মোদির সামনে বিরাট বাধার পাহাড়

সুখরঞ্জন দাশগুপ্তসুখরঞ্জন দাশগুপ্ত
Published : 12 June 2014, 09:08 AM
Updated : 12 June 2014, 09:08 AM

যদিও এখনও হয়তো নির্দ্বিধায় বলার মতো সময় আসেনি তবু এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির মধ্যে ভারত সত্যি সত্যিই একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীকে পেল যিনি এ দেশের চলতি সরকারি রীতি-নিয়ম এবং ঐতিহ্যকে নতুন করে নির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর। এতে অন্তত কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি ভারতের প্রধান চালক হিসেবে নিজেও যেমন একটা জায়গা করে নিতে চান তেমনি আশা করেন তাঁর চারপাশে যাঁরা আছেন, যাঁদের মধ্যে যেমন তাঁর পার্টিকর্মীরা আছেন, আছেন তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা, তেমনি আছেন সেইসব আন্তর্জাতিক নেতারা— যাঁদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই তিনি দেখা করেছেন, তাঁরাও যেন মনে করেন যে, মোদির পক্ষে এই জগদ্দল পাথরটা সরাতে বহু পরিশ্রম করতে হবে।

২৬ মে যখন তিনি কার্যভার বুঝে নিচ্ছেন তার সামনে আগে পরেই তিনি তাঁর আরব্ধ কাজের একটা তালিকা পেশ করতে শুরু করেছেন যার মধ্যে রয়েছে (১) প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে আসা বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সরকারিভাবে মোকাবেলা করার উপায় সন্ধান, (২) যে মন্ত্রিসভা তিনি বেছে নিয়েছেন, কেউ কেউ যাঁদের ইতোমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন চলতি আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার একটু অন্যরকম মুখ মাত্র, তাঁদের মারফত বেশকিছু নির্দিষ্ট শাসনতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার চেষ্টা, (৩) জয়াললিতা, নবীন পট্টনায়ক ও চন্দ্রবাবু নাইডুদের মতো নেতা-নেত্রীদের মন জয় করে রাজ্যসভায় প্রতিকূল অবস্থার যথাযথ মোকাবেলা করার পাশাপাশি এনডিএর নতুন চেহারায় আরও চাকচিক্য আনার চেষ্টা, (৪) কেন্দ্র যে তাদের সমস্যাবলীর সমাধানের বিষয়টিতে বেশি প্রাধান্য দেবে এটা রাজ্যগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া, (৫) আরএসএস ও দলের বিভিন্ন গণসংগঠন ইত্যাদির কাছে বার্তা পাঠানো যে অন্যান্য দল দ্বারা পরিচালিত রাজ্যগুলোতে ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত সময়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রূপায়িত করে ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের সম্পূর্ণ সুবিধা গ্রহণ করতে হবে, (৬) বিশেষ করে পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় পারস্পরিক সৌহার্দ্যের বার্তা পাঠানো, (৭) দলের যে সব নেতা সংবিধানের ৩৭০ নং ধারার বিরুদ্ধে এখুনি কাজ শুরু করতে কংগ্রেস পরিচালিত পূর্বতন ইউপিএ সরকারের শুরু করা জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলোর নাম ও গতিপথ বদল করতে 'হিন্দুত্ববাদী' কার্যকলাপ চালু করতে অত্যুৎসাহী তাদের আপাতত বাগে আনা ইত্যাদি।

উপরে যা যা বলা হল তার দিকে খোলা চোখে তাকালে বলতেই হবে যে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এখনও নিজেকে শক্ত জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে না পারা একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাজনীতিবিদের পক্ষে এগুলি যথেষ্ট সুচিন্তিত কার্যক্রমই বটে।

এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন এমন একজন প্রধানমন্ত্রী যার আগামী দিনে যে যে কাজ করবেন তার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা তো আছেই পাশাপাশি পরিস্থিতিকে তাঁবে আনতে যার একটা পরিষ্কার কর্মসূচিও রয়েছে। গুজরাটের মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর সফল ইনিংস তাঁকে যে কী করতে হবে তার স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

সংবাদ মাধ্যমগুলোর একাংশ ইতোমধ্যেই, অর্থাৎ তাঁর অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায়, বলতে শুরু করেছে যে, রাজনৈতিকভাবে মোদিই ভারতের সবথেকে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বিপুল জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পার্লামেন্টে বিজেপিকে জাতীয়তাবাদী কার্যক্রম নিয়ে ১৯৫২ থেকে এ পর্যন্ত অকংগ্রেসি দল হিসেবে প্রথম একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছে দিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর ঘনিষ্ঠদের কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন যে, এ সরকার মোদির সরকার, বিজেপির নয়। এ কথা তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য রবিশংকরপ্রসাদ তো সম্প্রতি প্রকাশ্যেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ১৯৮৪-তে ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যুর পর, কংগ্রেসের একক দল হিসেবে বিপুল ভোটে জয়ী হবার ঘটনাটি বাদে মোদির এই জয়ের কোনো দোসর নেই এ কথা যেমন ঠিক, তেমনি এ কথাও ভুল নয় যে, সেবার বিপুল ভোটে জয়ী হবার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের পেছনে ছিল ব্যাপক সহানুভূতির হাওয়া, যা কিনা এবার মোদির জন্যে আলাদা করে ছিল না। অর্থাৎ তাদের মতে, মোদির এই জয় সম্পূর্ণভাবে তাঁর একক কারিশমার।

তাছাড়া, আগের জমানার সমস্ত বিপুল শিক্ষিত, অভিজাত প্রধানমন্ত্রীদের পাশাপাশি মোদি কিন্তু নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন নিজের সাধারণ ইমেজ এবং তাঁর একেবারে সাধারণ জীবনযাত্রা ও মূল্যবোধ দিয়ে। সুদূর গুজরাট থেকে আসামসহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে পর্যন্ত আপামর জনসাধারণের সামনে, একেবারে তাঁরা যে ভাষা বোঝেন তা-ই নিয়েই তিনি হাজির হয়েছেন এবং তাঁদের মন জয় করে নিয়েছেন প্রায় তুড়ি মেরেই। পাশাপাশি, তাঁর দাবি, তাঁর জয় তিনি অর্জন করেছেন প্রবল গ্রীষ্মেও সারাদেশে ৪৫০-এর কাছাকাছি বিরাট জনসভায় নিজের বক্তব্য ‍তুলে ধরেই কেবল নয়, বিশেষত তাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলে ধরার মাধ্যমেই। তিনি যা বলেছেন, যেভাবে বলেছেন তা ভারতের মানুষকে স্পর্শ করেছে বলেই আজ তিনি জয়ের মুখ দেখেছেন। অর্থাৎ তাঁর জয়ের পেছনে আছে অক্লান্ত পরিশ্রম, তাঁর বিরুদ্ধদল কংগ্রেসের তরফে যা ছিল না বলেই তাঁর দাবি।

সবেমাত্র কার্যভার হাতে নিয়েই মোদি পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। তিনি সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ হিসেবে ক্ষমতায় এসেই মুক্তি দিয়েছেন এ দেশে আটক থাকা ১০০ জন পাকিস্তানি ধীবরকে। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির প্রবল ও লাগাতার বিরোধিতা সত্ত্বেও সিকিমের মূখ্যমন্ত্রী পবন চামরিঙের সঙ্গে আলোচনায় তিনি অনুরোধ করেছেন তিস্তার জলের সমবণ্টন নিয়ে।

