ডিজিটাল বাংলাদেশে বিজ্ঞানবিমুখতা

ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী
Published : 18 August 2010, 03:36 PM
Updated : 18 August 2010, 03:36 PM

সম্প্রতি একটা ব্যাপার নিয়ে শিক্ষাবিদরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এমনকি খোদ শিক্ষামন্ত্রীও ব্যাপারটা নিয়ে গোল-টেবিল বৈঠক করেছেন। ব্যাপারটা হলো দেশে বিজ্ঞান-শিক্ষার্থীর ক্রমহ্রাসমান সংখ্যা। পত্রিকার খবরে প্রকাশ, বিজ্ঞান-শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০০১ সালে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ৩৪% থেকে কমে ২০১০ সালে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২২% (প্রথম আলো, ৩ আগষ্ট ২০১০)। শুধু শতাংশের হিসাবেই নয়, প্রকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। ২০০১ সালে বিজ্ঞান-শিক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ছিল দুই লক্ষ চৌষট্টি হাজার। ২০১০ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লক্ষ চার হাজারে।

কিন্তু মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখেরও বেশি। অর্থাৎ এই বর্ধিত সংখ্যক শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে, স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, কিন্তু বিজ্ঞান পড়ছে না। একটু বুঝিয়ে বলি। ধরা যাক একটি স্কুলের কথা। স্কুলটিতে নবম-দশম শ্রেণীতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ফি-বছর বাড়ছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এই বাড়তি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান-শ্রেণীতে যাচ্ছে না। বিজ্ঞান শ্রেণীকক্ষে যে ত্রিশটি আসন ছিল (কথার কথা) তাতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। এই বাড়তি শিক্ষার্থীরা যাচ্ছে কোথায়? হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এরা অধিকাংশই ব্যবসায় পড়তে ইচ্ছুক। আমাদের অভিভাবকরা তাদেরকে ম্যানেজার বা অ্যাকাউন্টেন্ট বানাতে যথেষ্ট ইচ্ছুক, বিজ্ঞানী বানাতে চান না। ঘটনাটি সত্যিই রীতিমতো ভাবার বিষয়। এর সাথে আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতও অনেকটা দায়ী।

বর্তমান সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সমাজকে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজে নিয়ে যাওয়ার একটি পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছে। উক্ত 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' শব্দবন্ধের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশকে উন্নত করার একটা স্বপ্নের কথা পরিব্যাপ্ত আছে। বিজ্ঞানের এই যাত্রাকে গতিশীল করতে চাই সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার। সেই সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যায় সুশিক্ষিত একটি কর্মীবাহিনী দরকার যা দেশকে দেশীয় সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উক্ত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

কিন্তু সেই কর্মীবাহিনী যারা হবে, যারা নেতৃত্ব দেবে, যারা এগিয়ে নিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখবে সেই বিজ্ঞানী-প্রকৌশলী-চিকিৎসক-পেশাজীবী কই ? কারা হবেন এসব ? এসব করার লোক কই ? সব তো ম্যানেজার-এক্সিকিউটিভ-সিএ হবার দৌঁড়ে শামিল! বিজ্ঞানকর্ম তো আর হুকুমের তাবেদার নয় যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা অধীনস্থ বিজ্ঞান-কর্মীকে হুকুম দিলেন 'অমুক-বিজ্ঞান'টি করে নিয়ে আস, আর তা তাৎক্ষণিকভাবে অপার ম্যাজিক-বলে করে দেবেন ! লোকবলই যদি না থাকে তো কিসের ম্যানেজমেন্ট ! মনে রাখা উচিত, 'বিজ্ঞানকর্মী', 'বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি' এবং 'বিজ্ঞানী' এক জিনিস নয়; এদের প্রস্তুতিও আলাদা, এঁদের মনোভঙ্গিও আলাদা।

