মুক্তিযুদ্ধের গোপন তৎপরতা (৩): বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে মার্কিন দায়

অমি রহমান পিয়ালঅমি রহমান পিয়াল
Published : 26 Dec 2013, 08:35 PM
Updated : 26 Dec 2013, 08:35 PM

তার আগে দেখা যাক পূর্ব পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে পাবলিক সেফটি অ্যাডভাইজার বা জননিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কারা কারা কাজ করেছেন।

অফিস অব পাবলিক সেফটির (ওপিএস) সাবেক কিছু কর্মকর্তা একটা স্মৃতিচারণমূলক প্রকাশনা বের করেছিলেন। মুখবন্ধতেই তারা বলে নিয়েছেন যে, এটা সরকারি কোনো প্রকাশনা নয় এবং ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ বছর আগের এই স্মৃতি রোমন্থনে সবার নাম কিংবা সব ঘটনা মনে না থাকাটাই স্বাভাবিক।

বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক সেফটি অ্যাডভাইজারদের উল্লেখে পাকিস্তানও ছিল। আর সেখানে হদিস মিলেছে রবার্ট জ্যাকসন ওরফে বব জ্যাকসনেরও (যুক্তরাষ্ট্রে নাম ছোট করে ডাকার প্রথা আছে; অ্যাডওয়ার্ড যেমন 'অ্যাড' বা `টেড', তেমনি রবার্ট হয়ে যায় 'বব')।

তাদের ভাষ্যে–

"পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম দুই প্রান্তেই পাবলিক সেফটি প্রকল্প চালু ছিল। তবে পূর্ব পাকিস্তানের কোনো ধরনের প্রস্তাবনা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে অনুমোদিত হতে হত। পাকিস্তানের প্রথম পাবলিক সেফটির স্টেশন চিফ হয়ে আসেন সম্ভবত স্ট্যান শেলডন, ১৯৬০ সালে। করাচিতে ছিল তার সদর দফতর। জোকোর তার উপপ্রধান হলেও পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সহকারী হিসেবে বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন বব গলিন্স, জন লি, রবার্ট লকহার্ট, হ্যারি উইন এবং চার্লস নেটবিট।

১৯৬৫ সালে ভিয়েতনাম থেকে পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্ব নিয়ে আসেন রবার্ট ন্যাটবুশ। সে সময় এই প্রকল্পে কাজ করছিলেন হ্যারল্ড অস্টিন, জ্যাক জিমিক, লিওন ক্লেমেন্ট, ফ্রান্সিস পেরি ও অ্যাশটন ক্রেইগ। ১৯৬৭ সালে ন্যাটবুশকে ভিয়েতনামে ফেরত পাঠানো হয়। তার জায়গায় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন জোকোর। একই সময় মেরিন অ্যাডভাইজার হয়ে আসেন বব জানুস।

১৯৬৯ সালে ভিয়েতনাম থেকে অরভ্যাল উনারকে পূর্ব পাকিস্তানে ডেকে আনা হয়। তিনি ছিলেন ভিয়েতনামের পিসডি/এমআর-ওয়ান (জহির রায়হানের পাওয়া তালিকায় আরএমওয়ান নামে ইনিশিয়াল ছিল) বিভাগের উপপরিচালক। জোকোর গোটা পাকিস্তানের দায়িত্ব নিয়ে করাচি চলে যান।

অরভালের ওপরওয়ালা (ইমিডিয়েট সুপারভাইজার) ছিলেন বব জানুস। পরে তার জায়গা নেন বব জ্যাকসন। এই অরভালই পূর্ব পাকিস্তানের পুলিশ ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (রাজারবাগ) ও ট্রাফিক ট্রেনিং স্কুলের পাঠ্যসূচি নতুন করে তৈরি করেন। রায়ট পুলিশকেও নতুন করে ট্রেনিং দেন তিনি। একই বইতে লেখা হয়েছে যে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পূর্ব পাকিস্তানের পাবলিক সেফটি বিভাগের কর্মকর্তাদের তেহরান সরিয়ে নেওয়া হয়।"

