পদত্যাগ

মো. আনোয়ার হোসেনমো. আনোয়ার হোসেন
Published : 26 Jan 2014, 04:20 PM
Updated : 26 Jan 2014, 04:20 PM

প্রায় বছর খানেক ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় গণমাধ্যমে বারবার এসেছে। দুর্ভাগ্যবশত এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অধিকাংশ সংবাদে কোনো আশার বাণী ছিল না। শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাংলাদেশের সমানবয়সী এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান অরাজকতা দূর করার মূখ্য দায়িত্ব উপাচার্যের। একজন নির্বাচিত উপাচার্যের চাপের মুখে পদত্যাগ করা যে কোনো সমাধান নয় তা আমি উপলব্ধি করেছি।

কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের বিতাড়ন করবার একটি অপসংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। তা থেকে বেরিয়ে আসাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করেছি। তাই চরম প্রতিকূল অবস্থায়ও ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় সচল করবার আমার প্রচেষ্টা মাঝে মাঝে সফল হলেও তা ছিল নিতান্ত সাময়িক। কোনো স্থায়ী সমাধান তা দিতে পারেনি। কারণ বাস্তবে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নয়, 'অবাঞ্ছিত উপাচার্যের' পদত্যাগই সমাধান– এটাই ছিল আন্দোলনকারী শিক্ষকদের একমাত্র দাবি।

পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি আমি একটি পত্রের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরণ করেছি। ২২ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত পত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে আমার পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়েছে। এ পত্রের বক্তব্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও দেশবাসীর জ্ঞাতার্থে বিনীতভাবে পেশ করছি। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে জেনেছেন, মতামত দিয়েছেন এবং মনেপ্রাণে চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টি রাহুমুক্ত হোক। সে বিবেচনায় পদত্যাগপত্রের বক্তব্য সকলকে জানাতে চাই।

পদত্যাগপত্র

১৩ জানুয়ারি ২০১৪

মহামান্য রাষ্ট্রপতি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ ও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় আচার্য

আমার সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করুন।

গত ২০ মে, ২০১২ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব মো. জিল্লুর রহমান চার বছরের জন্য আমাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরে সিনেটে নির্বাচিত তিনজনের একটি প্যানেল থেকে তিনি পুনরায় ২৫ জুলাই, ২০১২ তারিখে চার বছরের জন্য নির্বাচিত উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগ দেন।

উপাচার্য পদে যোগদানের পর থেকে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩– যা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম ফসল হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদান করেছিলেন– তা অনুসরণ করে সকলের মতামতে গুরুত্ব দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা করেছি। তারই অংশ হিসেবে সিনেটে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিলাম আমার নিয়োগের দু'মাসের মধ্যেই।

আপনি অবগত আছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অল্প কিছু সংখ্যক শিক্ষক নিতান্ত অনৈতিকভাবে আন্দোলনের নামে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে চরম অরাজকতা কায়েম করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়। আলোচনা এবং সমঝোতা-সম্বন্বয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য আমি বারবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু আন্দোলনকারী শিক্ষকগণ আমার কোনো আবেদনে সাড়া দেননি। তাঁরা শুধুমাত্র তাদের ভাষায় 'অবাঞ্ছিত উপাচার্যের' পদত্যাগের জন্য কোনো আইনের তোয়াক্কা না করে, চাকুরি বিধি লঙ্ঘন করে এবং এমনকি হাইকোর্টের ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করেন।

তাঁদের এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে, ৪৩ দিন ধরে প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ করে রাখা, আমাকে আমার অফিসে ৮৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা, রেজিস্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে অফিসে ৯ দিন বন্দি করে রাখা, দু'জন প্রো-উপাচার্যকে তাঁদের অফিসে অর্ধমাস ধরে আটকে রাখা, আমার স্ত্রী এবং আমাকে ৮ দিন উপাচার্য ভবনের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য করা, উপাচার্য বাসভবনে আমি ও আমার পরিবারকে ৪ দিন অবরুদ্ধ করে রাখা, গত দেড়মাস যাবত প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে রাখা এবং সর্বশেষে ৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখ রাতে আমার বাসভবন ঘেরাও করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান, পরদিন ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে আমার বাসভবন সিলগালা করে আমি ও আমার স্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগে বাধ্য করা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ বিজয় দিবসে ক্যাম্পাসে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে আমার গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নিয়ে চাকার হাওয়া ছেড়ে দেওয়া– এসব সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটান তারা।

এমতাবস্থায়, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখ থেকে আমি অফিস, বাসভবন, স্টাফ ও গাড়ি ছাড়া সম্পূর্ণ ভাসমান জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছি। আমার নিজস্ব ফ্ল্যাট বা থাকার জায়গা না থাকায় আমাকে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় থেকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