এখন কথা হলো এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী? সমস্যা যখন আছে, সমাধানও নিশ্চয়ই আছে। আমাদের লাগসই সমাধানটি খুঁজে নিতে হবে, আর সবচেয়ে জরুরী হলো নীতিনির্ধারকদের আন্তরিকতার সাথে এসব কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করতে হবে। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করলে এবং প্রয়োজনমতো মনিটরিঙের ব্যবস্থা থাকলে এসব কর্ম-কল্পনা বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনাই বেশী। আর কে-না-জানে প্রতিকূল পবিবেশে বাঙালীর ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা অপরিসীম ! সমাধানের বেশ কিছু নির্দেশনা আমরা পত্রিকান্তরে পেয়েছি। বিভিন্ন বরেণ্য শিক্ষাবিদ এসব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। আমি সেগুলোর থেকে কয়েকটি গুছিয়ে এখানে লিখছি বিজ্ঞানের পাঠ্যবইগুলোকে ঢেলে সাজানো এবং দুর্বোধ্যতা পরিহার করা, স্কুল পর্যায়ে ভালো বিজ্ঞান শিক্ষক এবং হাতে-কলমে পরীক্ষার ব্যবস্থা সম্বলিত পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা রাখা, টিভি চ্যানেলে আকর্ষণীয় বিজ্ঞান-বিষয়ক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা ইত্যাদি। এছাড়া বিজ্ঞান সপ্তাহ পালন, বিজ্ঞান-মেলার আয়োজন এবং বিভিন্ন অলিম্পিয়াডের আয়োজনও বিজ্ঞানকে জনপ্রিয়, আবেদনমূলক এবং শিক্ষার্থী-প্রিয় করতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস করা যায়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিজ্ঞানকে সাধারণের কাছে বোধগম্য করে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ নিতে দেখা যায়। এজন্য আছে 'সায়েন্স বা পাবলিক আউটরিচ প্রোগ্রাম' যার মূল উদ্দেশ্য হলো সাধারণ ভাষায় বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করা এবং জনগণকে অবহিত করা। এজন্য হাতে-কলমে নানান ধরনের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা, জনপ্রিয় বক্তৃতামালার আয়োজন করা এবং সাধারণের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক সহজবোধ্য বই লেখার আয়োজন বরা হয়। নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের বিশেষ ব্যবস্থা থাকে (যেমন 'এনডাওড চেয়ার') যাতে তাঁরা তাঁদের গবেষণা-ফলাফল বা সাধারণভাবে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়গুলিকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কাজ করবেন।

যেমন 'প্রফেসর অফ পাবলিক আন্ডারস্ট্যাডিং অব সায়েন্স'- এই পদবীধারী অধ্যাপকের কাজই হচ্ছে সাধারণ্যে নানান বক্তৃতা-লেখালেখি-আলোচনা-মুক্ত ডায়ালগে অংশ নেওয়া। বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থীর শেষ গন্তব্য যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই একাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নিজস্ব প্রকাশনা সংস্থাগুলিও একাজে সাহায্য করে। যেমন হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রকাশনীগুলি বিজ্ঞান বিষয়ে নানান গভীরতার অসাধারণ সব মনোগ্রাফ উপহার দিয়েছে। আগ্রহী পাঠক ইন্টারনেট ঘাঁটলেই এসবের সত্যতা দেখতে পাবেন। অথবা বিজ্ঞানের যেকোনো বিষয় লিখে গুগ্ল বা ধসধুড়হ.পড়স এ 'বুক সার্চ' দিয়ে তালিকাবদ্ধ বইয়ের প্রকাশকের নামগুলো লক্ষ করলেই বুঝতে পারবেন। কর্পোরেট জগতের ব্র্যান্ড-অ্যাম্বাসেডরদের মতো সায়েন্স অ্যাম্বাসেডর থাকা দরকার। যেমন বিশ্বখ্যাত জীববিজ্ঞানী প্রফেসর রিচার্ড ডকিন্স আক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের "প্রফেসর ফর পাবলিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং অব সায়েন্স" পদবীধারী।