বাংলাদেশের তরফে ঝুলে থাকা তিস্তার জলবণ্টনের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছাতে মমতার বারংবার বাধাদানের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তিনি মোদির পূর্বসূরী ড. মনমোহন সিংকে এই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে একেবারে শেষ মুহূর্তেও বাধা দিয়েছেন। ড. সিংয়ের একমাত্র সমস্যা ছিল, তাঁর দল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না; যা হলে এ ব্যাপারে তাঁরা একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারতেন। তাঁর দলকে মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমুল কংগ্রেসের ওপর যেহেতু নির্ভর করতে হত, ফলে মমতা সেই সুবিধেটা নিয়েই গেছেন।

কারও কারও মতে, এবার মমতা ব্যানার্জিকে মুখোমুখি হতে হবে সম্পূর্ণ অন্য ধারার নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির, যিনি জাতীয় স্বার্থে যেটা করা জরুরি বলে মনে করেন যত বাধাই আসুক তা করতে মুহূর্তমাত্র দ্বিধা করবেন না। ড. সিংয়ের মতো মমতা ব্যানার্জির হুমকি এবং ব্ল্যাকমেলিং-এর রাজনীতিকে সমঝে চলতে হবে না— কারণ, তাঁর পেছনে আছে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তাঁদের মতে, মোদি মমতাকে চেনেন বলেই ওড়িশা থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত নানা রাজ্যের আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পথ সুগম রেখেছেন, যা রাখেননি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে।

যত দিন যাবে আর এস এস, বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং দলের অন্যান্য শাখা সংগঠনগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক হয়তো জটিল হবে। গত দু'বছর এল কে আদবানি, সুষমা স্বরাজ, মুরলী মনোহর যোশীসহ অন্যান্য বরিষ্ঠ বিজেপি নেতারা মোদির ক্ষমতা ও তাঁর রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে তাঁদের দ্বিমত গোপন রাখেননি। কিন্তু তাঁর বিপুল জয়ের পর তাঁরাও তাঁর নেতৃত্বেই আস্থাজ্ঞাপন করেছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আজ মোদিই হলেন বিজেপির মুখ। আর এস এস থেকে বিশ্বহিন্দু পরিষদ পর্যন্ত তাঁর দলের সবাই, সে তাঁরা মোদির সমর্থকই হোন বা বিরোধী, দলের বর্তর্মান সাফল্য এবং বিপুল জনসমর্থনের জন্য তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য। স্পষ্টতই, আজ মোদি যা বলবেন তা এই সংগঠনগুলো শুনতে বাধ্য। এ বাদে তাদের আর কোনো বিকল্প পথ, অন্তত এই মুহূর্তে, নেই।

সারা দেশে ব্যাপক এই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারে মোদির 'উন্নয়ন'-এর স্লোগান অগণিত মানুষ, বিশেষ করে সারা দেশের বিরাট সংখ্যক নতুন ভোটারদের মনে নতুন আশা জাগিয়ে তুলেছে, যা কিনা চূড়ান্তভাবে পালে হাওয়া জুগিয়েছে বিজেপিকে। এই 'উন্নয়ন' স্লোগানের উলটো দিকে দাঁড়িয়ে বিজেপি তথা মোদিকে ২০০২-এর গুজরাট দাঙ্গার উদাহরণ তুলে তাদের সাম্প্রদায়িক বলে দেখে দেবার চেষ্টা যে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে তা কংগ্রেস-বাম-তৃণমূলসহ যাবতীয় দলগুলি যত দিন যাচ্ছে বুঝতে পারছে।

অর্থনৈতিকভাবে দেশের বিধ্বস্ত হাল এবং কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিতে ব্যাপক দুর্নীতি— যার মধ্যে সবথেকে বড় উদাহরণ সম্ভবত তৃণমূল জমানায় আপাদমস্তক দুর্নীতি এবং অনাচারে ডুবে থাকা পশ্চিমবঙ্গ— মোদির সামনে বিরাট একটা বাধার সৃষ্টি করে রেখেছে। তিনি জানেন তাঁকে এই বিরাট বাধার পাহাড় জয় করতেই হবে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে রাজ্যগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যে তাঁর কিছু কর্মসূচি আছে যা তাঁকে কার্যকর করতে হবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে। দেশের এই অবস্থায় মোদির এই অবস্থানকে সদর্থক ছাড়া কিছু বলা কঠিন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর জমানার প্রথম মাসগুলি কেবল বিজেপি কেন, গোটা দেশের জন্যেই একটা কঠিন পরীক্ষা।