উপরের তথ্য সঠিক হলে রবার্ট ওরফে বব জ্যাকসন ২৫ মার্চের আগে ঢাকায় ছিলেন এটা প্রমাণ হয়।

উপাত্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত এক জ্যাকসনের উপস্থিতি ছিল ঢাকা দূতাবাস অফিসে। পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরণে ঘৃণা জানিয়ে কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাডের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক 'ডিসেন্ট টেলিগ্রামে' সাক্ষর করেছিলেন যারা, তাদের মধ্যে রবার্ট জ্যাকসন নামটাও ছিল। তবে তার পদবীর কোনো উল্লেখ সেখানে ছিল না। সেই ঘটনার পর আর্চার ব্লাডকে প্রত্যাহার করে নেয় নিক্সন প্রশাসন। একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছিল সাক্ষরকারী বাকিদেরও।

এবার দেখা যাক তার ফিরে আসার কাহিনীতে। সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি যে গোপন টেলিগ্রামের সূত্র ধরে কংগ্রেসে বোমা ফাটিয়েছিলেন সেই নির্দিষ্ট টেলিগ্রামটিতে। এটি একাত্তর সালের ২৫ জুন পাঠানো হয়, কেনেডি তা ফাঁস করেন ২২ জুলাই। পাকিস্তানের মার্কিন দূতাবাস এবং ইউএস এইডের যৌথ টেলিগ্রাম এটি যদিও পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ডের বরাতে সেক্রেটারি অব স্টেট কিসিঞ্জারকে। এটি উদ্দিষ্ট হয়েছে পাবলিক সেফটি বিষয়ক দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইঙ্গল এবং ম্যাকডোনাল্ডের জন্য।

জোকোরের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের আইজিপি এমএকে চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতা এবং তার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে লেখা বার্তাটির ভাবানুবাদ তুলে দেওয়া হল:

১.

নিচের বর্ণনা জোকোরের ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের আইজিপি (উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সাবেক আইজিপি) এমএকে চৌধুরীর সঙ্গে আলাপচারিতার ভিত্তিতে লেখা হয়েছে।

ক.

পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ এমনিতে মোটামুটি মানের একটি সংগঠন হলেও বর্তমানে এটি ভগ্ন, দীর্ণ, মনোবলহীন একটি বাহিনী যার ৩৩ হাজার সদস্যের ৭৫ ভাগই হয় প্রতিপক্ষে যোগ দিয়েছে, পালিয়েছে, নয়তো মারা গেছে। এই হারটা কোন বিভাগে কেমন সে সম্পর্কে আইজিপি সঠিক বলতে না পারলেও দাবি করেছেন যে, হতাহতের হার যা শোনা যাচ্ছে তার চেয়ে কম এবং অনুমান করছেন ভবিষ্যতে পলাতকদের অনেকেই ফিরে এসে যোগ দেবে যেহেতু নতুন নিয়োগ শুরু হয়েছে। বলেছেন যারা ভয়ভীতি বা কোনঠাসা হয়ে যাবে ভেবে যারা অনুপস্থিত আছে তাদের সবাই নির্ভয়ে ফিরে যোগ দিতে পারবে।

যদিও স্বীকার করেছেন যে বেশ বড় সংখ্যক সদস্যই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এবং তারা ভারত থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। জানিয়েছেন সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ ডিআইজি আবদুল খালেক ও রাজশাহী রেঞ্জের মামুন মাহমুদ, রাজশাহীর পুলিশ সুপার এমআর চৌধুরীর সঙ্গে ভারত পাড়ি জমিয়েছেন। যদিও ভিন্ন প্রতিবেদনে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে মামুন এবং চৌধুরীকে সেনাবাহিনী হত্যা করেছে।

কুমিল্লার এসপি এএসএম ওসমান, চট্টগ্রামের এসপি শামসুল হক এবং ফরিদপুরের এসপি নুরুল মোনেম খানকে গ্রেফতার এবং গুলি করে মারা হয়েছে বলে বিশ্বাস। সাবেক আইজিপি টি আহমেদ এবং ঢাকার সাবেক এসপি ইএ চৌধুরীকে বরখাস্ত এবং দৃশ্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্য অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে।

খ.