বিজ্ঞানকে, বিজ্ঞান-শিক্ষাকে, বিজ্ঞানের বিষয়গুলিকে শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় করার জন্য আমার সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব ও সুপারিশ আছে। এই পরিকল্পনাগুলো পরস্পর সম্পর্কিত, একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটা করলে প্রত্যাশিত ফলাফল নাও পাওয়া যেতে পারে। এমন তো প্রায়ই হয় যে টাকা ফালতু খরচ হলো, যা চাওয়া হয়েছিল তা হচ্ছে না।

১. বার্ষিক 'রোড-শো'র আয়োজন করা। প্রথমে বিভাগীয় শহরে, পরে জেলা শহরে এই 'রোড-শো' করা যায়, যাতে বর্ণাঢ্য পোস্টার ,ব্র্রোশিওর, লিফলেট, পুস্তিকা বিতরণ করা হবে এবং দিনশেষে কোনো অডিটরিয়ামে বিজ্ঞান-বক্তৃতা ও ডকু-প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

২. 'রোড-শো'র উপযুক্ত পোস্টার, লিফলেট, সহজ-ভাষায় লিখিত আকর্ষণীয় বিজ্ঞান-বিষয়ক বই প্রকাশ করা উচিত। বিশেয় করে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর বাচ্চাদের জন্য কালারফুল বই লেখার উদ্যোগ নিলে ভালো হয়। এসব বই বিষয়-ভিত্তিক হতে পারে, অথবা সাধারণভাবে বিজ্ঞানের বিষয় হতে পারে।

৩. দেশের বরেণ্য বয়োজ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের জীবনীর উপর ভিত্তি করে ত্রিশ মিনিটের বায়ো-ডকুমেন্টারি বানানো উচিত। এসব ডকুমেন্টারী স্কুলে-স্কুলে বিনামূল্যে বিতরণ করা উচিত। একটি পাঁচ মিনিটের ছবি দেখাও একটা বড় ব্যাপার । 'আগে দর্শনধারী, তারপর গুণবিচারী' কথায় বলে। একটা চলমান ছবি শিশুমনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে যার তুলনা পাওয়া মুশকিল। উন্নত বিশ্বে বিজ্ঞানীদের জীবনী নিয়ে অনেক তথ্যচিত্র ও বই থাকে, সেসব এদেশে নেই। এদেশে কোনো বিজ্ঞানীর নামে কোনো স্থাপনাই চোখে পড়ে না বললেই চলে (ব্যতিক্রম কুদরাত-এ-খোদা সড়ক (এলিফেন্ট রোড) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোকাররম ভবন ও মোতাহার হোসেন ভবন)।

৪. বিজ্ঞানের আকর্ষণীয় বিষয়গুলি নিয়ে নিয়মিত টিভি-অনুষ্ঠান তৈরি করা। ডিসকভারি/ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে ভারতীয় টিন-এজারদের নিয়ে একটি চমৎকার বিজ্ঞানানুষ্ঠান চালানো হয় যার মূল অর্থায়ন হয় ভারতের বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় থেকে। আমাদের দেশে এতো টিভি চ্যানেল, অথচ বিজ্ঞান অনুষ্ঠান কয়টা হয় ?

৫. বিবিসি জানালা (bbcjanala.com) ইংরেজী শেখানোর জন্য চমৎকার একটি প্রোগ্রাম। পত্রিকার পাতা ও ক্ষুদেবার্তার সাহায্যে আপামর মানুষের জন্য ইংরেজী শিক্ষার এটি একটি চমৎকার আয়োজন । বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য অনুরূপ একটি প্রোগ্রাম সহজে বানানো যায় । এবং এটা ডিজিটাল বা ই-কন্টেন্ট তৈরিতে ভূমিকা রাখবে ।

৬. Hands-on Universe (handsonuniverse.org) একটি চমৎকার শিক্ষা-কার্যক্রম যার ডিজাইন করা হয়েছে স্কুলের বিভিন্ন বয়সের কিশোর-কিশোরীদের জন্য। এই প্রোগ্রামটিকে আমরা সহজেই বাংলায় রূপান্তর করতে পারি এবং এর কিছু অংশ কিছু কিছু বিদ্যালয়ে 'টেস্ট-কেস' হিসেবে শুরু করতে পারি। বিনোদনমূলক বিজ্ঞান-শিক্ষা ও ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে এ ধরনের পদক্ষেপগুলো জরুরী।

৭. বিজ্ঞানীদের পুরষ্কৃত করা, জেলা শহরগুলোতে বিজ্ঞান-ক্লাবের সংস্কৃতি চালু করা দরকার। বাংলায় আজকাল বিজ্ঞান বিষয়ে কিছু কিছু ভালো জনপ্রিয় বই লেখা হচ্ছে। এসব বইয়ের তেমন কোনো কাটতি থাকে না, প্রচারও কম। বিজ্ঞান বইয়ের জন্য কোনো পুরষ্কারের ব্যবস্থাও নেই। কাজেই 'বর্ষসেরা বিজ্ঞানবই' নামে শুধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বইয়ের পুরষ্কারের ব্যবস্থা থাকলে বিজ্ঞান-লেখকরা উৎসাহিত হবেন।

৮. বাংলা একাডেমী ১৯৮৫/৮৬ সালে একবার 'বিজ্ঞান-লেখক সম্মেলন' নামের একটি আয়োজন করেছিল। এখন বিজ্ঞান-লেখক, বিজ্ঞানী, নবীন শিক্ষক ও মিডিয়াকর্মীদের নিয়ে অচিরেই একটি সম্মেলন করা উচিত। এরকম একটি সম্মেলনে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করেন এমন সবাইকে একত্র করা যায়, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মতামত জানা যায়।

৯. বাংলা একাডেমী 'বিজ্ঞান গ্রন্থমালা' নামে একটি গ্রন্থমালার প্রকল্প হাতে নিতে পারে।

১০. বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রতিযোগিতা আয়োজন করা যেতে পারে। এতে প্রচুর ডিজিটাল কন্টেন্টও তৈরি হবে।

এখন প্রশ্ন হলো, এসব কাজ তদারকি করবে কে ? নিঃসন্দেহে আমাদের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগোযোগে প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে হবে। অন্যান্য দেশে, এমনকি ভারতেও, বিজ্ঞান মন্ত্রণালয় অনুরূপ কাজ করে থাকে। বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছে বিজ্ঞান যাদুঘর ও নভোথিয়েটার। এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপরোক্ত কাজগুলো সমাধা করা যেতে পারে। শুনেছি ভ্রাম্যমান বিজ্ঞান যাদুঘরের ব্যবস্থা শুরু হতে যাচ্ছে, ভ্রাম্যমান নভোথিয়েটারের ব্যবস্থাও করা উচিত। ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, সিডা এসব আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, যারা শিক্ষা উন্নয়নে আগ্রহী, সরকারী আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে অর্থ-সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে আসতে পারে। এবং অবশ্যই দেশের বিজ্ঞানীদের সাথে নিয়ে এবং প্রথিতযশা কয়েকজন বিজ্ঞানীকে 'ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর' বানিয়ে এই দক্ষযজ্ঞ শুরু করা যেতে পারে।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই কর্মপরিকল্পানার কিয়দংশও যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলেও আগামী দশবছরের মাঝে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একটা উন্নত ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হব।

[২০১০, ৯ই আগষ্ট, এ্যাপোলো হসপিটাল্স্ রুম ৫৪১৪, এবং ১০ই আগষ্ট, বুয়েট, ঢাকা]