রাজ্যগুলির মধ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের হাল এই মুহূর্তে শোচনীয় বললেও কম বলা হয়। মমতা ব্যানার্জির মতো আর কোনো রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী সম্ভবত মোদির বিরুদ্ধে এত কটু কথা বলেননি। এর কারণ ২০০৯ থেকে ২০১৪-এর মধ্যে রাজ্যে বিজেপির চারগুণ ভোট বৃদ্ধি। তৃণমূলের কাছে এটা ভয়াবহ বিপদের সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়। এরকম হতে চলেছে এটা আন্দাজ করেই ‍তৃণমূল রাজ্যে ব্যাপক হারে রিগিং করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে— যার প্রমাণ মিলছে এমনিকি তৃণমূল সাংসদ খোদ শুভেন্দু অধিকারীর মতো তাদের দলের ক্ষুব্ধ নেতাদের কথাতেও। যদিও ঘটনা হল, এই অবস্থার মধ্যেও বিজেপি কেবল রাজ্যে নয়, সারাদেশেই তার বিজয়রথ অব্যাহত রাখতে পেরেছে।

আসলে ভোটের আগে মোদি 'সুদিন সামনেই' বলে যে স্লোগান দিয়েছিলেন তা পশ্চিমবঙ্গের জন্য সুপ্রযোজ্য হবে এমনটাই আশা করেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। বর্তমান জমানায় রাজ্যে যে কেবল কোনো বিনিয়োগই আসেনি তা নয়, জেসপ-ডানলপ-হিন্দ মোটর-ডাকব্যাকের মতো বহু কারখানাই আজ চিরতরে বন্ধ হবার মুখে। লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী বেকার। এদের অনেকেরই শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমানের। লাখ খানেকেরও বেশি শ্রমিক তামিলনাড়ু, ওড়িশা, ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ, কেরালা, গুজরাটের পথে কাজের খোঁজে পাড়ি জমাচ্ছেন। ৮০ জনের বেশি চাষি আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে সারদা চিটফান্ড কেলেংকারি, যার সঙ্গে তৃণমূলের বহু কর্তাব্যক্তিই জড়িত বলে খবর, ৩০ লক্ষের বেশি মানুষকে নির্বিকারভাবে পথে বসিয়েছে কেবল নয়, রাজ্য সরকার সে ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত করতেও উৎসাহী নয়। কারণ, তদন্ত হলে সরকারে আসীন দলটির পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি ধরা পড়ে যাবে। এ ব্যাপারে বিচার করার কথা বলাতেই মোদি তৃণমূল নেত্রীর কোপে পড়েছেন। যে মুহূর্তে মোদি পশ্চিমবঙ্গে এসে তৃণমূল-সমর্থিত সারদা কাণ্ড এবং বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রেবশকারীদের সমস্যার যথাযথ সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি ভোটের বন্যায় ভেসে গেছে।

মোদি যদি সতিই তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন তাহলে বিজেপি-সমর্থকের সংখ্যা বিপুল পরিমাণে বাড়তে থাকবে এবং যেহেতু এই মুহূর্তে অন্তত মোদিকে এক কথার মানুষ বলেই মনে হচ্ছে, ফলে তিনি তাঁর কথা রাখবেন বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের বড় একটি অংশের। তাঁদের প্রশ্ন, অশনি সংকেত যে ঈশান কোণে বিপদের ঘনঘটা নিয়ে বেড়ে উঠছে মমতা কি তা এখনও বুঝতে পারছেন না?