ধতির ধরনের কারণেই তাকে উদার হতে হয়।

পরিশেষে, কিছু পরিসংখ্যান দিয়ে আমি আমার লেখা শেষ করব। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থায় গত দশ বছরে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষায় অগ্রগতি পরিমাপ করার যে সমস্ত নিদের্শক রয়েছে তার আলোকেও একথা বলা যায়। যেমন, কমপ্লিশন রেট, ড্রপ-আউট রেট এবং জেন্ডার-প্যারেটি ইনডেক্স। এসবের মানদণ্ডে আমাদের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা মূল্যায়ন করেও এক দশকের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

২০০২ সালে ব্যানবেইস পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাধ্যমিক স্তরে ড্রপ-আউট রেট বিপদাশঙ্কাপূর্ণ অবস্থায় ছিল, অর্থাৎ ৮০ শতাংশেরও উপরে। ২০০৫ সালে এডুকেশন ওয়াচের রিপোর্টে দেখা যায়, এই রেট ৭৯.৯ শতাংশ যা ২০০৮ সালে ব্যানবেইস পরিচালিত আরেকটি গবেষণা Secondary School Dropout Special Survey থেকে পাওয়া যায় ৬৪.৫৩% এবং ২০০৯ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৫৬.২২ শতাংশে। Bangladesh Education Statistics, 2011-এর তথ্যমতে, ড্রপ-আউট রেট (গ্রেড ৬- ১০) ২০১১ সালে ছিল ৫৩.২৮% বর্তমানে তা ৫০ শতাংশেরও কম।

অন্যদিকে সারভাইভাল রেটও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বর্তমানে সারভাইভাল রেট ৬০ শতাংশেরও উপরে যা ২০১১ সালে ছিল ৫৭.১১ শতাংশ এবং ২০০৫ সালে ছিল মাত্র ৩৯.৮০%। একইভাবে মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাতও ঈর্ষণীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য যা প্রায় ১.১৫ এর কাছাকাছি। অর্থাৎ নারী শিক্ষার্থীরা পুরুষ শিক্ষার্থীর চেয়ে ১৫% এগিয়ে আছে।

শিক্ষা-বিষয়ক সমস্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারও শিক্ষা ক্ষেত্রে ২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে এবারের এসএসসির ঈর্ষণীয় সাফল্য কোনোভাবেই শিক্ষার যে ক্রমউন্নতির ধারা তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়, এ কথা জোর দিয়েই বলা যায়।

আবদুল্লাহ্ আল মামুন: আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।