লোকবল ছাড়াও পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ বাহন এবং যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে দারুণ সঙ্কটে ভুগছে যা হয় সেনাবাহিনী ব্যবহার/অধিগ্রহণ করেছে নয়তো প্রতিপক্ষ ধ্বংস/কব্জা করেছে। আইজিপি সম্পূর্ণ তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন ঢাকায় সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে কিছু জিনিসপত্র ফেরত দিয়েছে। তবে প্রতিপক্ষের হাতে রেডিওগুলো (ওয়ারলেস) থাকায় বিপাকে পড়েছে পুলিশের নেটওয়ার্ক। রক্ষণাবেক্ষণের সুবিধাদি ক্ষতিগ্রস্ত এবং রক্ষণাবেক্ষণে যোগ্য লোকজন হারিয়ে যাওয়াদের দলে।

গ.

আইনশৃংখলার বর্তমান পরিস্থিতিকে আইজিপি তুলনা করেছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ঘটনাবলীর সঙ্গে। বলেছেন সীমান্ত এলাকার গ্রাম ও এলাকাগুলোয় প্রতিপক্ষ বাহিনী অসংখ্য হামলা করেছে এবং সেখানে ত্রাসের রাজত্ব চালানো হয়েছে। স্বীকার করেছেন একই ধরনের ঘটনা সীমান্ত ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় ঘটেছে। তবে পদ্ধতিটা তার চোখে মামুলি ধরনের, তড়িঘড়ি হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার মতো যা এক ধরনের উত্যক্ত করা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে এসব সামাল দেওয়া সম্ভব এবং তারা দেবে।

ঢাকায় টানা বোমা হামলায় তিনি উদ্বিগ্ন এবং খুব খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছেন। পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ আইনশৃংখলা বজায় রাখার পূর্ণদায়িত্ব একসময় ঠিকই বুঝে নেবে, তবে এজন্য মাস ছয়েক লাগবে বলে আইজিপির অনুমান। কারণ একটি কার্যকর বাহিনী মাঠে নামাতে সময়টা প্রয়োজন।

সরকার সবার আগে গুরুত্ব দিচ্ছে মনোবল ফিরিয়ে আনাকে যা আসলে বিশাল দায়িত্ব বলে স্বীকার করতে হয়। বিহারিদের নিয়োগ এবং আইনশৃংখলা রক্ষায় সেনাবাহিনীকে খানিকটা রেহাই দিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রেষণে ৫ হাজার পুলিশ আমদানি এই লক্ষ্যে একটা বড় প্রতিবন্ধক। বিহারিদের সঙ্গে বাঙালিদের একসঙ্গে টহল ঠিক বিশ্বাসযোগ্য নয়। তার চেয়ে বড় কথা পাঞ্জাবি/বিহারি/বাঙালির একত্রে টহলদারি কল্পনারও বাইরে। তারপরও আইজিপি আশাবাদী এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সফরে ব্যস্ত যাতে অধীনস্থরা আগ্রহী হয়।

ঘ.

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর ঘটনাবলী পুলিশের ঘড়ি কয়েক বছর পিছিয়ে দিয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের কোনো অস্তিত্ব নেই। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ বাদে এটি বিশেষ কিছু পুলিশি দায়িত্ব পালন করছে। নতুন সদস্য অপ্রতুল এবং ট্রেনিং সেন্টারগুলো অকার্যকর। জননিরাপত্তা কার্যক্রমের মাধ্যমে যা একটু উন্নতি হয়েছিল তার কিছুই নেই; যদিও প্রকল্পের অনুষঙ্গমূহ, যেমন যানবাহন, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি এবং অংশগ্রহণকারী সাবেক সদস্যরা বর্তমান।

এহেন পরিস্থিতিতে আইজিপির অনুমিত ছয় মাসের মধ্যে একটি কার্যকর সংস্থা দাঁড় করানো আকাশকুসুম কল্পনা মাত্র। নিশ্চিতভাবেই এই মুহূর্তে নাগরিকদের জন্য একটি কার্যকর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী গঠনপ্রক্রিয়ার উত্তরণ অদূর ভবিষ্যতেও খুব একটা আশাজাগানিয়া নয় বরং তা স্থগিত রাখাই ভালো। তবে জননিরাপত্তামূলক সহযোগিতা চালু করা সম্ভব।

ঙ.