আমি উপলব্ধি করেছি, চরম অস্থিতিশীল অবস্থায় নির্বাচনের পূর্বে উপাচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দিলে, বিশ্ববিদ্যালয়টি আরও সংকটময় ও সহিংস অরাজকতায় নিপতিত হতে পারে। তাই নির্বাচন পর্যন্ত উপাচার্য পদে থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যথার্থ মনে করেছি। ইতোমধ্যে ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। আমি মনে করি নতুন সরকার যেমন দেশে শান্তি ও সুশাসন কায়েমে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান অরাজক অবস্থার অবসানে আশু যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

এই প্রেক্ষাপটে আমি অদ্য ১৩ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনি একজন নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার পূর্ব পর্যন্ত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আফসার উদ্দিন আহমদ ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

আন্দোলনরত শিক্ষকগণ অত্যন্ত আযৌক্তিকভাবে বিভিন্ন সময়ে আমার বিরুদ্ধে নানা ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ সকল বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫১ ধারা অনুযায়ী তদন্ত কমিশন গঠনের সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনার বরাবরে পেশ করেছিলাম। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে, আপনি দ্রুত তা গঠন করেছিলেন এবং তদন্ত কমিশন একটি রিপোর্টও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিল।

অত্যন্ত পরিতাপের কথা যে, আমার উপর্যুপরি অনুরোধ ও আহবানের পরও তা প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্টটি দ্রুত প্রকাশের নির্দেশ দানের জন্য আপনাকে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই। একজন নির্বাচিত উপাচার্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবরে অনুরোধ জানাচ্ছেন– তা আমাদের দেশে এই প্রথম। উপাচার্যও জবাবদিহিতার উর্ধ্বে নন, এটা প্রতিষ্ঠিত করা এবং অন্যায়-অযৌক্তিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন যদি হয়ে থাকে, তারও প্রতিবিধান করা– তা আমি মনেপ্রাণে চেয়েছি।

আমি আশা করি, শিক্ষক হয়েও যাঁরা আপন উচ্চাসনের কথা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন– বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছেন– তার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

আমি গভীরভাবে আশা করি, পরবর্তী উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবেন। জাকসু নির্বাচন, সিনেটের মেয়াদ-উত্তীর্ণ বিভিন্ন ক্যাটাগরির সদস্যদের নির্বাচন– যা আমি শুরু করেও শিক্ষকদের অনৈতিক আন্দোলনের জন্য শেষ করতে পারিনি– তা সম্পন্ন করবেন। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, শুধুমাত্র ১৯৭৩ আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হলে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু বাংলাদেশে নয়, এশিয়ার একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিগণিত হবে।

আমার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় বছরের উপর উপাচার্যের দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি যে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশসমূহে প্রয়োজনীয় সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। এ কথাও সবাইকে বিবেচনায় নিতে হবে যে, আমরা কেউই আইনের উর্ধ্বে নই। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যারা জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত তাঁরা তো অবশ্যই নন।

শিক্ষকদের জবাবদিহিতা সম্পর্কে আমি বহুদিন ধরে বলছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে ১৬ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে আমি সিএমএম কোর্টে একটি জবানবন্দি দিয়েছিলাম। সে জবানবন্দিতেও তৎকালীন সেনাচালিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উদ্দেশ্যে নৈতিকতাবিবর্জিত এবং দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষকদের সম্পর্কে বলেছিলাম, "মহামান্য আদালত, কুসুমেও কীট থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে শিক্ষকেরা নৈতিকভাবে অধঃপতিত হয়েছেন, দুর্নীতি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি মলিন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করেছি। তারা তো সবাই স্বপদে বহাল শুধু আছেন নয়, তাদের সঙ্গেই আপনাদের দেন-দরবার।''

মহামান্য রাষ্ট্রপতি, শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা বিষয়ে অবস্থার পরিবর্তন আজও হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব সন্ত্রাসী শিক্ষক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন, তারা আজও স্বপদে বহাল আছেন। অন্যদিকে বিদায় নিচ্ছি আমি, যার অন্যতম কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা সেই সব সন্ত্রাসী শিক্ষকদের সঙ্গেই দেন-দরবার করে চলেছেন। তাদের সঙ্গে আপোষ করে নিয়ম-নীতি-নৈতিকতা জলাঞ্জলি দিয়েছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষক এবং পদাধিকারীগণ দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতির বিবেক হিসেবে পরিচিত শিক্ষকমণ্ডলীর অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করেছেন, সে সম্পর্কে অনুসন্ধান ও যথাযথ ব্যবস্থা সুপারিশের জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করার নির্দেশ দানের জন্য আপনার সমীপে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষক, প্রিয় শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ যাঁরা প্রতিকূল অবস্থায়ও আমাকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন এবং স্বপ্নের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় আমার উদযোগসমূহে সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমি জানি তাঁরা তাঁদের স্বপ্ন হারিয়ে যেতে দেবেন না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভশক্তির বিজয় হবেই।

আমার উপর আপনি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা প্রদর্শন করেছিলেন, তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আমার পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করলে অত্যন্ত বাধিত হব।

আপনার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

আপনার বিশ্বস্ত,

অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন

ড. মো. আনোয়ার হোসেন: সাবেক উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।