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি হল– ১) পাকিস্তানের ঐক্য বজায় রাখার পক্ষে সমর্থন এবং একটি স্থির ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থার পক্ষে থাকা; এবং ২) পাকিস্তানের ভবিষ্যত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টায় সহায়তা করা।

অবশ্যই এসব নীতির লক্ষ্যমাত্রা বর্তমানে চলতে থাকা একটি অস্থিতিশীল, ভীতিপ্রদ, নৈরাজ্যমূলক ও বহুধা সামাজিক অবস্থার মধ্যে সম্ভব নয়। আর্থসামাজিক উন্নতির জন্য দায়িত্বশীল এবং কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জরুরি। অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা আইনের মানবিক, নিরপেক্ষ এবং দক্ষ প্রয়োগ উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় পরিবেশ গঠনে ও রক্ষণাবেক্ষণে সহায়ক। পূর্ব পাকিস্তান পুলিশের সাহায্য দরকার এবং তারা তা স্বাগত জানাবে।

পাকিস্তান সরকার জননিরাপত্তা প্রকল্প পরিচালকের মাধ্যমে প্রকল্পে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছে। যদিও অনুরোধের তালিকায় বাড়তি কিছু অনুষঙ্গ* চাওয়া হয়েছে (পরে জানা গেছে জেরা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি চাওয়া হয়েছে, যার কিছু পাঠানোও হয়েছিল)। আমরা জানি যে প্রকল্প অব্যাহত রাখার জন্য যৌথ জরিপের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনের সুপারিশ ও প্রমাণাদি প্রয়োজন। পাকিস্তান সরকার এখানে একাই সব করতে চায়।

২.

আমাদের বিশ্বাস পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখা দূতাবাস এবং ঢাকা কনসুলেটের জন্য ভালোই হবে। তবে পরে বর্ণিত পরিস্থিতির আলোকে ঠিক কতদূর তা বজায় রাখা সম্ভব হবে সেটা অনিশ্চিত। আমাদের বিশ্বাস সেটা নিশ্চিত করার সেরা উপায় হতে পারে সাময়িকভাবে হলেও আমাদের জননিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাকসনকে পূর্ব পাকিস্তানে ফেরত আনা।

তার প্রাথমিক দায়িত্ব হবে আগের যোগাযোগ পুনঃস্থাপন এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী ৯০ দিনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন যাতে অতীতের প্রয়াসের পাশাপাশি একটি সংশোধিত কর্মসূচি চালানোর সম্ভাবনা ও নির্দেশনা থাকবে। পুরো ব্যাপারটা খুব গোপনে করা সম্ভব এবং এমনভাবে করতে হবে যাতে এই স্পর্শকাতর ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য বিব্রতকর হয়ে না দাঁড়াতে পারে।

৩.

যদি এইড/ডব্লু মনে করে ব্যাপারটা প্রয়োজনীয়, তাহলে আজই সবকিছু ওয়াশিংটনে কোরের জন্য প্রস্তুত রাখা হোক।''

— ফারল্যান্ড

কেনেডি এই পরিকল্পনা ফাঁস করার আগে একটি মাস কেটে গিয়েছিল। অথচ অক্টোবরেও রবার্ট জ্যাকসনকে নিয়ে লেখালেখি চলছিল। তার মানে তিনি ঢাকায় ফিরে এসেছিলেন। আর তার খানিকটা প্রমাণ মিলবে পূর্ব পাকিস্তানে পাবলিক সেফটি প্রজেক্টের পরবর্তী মূল্যায়নে।

[চলবে]

সূত্র:

১. অফিস অব পাবলিক সেফটি
২. মার্কিন দূতাবাসের তারবার্তা।

অমি রহমান পিয়াল: ব্লগার, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট।